কোণ

কোণ (Angle) | পঞ্চম শ্রেণির গণিত পাঠ-২ ‘কোণ’ সমাধান অসম

দুইটি রশ্মির প্রান্তবিন্দু পরস্পর মিলিত হলে মিলিত বিন্দুতে কোণ উৎপন্ন হয়। অন্যভাবে বললে, দুইটি রশ্মির প্রান্তবিন্দু পরস্পর মিলিত হয়ে যে আকৃতি ধারণ করে তাকে কোণ বলে।

কার্যঃ- নিচের ছবিগুলিতে পাশ ও কোন যদি আছে সেগুলি গুণে লিখে ফেলো –

উত্তরঃ-

কোণ

কার্যঃ- নিচের সামতলিক আকৃতিগুলির বাহু ও শীর্ষবিন্দুগুলি চিহ্নিত করো।

উত্তরঃ-

শীর্ষবিন্দু

কার্যঃ- তোমরা এভাবে 4টি, 5টি, 7টি, 8টি, 9টি ইত্যাদি বিভিন্ন সংখ্যক দেশলাইয়ের কাঠি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি বানাও এবং কীরকম কোণ সৃষ্টি হয়েছে, তা লক্ষ করো।

কার্যঃ- দেশলাইয়ের কাঠির সাহায্যে সমকোনের চেয়ে বড় ও ছোট কোণ তৈরি করি চলো। (কোণ পরিক্ষকের সাহায্যে)

উত্তরঃ-

সমকোনের চেয়ে বড় ও ছোট কোণ তৈরি করি

কার্যঃ- সবাই কমেও 5টা করে ইংরাজি বর্ণ লেখো এবং এগুলির কোণ খুঁজে বের করে নিচের তালিকার মতো লেখো।

উত্তরঃ-

কোণ

কার্যঃ- নিচের ঘড়িগুলির সমকোণের চেয়ে ছোট কোণ সৃষ্টি করা ঘড়ির কাঁটাদুটো আঁকো সেই সঙ্গে সময়ও লেখো।

উত্তরঃ-

সমকোণের চেয়ে ছোট কোণ সৃষ্টি করা ঘড়ি

সময় চলে থাকার সময় ঘড়ির কাঁটা দুটো সমকোণের চেয়ে বড়ো কোণও সৃষ্টি করে।

কার্যঃ- নিচের ঘড়ির কাঁটা দুটো কতগুলি কো ণ সৃষ্টি করেছে। সেই কোণগুলি কীরকম লেখো। সেই সঙ্গে সময় ও লিখবে।

উত্তরঃ-

নিচের ঘড়ির কাঁটা দুটো কতগুলি কোণ সৃষ্টি করেছে

কোণ মাপি এসো-

নিচের কোণগুলি চাঁদার সাহায্যে মেপে মানগুলি বের করে লিখে নাও, সেই সঙ্গে মাপ অনুসারে কোণগুলির নাম লেখো৷

উত্তরঃ-

কোণ

অভ্যাসের সময়ঃ- ছবি দেখে কোণগুলির নাম লেখো –

উত্তরঃ-

কোণ

লক্ষ্য করো –

কোণ

যোগাভ্যাসের সঙ্গে জড়িত কোণগুলি দেখি চলো –

শরীর চর্চার সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যে কোণগুলি সৃষ্টি করেছে, তা লেখো

উত্তরঃ-

কোণ

90° = সমকোণ

75° = সূক্ষ্মকোণ

45° = সূক্ষ্মকোণ

30° = সূক্ষ্মকোণ

Note (নোট):-

সূক্ষ্মকোণ

এক সমকোণ বা ৯০° অপেক্ষা ছোট কোণকে সূক্ষ্মকোণ বলে।

সমকোণ

যে কোণের পরিমাপ ৯০° তাকে সমকোণ বলে।

স্থূলকোণ

৯০° অপেক্ষা বড় এবং ১৮০° অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, সমকোণ অপেক্ষা বড় এবং সরলকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলে।

  • জ্যামিতি বাক্সে কোণ আকাঁর জন্য একটি যন্ত্র রয়েছে। একে পেন্সিল কম্পাস বলে।
  • ত্রিকোণী নামের আরো দুটো যন্ত্রও জ্যামিতি বাক্সে রয়েছে। সেগুলি ব্যবহার করে আমরা সমকোণ মাপতে পারি।
  • যেকোনো কো ণ মাপার জন্যও জ্যামিতি বাক্সে একটি যন্ত্র থাকে। কোণমাপক সেই যন্ত্রটিকে চাঁদা বা প্রোট্র‍্যাকটোর (Protractor) বলা বলে।

জ্যামিতি বাক্সের যন্ত্রগুলি মোটামুটিভাবে নিচে দেওয়া হল। এবার তুমি তোমার জ্যামিতি বাক্সের যন্ত্রগুলির সঙ্গে পরিচিত হও।

চাঁদা কি? কেন্দ্রবিন্দু কাকে বলে? চাঁদার প্রত্যেকটি দাগকে কি বলে?

দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা মাপার জন্য আমরা যেভাবে স্কেল বা ফিতে ব্যবহার করি, ঠিক তেমনি জ্যামেতিতে কোণ মাপতে আমরা চাঁদার সাহায্য নেই। নিচের ছবিতে একটি কো ণ মাপক যন্ত্র অর্থাৎ চাঁদা দেখানো হয়েছে।

চাঁদার মধ্যে পাথালে করে যে রেখাটি রয়েছে সেটা অনুভূমিক রেখা এবং মধ্যের বিন্দুটিকে কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়। যন্ত্রটিতে বৃত্তাকার স্কেলে 1 থেকে 180 পর্যন্ত দাগ কাটা রয়েছে। তোমরা গুনতি করে দেখো তো। এই দাগগুলির প্রত্যেকটি দাগই এক ডিগ্রি বোঝায়। একে 1° বলে লেখা হয়।

আরোও –

পঞ্চম শ্রেণির গণিত = পাঠ-১ সংখ্যা ও প্রক্রিয়া

error: Content is protected !!