শস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পাঠ ১৩ Class IV Environment Question Answer
(toc)
শস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পাঠের প্রশ্ন উত্তর
১। উত্তর লেখো
(ক) মাটি কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ মাটি তিন প্রকার – বেলেমাটি, কাদা বা এঁটেল মাটি এবং পলিমাটি।
(খ) কোন্প্রকার মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় ?
উত্তরঃ পলিমাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।
(গ) খরার সময় / শীতকালে কীভাবে কৃষিক্ষেত্রে জল সরবরাহ করা হয় ?
উত্তরঃ খরার সময়/ শীতকালে কৃত্রিমভাবে জল সরবরাহ করা হয়। যেমন— বিদ্যুৎ বা
ডিজেল চালিত পাম্পের সাহায্যে নদী, পুকুর, অন্য জলাশয়, নলকূপ ইত্যাদি থেকে জল
শস্যক্ষেত্রে সরবরাহ করা হয়।
(ঘ) দুপ্রকার জৈবিক সারের নাম লিখো।
উত্তরঃ দুইপ্রকার জৈবিক সার হল — গোবর সার এবং মৃত গাছপালা ও জীবজন্তুর পচাগলা
অংশ মাটিতে মিশে যে স্যার হয় তাই।
(ঙ) কাদামাটির গঠন কীরকম ?
উত্তরঃ কাদামাটির কণিকা বা দানাগুলোর আকার অতি ছোটো ও কাদার পরিমাণ অধিক। এই মাটি
অনেকক্ষণ জল ধরে রাখতে পারে এবং বড়ই আঠাযুক্ত।
(চ) অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য কী কী প্রয়োগ করতে হয় ?
উত্তরঃ অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য উন্নত জাতের বীজ, জৈবিক সার ও কীটনাশক দ্রব্য
প্রয়োগ করতে হয়।
(ছ) শস্যগুলো কোথায় কোথায় সংরক্ষণ করে রাখা হয় ?
উত্তরঃ ধান সাধারণত শস্য গোলায় সংরক্ষণ করা হয়। বাঁশ দ্বারা তৈরি বড়ো বড়ো
ডুলিতে সরিষা বা ভালজাতীয় শস্য সারা বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। শস্যের বীজ
‘টোম’ নামক পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
২। শূন্যস্থান পূর্ণ করোঃ
(ক) বেলে মাটি __________ এবং এটা জল ধরে রাখতে পারে না।
উত্তরঃ ছিদ্রযুক্ত।
(খ) __________ মাটির কণিকা বা দানাগুলো অতি ক্ষুদ্র ও কাদার পরিমাণ বেশি।
উত্তরঃ কাদা বা এঁটেল।
(গ) __________ মাটিতে কাদা ও বালির পরিমাণ সমান।
উত্তরঃ পলি।
(ঘ) পলিযুক্ত মাটিতে __________ থাকে।
উত্তরঃ জৈবিক সার।
৩। শুদ্ধ উত্তরটিতে ‘✓’ চিহ্ন দাও ।
(ক) কেঁচোসার একপ্রকার জৈবিক সার।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) পলিযুক্ত মাটিতে জৈবিক সার থাকে না।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(গ) অসমের বেশিরভাগ কৃষক বৃষ্টির উপর নির্ভর করে চাষ করে।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঘ) উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য মাটির গুণাগুণ ছাড়াও সূর্যের আলো ও তাপ এবং জলের
আবশ্যক।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
৪। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাওঃ
উত্তরঃ
‘ক’ | ‘খ’ |
---|---|
পাম্প | কৃষিক্ষেত্রে জল সরবরাহ করা হয়। |
ট্রাক্টর | মাটি চাষানো হয়। |
টোম | বীজ সংরক্ষণের পাত্র। |
শীতল গোলা | গোলা শাক-সবজি , ফল-মূল ইত্যাদি। |
৫। শীতল ভাণ্ডার, পণ্যাগার ও টোমের বিষয়ে সংক্ষেপে বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ শীতল ভাণ্ডার — তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এমন খাদ্য সামগ্রী যেমন — শাকসবজি, ফল-মূল ইত্যাদি এক নির্দিষ্ট উষ্ণতায় শীতল রাখার জন্য যে গোলা ভাণ্ডার ব্যবহার করা হয় তাকে শীতল ভাণ্ডার বলে।
পন্যাগার — কৃষিজাত শস্য যেমন —ধান, ডাল , চা -পাতা ইত্যাদি বিশেষ ভাবে নির্মিত পণ্যাগারে রাখা হয়। এতে শস্য বহুদিন ধরে ভাল রাখার জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয়।
টোম — শস্যের বীজসমূহ বাঁশের তৈরি পাত্রে রাখা হয়। পাত্রটির ভিতর দিকে গোবর – মাটির হালকা প্রলেপ দেওয়া হয়। বীজ সংরক্ষণের এমন পাত্রকে ‘টোম’ বলে।