Lesson 1
গাছপালার কথা
আমাদের চারিদিকে অনেক গাছপালা আছে এই গাছপালাগুলো ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কিছু কিছু গাছ বড় ও কিছু কিছু গাছ ছোট। কোনো কোনো গাছ মাটিতে ও কোনো কোনো গাছ জলে হয়। এই গাছপালাগুলো হল উদ্ভিদ। নিম্নে দেওয়া গাছপালার কথা পাঠের প্রশ্নোত্তর ।
অনুশীলনী
১) উত্তর লেখো-
(ক) চার প্রকার বৃক্ষের নাম লেখো।
উত্তর :- আম, জাম, কাঁঠাল, শাল।
(খ) অসমে পাওয়া যায় এমন দুই ধরনের কাঠের নাম লেখো।
উত্তর :- অসমে পাওয়া যায় এমন দুই ধরনের কাঠের নাম হলো – শাল, সেগুন।
(গ) দুই ধরনের লতাজাতীয় উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর :- দুই ধরনের লতাজাতীয় উদ্ভিদের নাম হলো – লাউ, তরমুজ।
(ঘ) ওষধ হিসারে ব্যবহৃত হয় এমন দুই ধরনের পাতার নাম লেখো।
উত্তর :- ওষধ হিসারে ব্যবহৃত হয় এমন দুই ধরনের পাতার নাম – তুলসী, দূর্বাঘাস, নিমপাতা
(ঙ) গাছের শিকড়ের দুটি কাজের কথা লেখো।
উত্তর :- ক) গাছের শিকড় মাটি ক্ষয় রোধ করে।
খ) গাছের শিকড় মাটি সংরক্ষণে সাহায্য করে।
(চ) লাউ, ঝিঙে ইত্যাদি গাছের জন্য মাচা তৈরি করার কারণ কী?
উত্তর :- লাউ, ঝিঙে ইত্যাদি গাছের জন্য মাচা তৈরি করার কারণ- (১) লাউ, ঝিঙে ইত্যাদি গাছগুলো কোমল ও লিকলিকে, (২) এরা লতিয়ে চলে।
৩) শূন্যস্থান পূর্ণ করো –
(ক) গাছ……… দ্বারা জল শোষণ করে।
উত্তর :-
(খ) চা-গাছগুলি বেঁটে এবং………..
উত্তর :- ঝোপের আকারে থাকে ৷
(গ) কিছু সংখ্যক………. শাক হিসাবে রান্না করে খাওয়া হয়।
উত্তর :- পাতা।
(ঘ) তাল গাছের পাতা দিয়ে…… বানানো হয়।
উত্তর :- পাখা৷
৩) শুদ্ধ উত্তরে “ ‘ চিহ্ন দাও –
(ক) বাঁশ গাছ গুল্ম /বৃক্ষ / তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ।
উত্তর :- বাঁশ গাছ তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ।
(খ) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বৃক্ষ থেকে ছোট/বড়
উত্তর :- গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বৃক্ষ থেকে ছোট।
(গ) বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ড খুব শক্ত/ নরম।
উত্তর :- বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ড খুব শক্ত।
(ঘ) তাল/আম /নিমগাছের পাতা দিয়ে পাখা তৈরি হয়।
উত্তর :- তাল দিয়ে পাখা তৈরি হয়।
৫) একটি করে পার্থক্য লেখো –
(ক) বৃক্ষ ও গুন্ম
উত্তর :-
বৃক্ষ | গুল্ম |
(১) বৃক্ষ উঁচু ও শক্ত | (১) গুল্ম গাছগুলো বেঁটে ও ঝোপযুক্ত৷ |
(থ) বাঁশগাছ ও আম গাছ
উত্তর :-
বাঁশগাছ | আম গাছ |
(১) বাঁশগাছের কাণ্ড ফাঁপা | (১) আম গাছের কাণ্ড শক্ত |
(গ) লতা ও তৃণ
উত্তর :-
লতা | তৃণ |
লতাজাতীয় উদ্ভিদ গুলো কোমল ও লিকলিকে | তৃণজাতীয় উদ্ভিদ গুকো ছোট ও কাণ্ড নরম। |
৬) বিন্দুগুলো যুক্ত করো এবং যে-ছবি পাবে তাতে রং করো-
উত্তর :-
গাছপালার কথা পাঠের কিছু প্রশ্নোত্তর অতিরিক্ত:-
পাতা আমরা কী কী কাজে ব্যবহার করি?
উত্তর :-(ক) খাদ্যদ্রব্য রাখার জন্য কলাগাছের পাতা ব্যবহার করা হয়
(খ) কিছু কিছু পাতা শাক হিসাবে রান্না করে খাওয়া হয়।
(গ) তেজপাতা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
(ঘ) চা-গাছ থেকে চা-পাতা প্রস্তুত করা হয়।
(ঙ) তাল গাছের পাতা দিয়ে কৃষকদের ছাতা বানানো হয়।
(চ) তাল গাছের পাতা দিয়ে পাখা তৈরি হয়।
(ছ) তুলসী, দূর্বাঘাস, নিমপাতা ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
(জ) সিট্রানেলা গাছের পাতা থেকে তেল বের করা হয়। এই তেল ভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
তোমাদের ঘরের কী কী বস্তু কাঠ দিয়ে তেরি সেগুলির নাম বলো
উত্তর :- চেয়ার, টেবিল, রেঞ্চ , ঘরের দরজা-জানালা ইত্যাদি।
১) বৃক্ষ :- একটি আম ও একটি লাউ গাছের কথা ভাবো। আম গাছ শক্ত ও সোজা এবং উঁচু হয়ে দীড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে লাউ গাছ কোমল ও লিকলিকে, তা দীড়িয়ে থাকতে না পেরে বাঁকা হয়ে যায়। আম, জাম, কীঠাল, শাল, অশ্বখ ইত্যাদি গাছপালা খুব বড় , কাণ্ড শক্ত ও শাখা-প্রশাখাযুক্ত। এই গাছগুলোর কাণ্ড স্পর্শ করলে অনুভব হয় যে এইসব গাছ খুব শক্ত। এ ধরনের উদ্ভিদণ্ডলি হল বৃক্ষ
২) গুল্ম :- অসম চা চাষের জন্য বিখ্যাত তোমরা কখনো চাবাগান দেখেছে কি? চা গাছগুলো রটে ও ঝোপের আকারে থাকে তোমরা সবসময় রণ ; দেখো যে গোলাপ, টগর, যুথিকা, জবা, ডালিম ইত্যাদি গাছগুলো বেঁটে ও ঝোপযুক্ত। এই স্বল্প উঁচু ঝোপযুক্ত গাছগুলো হচ্ছে গুন্ম।
৩) তৃণজাতীয় উদ্ভিদ :- দূর্বাঘাস, ঘাস, ধান ইত্যাদি উদ্ভিদণ্ডলো ছোট ও কাণ্ড নরম। তেমনি ভিন্ন ভিন্ন শাক-সবজির কাণ্ড নরম। কিছু কিছু গাছের কাণ্ড আবার ফীপা। যেমন–বাীশ। এগুলি হল তৃণজাতীয় উদ্ভিদ।