বৈদ্যুতিন মাধ্যমে শিক্ষাদান

বৈদ্যুতিন মাধ্যমে শিক্ষাদান এবং তথ্য সংযোগ, প্রযুক্তির মাধ্যমের শেখন

বৈদ্যুতিন মাধ্যমে শিক্ষাদান এবং তথ্য সংযোগ, প্রযুক্তির মাধ্যমের শেখনের সম্পর্কে অভিভাবকদের সজাগতা কার্যসূচী

করোনা মহামারীর (Covid-19) পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পাঠদান প্রক্রিয়া সম্পাদনের ক্ষেত্রে যাতে ঘরে বসে শিশুদের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পাঠদান প্রক্রিয়া সম্পাদনর ক্ষেত্রে যাতে ঘরে বসে শিশুদের শেখন ঘাটতি পূরণ করার উদ্দেশ্যে, মানসিক স্বাস্থ্য অটুট রাখা এবং শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে অনলাইন/ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।

ছাত্র-ছাত্রীদের/অভিভাবকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ওয়াটসয়াপ গ্রুপ গঠন, কনফারেন্স কল, ভিডিও কল ইত্যাদির সাহায্যে প্রথমে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিকভাবে সাহায্য করা ইত্যাদি কার্যপগুলি ফলপ্রসু ভূমিকা গ্রহণের পাশাপাশি অসম সরকারের শিক্ষা বিভাগ বৈদ্যুতিন মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে৷

বৈদ্যুতিন মাধ্যমে শিক্ষাদান

(১) ইন্টারনেটের সুবিধা নেই বা যেসকল ছাত্র-ছাত্রীদের ফোন নেই তারাও যাতে শিক্ষাগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য গুয়াহাটি বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রত্যেক সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার 4.45 বিকাল মিনিটে ‘প্রজ্ঞা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা সমগ্র শিক্ষা অসম ও এস সি ই আর টি-র সহযোগীতায় প্রদান করা হয়।

সকলেও যাতে শিক্ষাদানৰ পৰা বঞ্চিত নহয় তাৰ বাবে গুরাহাটী অনাতীৰ কেন্দ্রৰ জরিয়তে প্রতি সোমবাৰ, বুধবাৰ আৰু শুক্রবাৰে বিয়লি 4.45 বজাত ‘প্রজ্ঞা’ শীর্ষক নামেৰে পাঠদানৰ ব্যবস্থা সমগ্র শিক্ষা, অসম আৰু এছ চি ই আৰ টিৰ সহযোগত প্রদান করা হয়।

(২) ইউ টিউব চ্যানেল, জ্ঞানবৃক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাদান, DIKSHA পোর্টেল, সেবা পোর্টেল, স্বয়মপ্রভা (E-Book) ইত্যাদি বিষয়ক শ্রেণি এবং বিষয় অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়।

(৩) তাছাড়া এন সি আর টি-র Website e-pathshala, ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরীর মাধ্যমে পাঠদান (Live Class) এ অংশগ্রহণ করতে পারে।

(৪) বিভিন্ন আ্যাপ (App) যেমন Zoom App, Google Meet, Jio Meet, Jio-Chat, Cisco Webex,  Google Class room ইত্যাদির সাহায্যে পাঠদান, আলোচনা চক্র, কুইজ প্রতিযোগিতা, সহঃ পাঠ্যক্রমিক
কার্যসূচী গ্রহণ করে উপকৃত হয়েছে।

(৫) অনলাইন/Google Form ব্যবহার করে ছাত্র-ছত্রীদের মূল্যায়নের সাহায্যে অগ্রগতির খতিয়ান সংগ্রহ করে নিজেদের মুল্যায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যুতিন মাধ্যমের প্রয়োগের দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদেরও ডিজিটেল জ্ঞান অর্জনে অনেক সহায়তা করেছে এবং ডিজিটেল মাধ্যমের প্রতি আকর্ষিত হওয়ার পাশাপাশি এই নতুন মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের দ্বাৰা শৈক্ষিক ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে যতপারোনাস্তি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীরা ভিডিঅ’ প্রস্তুত করে ইউটিউবে আপলোড করে ছাত্র-ছাত্রীদের যথেষ্ট উপকৃত করেছে।

দক্ষ ব্যক্তির নির্দেশনাঃ দক্ষব্যক্তি ই-শেখনের ক্ষেত্রেনিন্নপরদত্তপ্রশ্নগুলির উপর আলোচনা করি আসুন এইবেলি আলোচনা শুরু করবেন এবং প্রশ্ন অনুযায়ী শেখনীয় দিকগুলি লিপিবদ্ধ করবেন।

(১) আপনাদের বিদ্যালয়ে ই-শেখন হয়েছে কীনা?

(২) আপনাদের বিদ্যালয়ে কী কী ব্যবস্থার দ্বারা ই-শেখন হয়েছে?

(৩) ই-শেখন আপনাদের বিদ্যালয়ের কতজন ছাত্র-ছাত্রী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে?

(৪) ই-শেখন ছাত্র-ছাত্রীরা কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে?

(৫) ই-শেখন অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের কীভাবে সাহায্য করবেন?

error: Content is protected !!