(toc)
পাঠ-১৪
স্বাধীনতা আন্দোলনে অসমের ভূমিকা
Class 5 EVS Assam in Bangla SCERT Board all notes in Bengali Medium.
পাঠ-১৪
স্বাধীনতা আন্দোলনে অসমের ভূমিকা || পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ আসাম বাংলা মাধ্যম।
১। উত্তর লেখো
(ক) ইয়ান্ডাবু সন্ধি কার কার মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর:- ১৮২৬ সালে ব্রহ্মদেশের
রাজা ও ব্রিটিশ সেনাপতির মধ্যে ইয়ান্ডাবু সন্ধি হয়েছিল।
(খ) কোন বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়?
উত্তর:-
সিপাহী বিদ্রোহকে।
(গ) অসমে সিপাহি বিদ্রোহের হাল কোন কোন ব্যক্তি ধরেছিলেন?
উত্তর:- অসমের
সিপাহী বিদ্রোহের হাল মণিরাম দেওয়ান ধরেছিলেন।
(ঘ) ব্রিটিশ সরকার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে অসমের শাসনভার কোন খ্রিস্টাব্দে
গ্রহণ করেছিল?
উত্তর:- ব্রিটিশ সরকার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে অসমের
শাসনভার ১৮৫৮ সালে গ্রহণ করে।
(ঙ) পাথরুঘাটের কৃষক বিদ্রোহে ব্রিটিশের গুলিতে কতজন ব্যক্তি শহিদ হয়েছিলেন?
উত্তর:-
পাথরুঘাটের কৃষক বিদ্রোহে ব্রিটিশের গুলিতে ১৪০ জন ব্যক্তি শহিদ হহয়েছিলেন।
২। শূণ্যস্থান পূর্ণ করো-
(ক) খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে অসমের কৃষকগণ ……… বিদ্রোহ করেছিলেন।
উত্তর:-
রঙিয়া গণ সম্মেলন
(থ) ……….. এর নেতৃত্বে সমগ্র ভারতে অহিংসা গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল।
উত্তর:-
মহাত্মা গান্ধী
(গ) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতাকারী প্রথম অসমিয়া ব্যক্তি
ছিলেন…….. ও………… ।
উত্তর:- গোমধর কোঁয়র।
(ঘ) ………. খ্রিস্টাব্দে পিয়লি ফুকন ইংরেজকে অসম থেকে বিতাড়িত করতে
প্রবলভাবে বিদ্রোহে নেমেছিলেন।
উত্তর:- ১৮৩০ খ্রীস্টাব্দে
৩.। “ক” অংশের সঙ্গে “খ” অংশ মেলাও –
উত্তর:-৪ । শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করো-
(ক) স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ভারতবর্ষ ফরাসি/পোর্তুগিজ/ইংরেজের অধীনে ছিল।
উত্তর:-
ইংরেজদের
(খ) ১৯৪৭/১৯৪৪/১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট তারিখে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়।
উত্তর:-
১৯৪৭
(গ) ১৮৬১/১৮৯৪/১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজরা আইন করে আফিং চাষ বন্ধ করেছিল।
উত্তর:-
১৮৬১
(ঘ) আহোম রাজারা ২০০/৬০০/৪০০ বছর অসমে রাজত্ব করেছিলেন।
উত্তর:- ২০০
৫ | সংক্ষিপ্ত ট্টীকা লেখো
(ক) পাথরুঘাটের বিদ্রোহ (খ) রঙিয়ার গণ সন্মেলন (গ) ফুলগুড়ির যুদ্ধ
