নীল পাহাড়ের দেশে কবিতার প্রশ্ন উত্তর

নীল পাহাড়ের দেশে কবিতার প্রশ্ন উত্তর, পাঠ- ৭ পঞ্চম শ্রেণী

নীল পাহাড়ের দেশে কবিতার প্রশ্ন উত্তর , নীল পাহাড়ের দেশে, বাংলা কবিতা নীল পাহাড়ের দেশে, কবি অরূপ মণ্ডলের কবিতা, Bengali Poem.

এসো, কবিতাটি সবাই মিলে আবৃত্তি করি।

নীল পাহাড়ের দেশে নাকি রাজকন্যে থাকে
রাক্ষসী আর খোক্কশেরা পাহারা দেয় তাকে।

এসব কথা গল্পে শুনি ঠাকুরমায়ের কাছে
জানি নে ছাই সাগর পারে সে দেশ কি আর আছে?

পদ্মফোটা গোল দিথি আর শ্বেত পাথরের বাড়ি
পান্না হীরের চুমকি বসা রাজকন্যের শাড়ি।

বক-সাদা রঙ, মেঘ-কালো চুল, আলতা রাঙা ঠোঁটে
হাসলে নাকি মুক্তো ছড়ায়, কাঁদলে গোলাপ ফোটে

একলা থাকা রাজকন্যের দুঃখ মনে ভারি
সাতটি সাগর পেরিয়ে সেথায়, যেতে কি আর পারি?

থাবায় যাদের নখ রয়েছে, বিষ রয়েছে দাঁতে
লড়াই করে পারবো কি সেই দৈত্য দানোর সাথে?

তার চে’ বরং দাদার মতো একটু বড়ো হলে
ঢাল তলোয়ার সঙ্গে নিয়ে একাই যাবো চলে।

রঙিন মেঘের ভেলায় চেপে পোঁছে যাবো শেষে
স্বপে আঁকা রাজকন্যের নীল পাহাড়ের দেশে ।

কবি – অরূপ মণ্ডল

নীচের শব্দগুলোর অর্থ পাশের লেখা থেকে এনে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে মিলিয়ে লেখো।

শব্দ অর্থ

শ্বেত = সাদা

দানো = দানব

খোক্কশ = কাল্পনিক রাক্ষসজাতীয় প্রাণীবিশেষ

চুমকি = সোনা-রুপোর চকমকে ছোটো ছোটো পাত

ভেলা = কলাগাছের কাণ্ড কিংবা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি ছোটো জলযান।

উত্তর দাও

(ক) নীল পাহাড়ের দেশে কে থাকে?
উত্তরঃ- নীল পাহাড়ের দেশে রাজকন্যে থাকে।

(খ) এসব কথা আমরা কার কাছ থেকে শুনতে পাই? ?
উত্তরঃ- এসব কথা আমরা ঠাকুরমায়ের কাছ থেকে শুনতে পাই৷

(গ) রাজকন্যের শাড়িতে কী বসানো আছে?
উত্তরঃ- রাজকন্যের শাড়িতে পান্না হীরে বসানো আছে।

(ঘ) রাজকন্যে হাসলে কী ছড়ায়?
উত্তরঃ- রাজকন্যে হাসলে মুক্তো ছড়ায়।

(ঙ) কীভাবে নীল পাহাড়ের দেশে পৌঁছা যায়?
উত্তরঃ- রঙিন মেঘের ভেলায় চেপে নীল পাহাড়ের দেশে পৌঁছা যায়।

বুঝে লেখো।

তার চে’ বরং দাদার মতো একটু বড়ো হলে
ঢাল তলোয়ার সঙ্গে নিয়ে একাই যাবো চলে।

উত্তরঃ-

‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মিলিয়ে লেখো৷

নীল পাহাড়ের দেশে কবিতার প্রশ্ন উত্তর

খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

কবিতাটিতে যে শব্দগুলোর ওপরে চন্দ্রবিন্দু
(ঁ) আছে সেই শব্দগুলো খুঁজে নিয়ে লেখো। শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্যে শুদ্ধ করে উচ্চারণ করতে শেখো।

উত্তরঃ- কবিতাটিতে যে শব্দগুলোর ওপরে চন্দ্রবিন্দু (ঁ) আছে সেই শব্দগুলো হচ্ছে- ঠোঁটে, কাঁদলে, দাঁতে, পৌঁছে, আঁকা ইত্যাদি ।

শুদ্ধ শব্দ বসিয়ে নীচের বাক্যগুলো পূর্ণ করো।

(ক) …………… রোজ স্কুলে যাই। (সে/আমি)
উত্তরঃ- আমি রোজ স্কুলে যাই।

(খ) রতন রোজ বিকেলে ফুটবল …………………. ৷ (খেলে/খেলেছিল)
উত্তরঃ- রতন রোজ বিকেলে ফুটবল খেলে।

