(toc)
পাঠ-১১
যাতায়াত
পাঠ-১১ যাতায়াত Class 5 EVS Lesson 11 Assam SCERT Board all notes in Bengali Medium.
১। উত্তর লেখো-
(ক) যাতায়াত বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- যাতায়াত বলতে এক স্থান থেকে অন্য এক
স্থানে যাওয়া আসাকে বোঝায়।
(খ) চাকা আবিষ্কার হওয়ার পূর্বে মানুষ জিনিসপত্র কীভাবে বহন করত?
উত্তর:-
চাকা আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ পরিবেশ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের জীব-জন্তুর ব্যবহার
করত। উদাহরণস্বরূপে- মরুভূমিতে উটের মাধ্যমে করা হত।
(গ) উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার কেন প্রয়োজন?
উত্তর:- বিভিন্ন দেশের মধ্যে
পারস্পরিক বন্ধুত্ব-ভাব, শান্তি- সম্প্রীতি অটুট রাখতে এবং শিক্ষা, কৃষি,
শিল্প-বাণিজ্য, চাকরি ব্যবস্থা, খেলা-ধূলা ইত্যাদির আদান-প্রদান করার জন্য উন্নত
মানের যাতায়াত ব্যবস্থার খুবেই প্রয়োজন।
(ঘ) পরিবহণ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- যানবাহনের সাহায্যে মানুষ এবং
বস্তু-সামগ্রী বহন করার ব্যবস্থাই হলো পরিবহন ব্যবস্থা। পরিবহন ব্যবস্থা
ছাড়া যাতায়াত সম্ভব নয়।
(ঙ) ভারতবর্ষে কী কী পরিবহণ ব্যবস্থা আছে?
উত্তর:- ভারতবর্ষে জলপথ, আকাশপথ,
সরকপথ, রেলপথ ইত্যাদি পরিবহন ব্যবস্থা আছে।
২ ।’ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’অংশ মেলাও –
উত্তর:-
৩। শূণস্থান পূর্ণ করো-
(ক) অসমের প্রথম রেলপথ ছিল……. রেলপথ।
উত্তর:- ডিব্রু-শদিয়া রেলপথ।
(খ) ভারতবর্ষে ……….. খ্রিস্টাব্দে প্রথম রেলপথ সরকারিভাবে চলাচল করে।
উত্তর:-
১৮৫৩ খ্রীষ্টাব্দের ১৬ ই এপ্রিল।
(গ) অসমের প্রায়………. কিমি পথ নির্মাণ করা হয়েছে।
উত্তর:- ৪২,৬৪১
কি:মি:
(ঘ) ব্রহ্মপুত্র নদীর পাশে অবস্থিত দুটি জাহাজঘাট হল…….. এবং……… |
উত্তর:-
শিলঘাট ও ডিব্রুগড়।
(ঙ) গুয়াহাটি ও দিল্লির মধ্যে ……… খ্রিস্টাব্দ থেকে বিমান চলাচল শুরু হয়।
উত্তর:-
১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দে জানুয়ারী মাসে।
৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো –
(ক) জল পরিবহণ (খ) রেল পরিবহণ (গ) রোপওয়ে (ঘ) আকাশ পথ
উত্তর:- (ক) জল পরিবহণ :- ভারববর্ষে জলপথ দুই ভাগে বিভক্ত।
আন্ত:রাষ্ট্রীয় ও উপকূলীয় বা মধ্যে সামূদ্রিক জলপথ। ভারতবর্ষে এখন পর্যন্ত
কয়েকটি নদীতে আন্ত:দেশীয় জল পরিবহন ব্যবস্থা আছে। উত্তর ভারতের নদীগুলোতে
বারোমাস জলে পরিপূর্ণ থাকে ফলে সমস্ত বছরেই সেগুলোতে জল পরিবহন ব্যবস্থা ভালো
থাকে। তথা অনেক কম খরচে হয়।
ভারতের তিনটি প্রধান জলপথ হলো- গঙ্গা-ভাগীরথী-হুগলী, ব্রহ্মপুত্রের
শদীয়া-ধুবড়ী, পশ্চিম উপকূলীয় জল পরিবহন ব্যবস্থা।
অসমের শদিয়া থেকে ধুবড়ী পর্যত্ন ৮৯১ km দীর্ঘ জলপথকে রাষ্ট্রীয় জলপথ ঘোষনা
করা হয়েছে। বর্তমান ব্রাহ্মপুত্রের নদীর জাহাজঘাট গুলো হলো -ডিব্রুগড়,
দিসাংমুখ, শিলঘাট, নিমাতিঘাট, বিশ্বনাথ চারিয়ালি, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া ও
ধুবড়ী। বর্তমান দেশি-বিদেশি পর্যতকদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার সুবিধাজনক কিছু
