মঙ্গলকাব্য, পুতুলনাচ, টীকা, Bengali Short note.
মঙ্গল কাব্য
বাংলায় মধ্যযুগে বিভিন্ন দেব-দেবীর মাহাত্ম্য জ্ঞাপন করে মঙ্গল কাব্য রচনার খরার সূত্রপাত হয়েছিল। মনসা দেবীর মর্তে পূজাপ্রচারের কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছিল ‘মনসামঙ্গল’; দেবী চণ্ডীর পূজা-প্রচারের কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছিল ‘চণ্ডীমঙ্গল’। ঠিক একই রকমভাবে বাংলায় রচিত হয়েছিল ‘ধর্মমঙ্গল’, ‘কালিকামঙ্গল’, ‘যষ্ঠীমঙ্গল’, ‘দুর্গমঙ্গল’ ইত্যাদি গ্রন্থ।
পুতুলনাচ
পুতুলনাচের মাধ্যমে কোনো একটি আখ্যানের কাহিনি নাটকীয় ভঙ্গিতে করা হয়। সাধারণত এই অভিনয়-মাধ্যমের জন্য সোলার হালকা পুতুল তৈরি করা হয়। আখ্যানের বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে সংগতি রেখে অভিনেতা-পুতুলগুলোরও বেশ-ভূষা প্রস্তুত করা হয়। প্রতিটি পুতুলের হাত, পা, মাথা, কোমর ইত্যাদি অঙ্গ কালো রঙের সুতো দিয়ে বাঁধা থাকে এবং একজন সুদক্ষ পরিচালক প্রয়োজন অনুসারে সুতো টেনে পুতুলগুলোকে সজীব করে তোলেন এবং তাদের দিয়ে অভিনয় করান।
অভিনেতা-পুতুলগুলোকে নাচাতে একটি ছোটো মঞ্চের প্রয়োজন হয়। মঞ্চের পেছন দিকে একটি পর্দা থাকে। পর্দার আড়ালে পরিচালক পুতুলগুলোকে পরিচালনা করেন এবং সূত্রধার পুতুলগুলোর মুখে সংলাপ আরোপ করেন। পুতুলনাচে মাঝে মাঝে বিদুষক বা জোকার চরিত্রের প্রবেশ ঘটিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি করা হয়।
স্বাধীনতা আন্দোলন :- ব্রিটিশদের হাত থেকে আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য বহু লোক আন্দোলন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সরোজিনী নাইডু, আবুল কালাম আজাদ। আমাদের দেশে স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা বিদ্রোহগুলোই ছিলো আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা।
ভারতের সংবিধান :- আমাদের দেশের সংবিধানটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী করা হয়৷ এই সংবিধান অনুয়ায়ী ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম সমাজবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক গণরাজ্য৷
মৌলিক অধিকার :- ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই সু্যোগ সুবিধাগুলো হচ্ছে আমাদের মৌলিক অধিকার৷
মৌলিক কর্তব্য :- আমরা যে দেশে বাস করি সেই দেশের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। তখনই প্রকৃত পক্ষে রাষ্ট্রের সুনাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারি৷ আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের কিছু করণীয় কর্তব্য থাকে৷ ভারতীয় নাগরিকদের ১১ টি মৌলিক কর্তব্য আছে৷