আহারের প্রয়োজনীয়তা

আহারের প্রয়োজনীয়তা | Class 5 EVS lesson 7 Assam

পাঠ-৭

আহারের প্রয়োজনীয়তা

Class 5 EVS Lesson 5, পাঠ-৭ আহারের প্রয়োজনীয়তা Assam SCERT Board all notes in Bengali Medium .

১ । উত্তর লেখো-

(ক) কেন আমাদের আহারের প্রয়োজন হয়?
উত্তর:- বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য বা আহারের প্রয়োজন৷ খাদ্য থেকেই আমরা কাজ করার শক্তি পাই।আহার আমাদের দেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

(খ) খাদ্যের উপাদানগুলোর নাম লেখো।
উত্তর:- খাদ্যের উপাদানগুলোর নাম হল- শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ দ্রব্য ও জল ।

(গ) শর্করা, প্রোটিন ও চর্বিজাতীয় খাদ্যের ছয়টি করে নাম লেখো।
উত্তর:- শর্করা :-  ভাত,  রুটি, চিনি, গুড়,  আলু, মিষ্টিলাউ, লাল আলু, কলা,  মধু, দই,  চিড়া, মুড়ি, পাকা কাঁঠাল, পাকা আম, আখ ইত্যাদি। 

প্রোটিন :- ঘি, দই, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, মটর,  ভুট্টা, সিম, ছোলা, মাসকালাই, সোয়বিন, মাশরুম ইত্যাদি।

চর্বি:– তেল, ঘি, মাখন,  নারকেল, শস্য, বাদাম, তিল, চর্বিযুক্ত মাংস ইত্যাদি।

(ঘ) সুষম আহার বলতে কী বোঝ? সুষম আহার গ্রহণ করা কেন প্রয়োজন?
উত্তর:- আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন,  ও খনিজ দ্রব্য যেসব খাদ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পাওয়া যায়,  তাকে সুষম আহার বলে।

সুষম আহার আমাদেরকে শক্তি প্রদান করে,  শরীরের বৃদ্ধি এবং নীরোগ হতে সাহায্যে করে।  সুষম আহার গ্রহণ না করলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব হয় সেজন্য সুষম আহার গ্রহণ করা প্রয়োজন ৷

(ঙ) আমাদের কেন যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করা উচিত?
উত্তর:- আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করার কারণ  –

  • জল শরীরকে ঠান্ডা রাখে ৷ 
  • জল আহারকে শরীরে সহজে গ্রহণ করার জন্য সরল দ্রবণীয় অবস্থায় আনে।
  • জল আমাদের শরীরের অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো ঘাম ও প্রস্রাবরূপে বের করে দিতে সাহায্য করে।

২। শূন্যস্থান পূর্ণ করো –

(ক) বেঁচে থাকার জন্য…….. প্রয়োজন।
উত্তর:- আহারের ।

(খ) আমাদের দেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন উপাদান গুলো হল………..  ৷
উত্তর:- প্রোটিন ৷

(গ) সবুজ শাক-সবজি ও ফল-মূলে………  ও……….  থাকে।
উত্তর:- ভিটামিন  ।

(ঘ) প্রয়োজনীয় পরিমাণে সব উপাদান থাকে এমন খাদ্যেকে………আহার বলে।
উত্তর:- সুষম ।

(ঙ) ভিটামিন………. এর অভাবে দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
উত্তর:- A

৩ । ‘ক” অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও –

উত্তর:-

আহারের প্রয়োজনীয়তা

৪ ৷ শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করো

(ক) আমাদের দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে এমন উপাদানগুলো হল-
দুধ ও দই/চর্বি ও প্রোটিন/ভিটামিন ও খনিজ  দ্রব্য। 
উত্তর:- ভিটামিন ও খনিজ  দ্রব্য। 

(খ) অনেক দিন ধরে খাদ্য উপাদানের অভাবজনিত হওয়া রোগকে কী বলা হয়-
বেরিবেরি/রিকেট/অভাবজনিত রোগ।
উত্তর:- অভাবজনিত রোগ।

(গ) অধিক পরিমানে  ভিটামিন C যুক্ত খাদ্য
হল- দুধ/আমলকি/সোয়াবিন
উত্তর:- আমলকি ।

(ঘ) আমাদের শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো বের করতে সাহায্য করে এমন খাদ্যগুলো
হলো – দুধ/জল/শাক-সবজি
উত্তর:- জল ৷