বিলাসী জাহাজ ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর চলাচল করে।
(খ) রেল পরিবহণ :-রেল পরিবহন ব্যবস্থা হলো ভারতের একটি
গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা। ১৮৫৩ সালে ১৬ ই এপ্রিল মুম্বাই ও থানের মধ্যে
প্রায় ২১ মাইল দীর্ঘ রেলপথটি হলো ভারতের প্রথম সরকারিভাবে চলাচল করা রেলপথ।
ভারতবর্ষে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই প্রকার রেলপথ আছে যদিও পাহাড় অঞ্চলে ন্যারোগজ
রেলপথ আছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতে সিকিম ও মেঘালয়ে এখনো রেলপথের ব্যবস্থা
হয়ে উঠে নি।
অসমে সর্বপ্রথম ১৮৮২-৮৪ সালে ডিব্রু-শদিয়া রেলপথ নির্মাণ হয়েছিল। এই রেলপথ
ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়া জেলার চা, অপরিশোধিত তেল এবং বাঁশ ইত্যাদি উৎপাদন হওয়া
অঞ্চলে সংযুক্ত করা হয়েছিল।রেলপথের সাহায্যে মানুষ খুব সহজে ও কম খরচে এক স্থান
থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারে। প্রথম অবস্থায় রেলগাড়ী গুলো বাষ্পীয়
ইঞ্জিনের মাধ্যমে চালানো হত। কিন্তু এখন ইলেক্ট্রিক ও ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে
চালানো হয়।
(গ) রোপওয়ে :-রোপওয়ে হলো ভারতের অন্য এক যাতায়াত ব্যবস্থা। যা খুব কম খরচে পাহাড়ের দূর্গম অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধা দেয় এবং খনি থেকে চুনাপাথর, কয়লা ইত্যাদি খনিজ পদার্থগুলো উত্তোলন করতেও সাহায্য করে। অসমের কার্বি-আংলং এর ডিলাই পাহাড় ও বোকাজানের সিমেন্ট উদ্যোগের মধ্যে চুনাপাথর বহন করার জন্য ৩৫ km দূরত্বের একমাত্র রোপওয়ে ব্যবস্থা আছে।
(ঘ) আকাশ পথ :-ভারতবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি দুই প্রকারেই সেবা
আছে। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস ইত্যাদি বিমান সেবা সসরকারি
খন্ডের অন্তর্ভুক্ত বিমান সংস্থা। জেট এয়ারওয়াজ, এয়ার ডেকান, ইন্ডিগো, স্পাইস
জেট, কিংফিসার ইত্যাদি বেসরকারি খন্ডের বিমান সংস্থা। ভারতের প্রথম
ব্যক্তিগত বিমানবন্দর হলো কেরলের কোচিনে গগড়ে উঠেছে।
১৯৮১ খ্রীস্টাব্দে জানুয়ারী মাসে গুয়াহাটি ও দিল্লির মধ্যে বিমান চলাচল শুরু
হয়। অসমের সাথে সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতেও বিমান পরিবহনের
ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন – গুয়াহাটি-বরাপানি(মেঘালয়),
গুয়াহাটি-কমলপুর(ত্রিপুরা), ডিব্রুগড়ের চাবুয়া-তেজু(অরুণাচল প্রদেশ)। ইতিমধ্যো
গুয়াহাটির বরঝার বিমানবন্দর আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে উন্নতি হয়েছে।
৫। নীচের অশুদ্ধ বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখো
(ক) এখন পর্যন্ত মেঘালয় ও সিকিমে রেলপথের ব্যবস্থা হয় নি।
উত্তর:- শুদ্ধ
(খ) অসমের পথগুলোকে রাষ্ট্রীয় সড়কপথ, জেলা পূর্ত পথ, জেলা ও পঞ্চায়েত পথে
ভাগ
করতে পারি।
উত্তর:- শুদ্ধ
(গ) জল পরিবহণ ব্যবস্থা খুব ব্যয়বহুল।
উত্তর:- অশুদ্ধ
(ঘ) অসমের বিমান বন্দর থেকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
উত্তর:- অশুদ্ধ
(ঙ) ভারতে রোপওয়ে ব্যবস্থা আছে৷
উত্তর:- শুদ্ধ
Class 5 EVS Assam
*****