(গ) গোলাপ ফুলের পাপড়ি ………………. লাল। (টকটকে/ধকধকে)
উত্তরঃ- গোলাপ ফুলের পাপড়ি টকটকে লাল।

(থ) বড়ো হলে নীল পাহাড়ের দেশে ……………….. ৷ (যেতাম/যাবো)
উত্তরঃ- বড়ো হলে নীল পাহাড়ের দেশে যাবো৷

(ঙ) আজ ঠাকুরমায়ের কাছে গল্প ………..। (শুনবো/শুনেছিলাম)
উত্তরঃ- আজ ঠাকুরমায়ের কাছে গল্প শুনবো।

কবিতার পংক্তিগুলো থেকে বিশেষ্য পদগুলো বেছে বের করো

একলা থাকা রাজকন্যের দুঃখ মনে ভারি
সাতটি সাগর পেরিয়ে সেথায়, যেতে কি আর পারি?

থাবায় যাদের নখ রয়েছে, বিষ রয়েছে দাঁতে
লড়াই করে পারবো কি সেই দৈত্য দানোর সাথে?

তার চে’ বরং দাদার মতো একটু বড়ো হলে
ঢাল তলোয়ার সঙ্গে নিয়ে একাই যাবো চলে।

বাক্য রচনা করো৷

সাগর = সাগর পারে নারিকেল গাছ দেখা যায়।

শ্বেত = চুনের রঙ শ্বেত।

গোলাপ = আমাদের ফুল বাগানে গোলাপের গাছ আছে।

স্বপ্ন = আমি জীবনে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি।

রাজকন্যে = নীল পাহাড়ের দেশে রাজকন্যে থাকে।

রাক্ষস = রাক্ষস আর খোক্কশেরা রাজকন্যেকে পাহারা দেয়।

নীল পাহাড়ের দেশে কবিতার প্রশ্ন উত্তর

তোমরা পাঠ থেকে জোড়া শব্দ পেয়েছ, যেম্ন – রাক্ষস-খোক্কস, এসো কবিতাটি থেকে নীচের শব্দগুলোর জোড়া শব্দ খুঁজে লিখি

হীরা-পান্না
দৈত্য-দানো
ঢাল-তলোয়ার
হাসি-কান্না

গ-জ্ঞান সম্প্রসারণ

রামগরুড়ের ছানা

রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
‘হাসব না-না-, না-না’।
‘সদাই মরে ত্রাসে- এঁ বুঝি কেউ হাসে!
এক চোখে তাই মিটমিটিয়ে
তাকায় আশে পাশে।

খোকার নাচন

আয় রে আয় টিয়ে
নায়ে ভরা দিয়ে!
না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে,
তা দেখে ভোঁদড় নাচে!
ওরে ভোঁদড় ফিরে চা,
খোকার নাচন দেখে যা!

ফড়িংবাবুর বিয়ে

টিকটিকিতে ঢোলক বাজায়,
ধুচনি মাথায় দিয়ে!
বেয়ারা হল তেলাপোকা
পালকি কাঁধে নিয়ে!
দেখতে এল সেজেগুজে,
পিঁপড়েরা মায়ে-ঝিয়ে!
আরে,ফড়িংবাবুর বিয়ে!
ফড়িংবাবুর বিয়ে!

ধানের খেতে

আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়
লুকোচুরির খেলা রে ভাই,
লুকোচুরির খেলা-
নীল আকাশে কে ভাসালে
সাদা মেঘের ভেলা রে-ভাই,
লুকোচুরির খেলা।

এসো, নীচে কবি জসিমউদ্দিনের লেখা অবিতাটি সবাই মিলে আবৃত্তি করি৷

শিশুর সংকল্প

লেখা-পড়া শিখবো মাগো, কিনবো নাকো গাড়ি

গড়বো নাকো মস্ত বড়ো আকাশ ছেঁয়া বাড়ি

সবার সাথে মিশবো বলে থাকবো সবার সনে,

গাছের তলে ঘর বাঁধিয়ে মিলবো যে ভাই-বোনে।

সবার সুখে হাসবো আমি, কাঁদবো সবার দুখে,

নিজের খাবার বিলিয়ে দেবো অনাহারীর মুখে

আমার বাড়ি ফুল বাগিচা, ফুল সকলের হবে,

আমার ঘরে মাটির প্রদীপ, আলোক দিবে সবে।

আমার বাড়ি বাজবে বাঁশি, সবার বাড়ির সুর,

আমার বাড়ি সবার বাড়ি রইরে নাকো দূর।

Also Read – পাঠ- ৩ ‘দেবারতির আবেদন’ পাঠের প্রশ্ন উত্তর

error: Content is protected !!