জেনে নেই এসো

  • আহারের ছয়টি উপাদান হলো – শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ দ্রব্য ও জল।
  • শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ সঠিক রাখতে খাদ্যে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার
    করতে হয়। বিদ্যালয়ের মধ্যাহু ভোজনে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা উচিত।
  • জল পরিষ্কার হলেও বিশুদ্ধ না হতে পারে। সেজন্য সবসময় যথেষ্ট পরিমাণে শোধিত জল পান করা অতি প্রয়োজন। দুধ, ফল-সুল ও শাক-সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণে জল থাকে।

ভিটামিনের অভাব হলে-

  • ভিটামিন A এর অভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
  • ভিটামিন B এর অভাবে বেরি বেরি রোগ হয় যার ফলে শরীরের মাংসপেশী দুর্বল হয়।
  • ভিটামিন C এর অভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত রের হয় ও দাতের মাড়ি ফুলে ওঠে।
  • ভিটামিন D এর অভাবে হাড়ের গঠন দুর্বল হয়। এর অভাবে সাধারণত বাচ্চাদের রিকেট
    রোগ হয়। হাড় নরম ও বাঁকা হয়।
  • ভিটামিন E  এর অভাবে মাংসপেশীর ঠিকমতো বিকাশ হয় না। |
  • ভিটামিন K এর অভাবে শরীরের কোন অংশ কাটলে তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ হয় না।

বিভিন্ন ধরনের খনিজ দ্রব্য যেমন-লোহা, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।

খনিজ দ্রব্যের অভাব হলে-

  • শরীরে রক্ত উৎপন্ন হওয়ার জন্য লোহার প্রয়োজন হয়। এর অভাবে শরীরে রক্তহীনতা
    রোগ হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • শরীরের হাড় ও দাত গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন । এর অভাবে হাড়ের গঠন শক্ত হয় না ফলে সহজে ভাঙার ভয় থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁতের গঠন দুর্বল হয় ও দাতের ক্ষয় হয়।
  • আয়োডিনের অভাবে গলা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় যাকে গলগণ্ড রোগ বলা হয়। আয়োডিনের অভাবে ছোটো ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশে বাধার সৃষ্টি হয়।

আহার ভালোভাবে হজম হওয়ার জন্য কিছু সু-অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়-

  • একসঙ্গে বেশি খাদ্য না খেয়ে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পরিমাণ মতো খাদ্যবস্তু খেতে হয়।
  • আহার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হয়।
  • স্থির ভাবে বসে নড়াচড়া না করে আহার গ্রহণ করতে হয়। 
  • অত্যধিক ক্লান্তিতে খাওয়া অনুচিত।
  • খাওয়ার পরে দোড়োদৌড়ি বা ব্যায়াম করা অনুচিত ।
  • সবসময় শাক-সবজি খেতে হয়।
  • প্রয়োজন থেকে বেশিপরিমাণে খাওয়া অনুচিত।
  • খাওয়ার আগে সবসময় পরিষ্কার জলে হাত ধোয়া উচিত।

পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ অসম (বাংলা মাধ্যম)

পাঠ-১ আমাদের পরিবেশ
পাঠ-২ পরিস্থিতি তন্ত্র
পাঠ-৩   অসমের সংস্কৃতি
পাঠ-৪   প্রাকৃতিক সম্পদ
পাঠ-৫   সম্পদ সংরক্ষণ
পাঠ-৬   আবহাওয়া
পাঠ-৭   আহারের প্রয়োজনীয়তা
পাঠ-৮   জীননধারণ প্রণালী
পাঠ-৯   আমাদের সামাজিক সমস্যা
পাঠ-১০  পরিবেশ প্রদূষণ
পাঠ-১১ যাতায়াত
পাঠ-১২   উদ্যোগ
পাঠ-১৩   দুর্যোগ
পাঠ-১৪   স্বাধীনতা আন্দোলনে অসমের    ভূমিকা
পাঠ-১৫   আমাদের সংবিধান
পাঠ-১৬   গ্রাম পঞ্চায়েত
পাঠ-১৭   আমাদের দেশ ভারতবর্ষ
পাঠ-১৮ আমাদের প্রতিবেশী রাজ্যসমূহ

Food

*****

error: Content is protected !!