পেটুক দাসের স্বপ্ন
পড়তে এসে গদাইচরণ ভাবছে বসে বিকেলে
উচিত মতো ভরতে পারে পেটটা তাহার কী
খেলে।
সন্দেশ কি রসগোল্লা মুড়কি গজা কচুরি
অথবা কি রাবড়ি পায়েস
পোলাও লুচি প্রচুরই।
কতরকম আসছে মনে- কোনটা যে ছাই খাবে সে-
ভাবতে
গিয়ে তন্দ্রা এল, পড়ল ঢুলে আবেশে।
স্বপ্ন এল চোখটি জুড়ে- দেখল গদা ঘুমিয়ে-
এসেছে সে রাজ্যে নতুন, নতুন রকম
ভূমি এ।
ছানিয়ে গাঁথা বাড়ির সারি- মোহন ভোগের রাস্তা-
পথের ধারে গজার
গাছে ঝুলছে খাজা খাস্তা।
উড়ছে হাওয়ায় বুঁদের গুড়ো-পথের কাঁকড় মুড়কি
বরফিগুলি
ইটের বোঝা-মিহিদানা সুরকি।
গাছে গাছে চন্দ্রপুলি, আসকে, পাটি-সাপ্টা-
পড়ছে ঝরে যেমনি জোরে লাগছে ঝড়ের
ঝাপটা
সন্দেশেতে ঘাট বাঁধানো- দুধের নদী বয় রে-
সরবতেরি ঝরনা ঝরে- আর
কোথা কি হয়রে
ক্ষীর-দিঘিতে পদ্ম ফোটে টকটকে লাল পানতো
পদ্মপাতা ফুলকো
লুচি- কাঁপছে অবিশ্রান্ত।
দই-পায়েসের ভীষণ স্রোতে ভরছে নালা বিলটা-
দেখে শুনে অবাক গদাই,- বড়োই খুশি
দিলটা।
ভাবল আগে স্নানটা সারি তার পরেতে শেষটা
ইচ্ছামতো খাবার খেয়ে
ভরতে হবে পেটটা।
ক্ষীর-দিঘিতে যেই নেমেছে সারবে বলে স্নানটা
কোত্থেকে
এক সেপাই এসে ধরল তার কানটা।
লাফিয়ে উঠে গদাইচরণ দেখলে জেগে তাকিয়ে –
মাস্টার তার কান ধরেছেন – চক্ষু
দুটি পাকিয়ে৷