খাদ্য থেকে আমরা কি কি পাই

খাদ্য থেকে আমরা কি কি পাই ? শরীরের যত্ন

খাদ্য থেকে আমরা কি কি পাই ? আমরা শরীরের যত্ন কিভাবে নেবো? খাদ্যদ্রব্য আমরা কীজন্য খেয়ে থাকি?

আহার না করলে আমরা কাজ করার শক্তি পাই না। শরীর বড়, লম্বা, হওয়ার জন্য এবং রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আহারের প্রয়োজন। আহার আমদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার কাজ করে৷

আমাদের শরীরে শক্তি যোগানকারী খাদ্যদ্রব্যে গুলো হলো –

চিড়া, পিঠা, রুটি, ভাত, মাখন, ঘি ইত্যাদি।

আমাদের শরীর বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে এমন খাদ্যদ্রব্যে গুলো হলো –

মটরশুঁটি, দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, সীম, ডাল ইত্যাদি।

আমাদের শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করে এমন খাদ্যদ্রব্যে গুলো হলো –

হরীতকী, আমলকী, গাজর, মোচা, সবুজ শাক-সবজি, পেয়ারা, কমলালেবু ইত্যাদি।

আমরা সকলে বিভিন্ন ধরনের আহার গ্রহণ করি। আহারের প্রধান খাদ্যগুলো হল – ভাত, ডাল, রুটি, দুধ, ডিম, মাছ মাংস, সবুজ শাক-সবজি এবং ঋতুভিত্তি ফলমূল। এছাড়া আমরা যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করি। সর্বদা পরিশোধিত জলা পান করা উচিত, দুষিত জল শরীরে নানা, রকম রোগের সৃষ্টি করে।

জল কীভারে পরিশোধন করে পান করার উপযোগী করা হয়?

খাল, বিল, নদী, পুকুর ইত্যাদির জলে কাণা, রালি ও নানারকম আবর্জনা মিশে থাকে। তার ওপর রোগের জীবাণু থাকতে পারে। ফলে জল দুষিত হয়। এই ধরনের জলকে পানীয় জলে পরিণত করতে হলে জলে মিশে থাকা দূষিত গদার্থ গুলো থেকে জলকে মুক্ত করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াকে পরিশোধন করা বলে।

পরিশোধন প্রক্রিয়ায় প্রথমে জল ছেঁকে নিতে হয় ও তারপর সেদ্ধ করতে হয়। সেদ্ধ করার পরিবর্তে বীজাণুনাশক দ্রব্যও জলে দেওয়া হয়।

খাদ্যদ্রব্য কিভাবে রাখা ও খাওয়া দরকার?

  • আমাদের খাদাদ্রব্য পরিষ্কার হওয়া উচিত।
  • খাদ্যদ্রব্য সর্বদা ভালো করে ঢেকে রাখতে হয়।
  • আহারের পূর্বে হাত দুটি ভালোভাবে ধোয়া উচিত।
  • পরিষ্কার বাসনে খাদ্যদ্রব্য খাওয়া উচিত।
  • শাকসবজি, ফলমুল ইত্যাদি ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত।
  • ফলমুলগুলো কাটার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া উচিত। কাটা ফলমূলগুলো বেশি সময় রেখে খাওয়া উচিত নয়।
  • শরীর সুস্থ রাখার জন্য শোধন করা জল খাওয়া উচিত ।
  • খোল অবস্থায় রাখা খাদ্যদ্রব্য খাওয়া উচিত নয়। কেননা খুলে রাখা খাদ্যদ্ররা ধুলো বালি মাছি ইত্যাদি পড়তে পারে।

কিছুসংখ্যক খাদ্যদ্রব্য যেমন – প্যাকেটের আলুর চিপ্‌স, শীতল পানীয়, আইসক্রিম ইত্যাদি তৈরি করা খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আহার গ্রহণ ছাড়াও কিছু কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলা উচিত। সেগুলো হল

  • সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমোনোর আগে ভালোভারে দাত মাজা উচিত।
  • নখ-চুল ছোট করে কাটা উচিত।
  • পরিষ্কার কাপড় পরা উচিত।
  • যেখানে-সেখানে থুতু ফেলা উচিত নয়।
  • পরিষ্কার শৌচাগার ব্যবহার করা উচিত।
  • শৌচকর্ম করার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত-পা ধোয়া উচিত।

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খেলাধুলা ও ব্যায়াম করা আবশ্যক। নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম করলে শরীরে বেশি করে রক্ত চলাচল করে এবং শরীর সবল হয়, শরীরর আলস্য ও জড়তা দূর হয়। শরীর কাজ করার জন্য সতেজ হয়ে ওঠে।

শরীরকে সতেজ করে রাখতে হলে বিশ্রাম করাও অতি দরকারি। রাত্রে ঘুমোলে আমাদের শরীর বিশ্রাম পায়। বিশ্রাম করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করার জন্য সতেজ হয়ে ওঠে এবং আমরা নূতন ভাবে কাজ করার শক্তি পাই।

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পরিষ্কার-পরিছন্ন হয়ে থাকা খুব দরকারি। সর্বদা পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকলে শরীর-মন ভালো থাকে। অসুখ-বিসুখ কম হয় ও দেখতেও ভালো লাগে।

খাদ্য থেকে আমরা কি কি পাই

আরোও পড়ুন – আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণি

error: Content is protected !!