উত্তর:- (ক) পাথরুঘাটের বিদ্রোহ :-ইংরেজ সরকার রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভূমির শ্রেণীর বিভাজন করে প্রতি দশ বছর অন্তর খাজনার পরিমাণ নির্ধারণ করেছিলেন। এতে কৃষকরা অসন্তোষ্ট হয়েছিলেন। ১৮৯৪ খ্রীস্টাব্দে ২৮ জানুয়ারি দরং অঞ্চলের অনেক কৃষক তাদের আপত্তি জানানোর জন্য দরং জেলার পাথরুঘাটের ডাক-বাংলাতে গিয়েছিলেন। বিদেশী ইংরেজ শাসকরা জনসাধারণের কথা না শুনে নিরীহ জনসাধারণের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছিল। ব্রিটিশের গুলিতে ১৪০ জন মানুষ শহিদ হয়েছিল।
(খ) রঙিয়ার গণ সন্মেলন :- ইংরাজরা ভূমির খাজনার হার সময়ে সময়ে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তদুপরি কর পরিশোধের জন্য মুদ্রায় ব্যবস্থা করায় কৃষকরা খুব অসুবিধায় পড়েছিলেন। কারণ আহোম রাজত্বকালে উৎপাদিত সামগ্রী বা শ্রমদান করে কর পরিশোধ করার নিয়ম ছিল। তাই দিশেহারা হয়ে বর্তমান গ্রাম্য কামরূপ জেলার অন্তর্ভুক্ত রঙিয়ার জনসাধারণ সম্মিলিত হয়ে কর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ক্ণ গোস্বামীর নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বর্দ্ধিত কর মুকুব করার জন্য আবেদন পত্রসহ তখনকার জেলা শাসক মেকাব সাহেবকে অনুরোধ করতে যান। জেলা শাসক আবেদনকারীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে তাদের বন্দী করে রেখেছিলেন।
১৮৯৪ সালে এই বন্দীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি
কৃষক রঙিয়াতে সমবেত হয়েছিলেন। জেলা শাসক এই সমাবেশকে বে-আইনী ঘোষণা করে
জনসাধারণের উপর গুলিবর্ষণ করার আদেশ দিয়েছিলেন। এই গুলি চালনায় অনেক কৃষক প্রাণ
আহুতি দিয়েছেন। এতিই গণ সম্মেলনের করুণ ইতিহাস।
একসময় অবিভক্ত কামরূপের
বজালি, বরমা, লাছিমা, হাজো, নলবারি, টিহু, বরভাগ ও নামবরভাগ অঞ্চলে কৃষক বিদ্রোহ
ছড়িয়ে পড়েছিল। সেজন্য কৃষকরা স্থানীয় ভাবে কৃষক সম্মেলন অনুষ্টিত
করেছিলেন। বর্দ্ধিত খাজনা প্রদান না করার সিদ্ধান্তই ছিল সবগুলো কৃষক
বিদ্রোহের উদ্দেশ্য।
(গ) ফুলগুড়ির যুদ্ধ :- ১৮৬১ খ্রীস্টাব্দে ইংরেজরা আইন করে আফিং চাষ বন্ধ করেছিলেন। নগাঁও জেলার ফুলুগুরির কৃষকরা ইংরেজদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য এক সভার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু ইংরেজরা ওই সভাতে কৃষকদের আপত্তি শোনার পরিবর্তে জোর করে সভাটি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করাছিলেন। ইংরেজদের এই কার্যে কৃষকরা অসন্তষ্ট হয়ে ব্রিটিশ সৈন্যের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। এই খন্ডযুদ্ধে একজন ইংরেজ সাহেবের মৃত্যু হয়েছিল। ইংরেজ সাহেবের মৃত্যুর চার দিনের পর ফুলুগুরির কৃষকরা আবার একটি সভায় মিলিত হয়ে ছিলেন। ইংরেজরা এ খবর পেয়ে সভায় সমবেত জনসাধারণের উপর গুলিবর্ষণ করেছিল। ইংরেজ আক্রমনে অনেক লোকের মৃত্যু হয়ছিল এবং অনেকই আহত হয়েছিল। কয়েকজন কৃষককে বন্দী করে ইংরেজরা ফাঁসি দিয়েছিল এবং বাকীদের যাবৎজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। ইংরেজদের বিপক্ষে এটাই ছিল প্রথম কৃষক বিদ্রোহ।