ঝড়
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ে, ঝড় এল রে আজ-
মেঘের ডাকে ডাক মিলিয়ে বাজ্ রে মৃদঙ বাজ্।
আজকে তোরা কী গাবি গান কোন্ রাগিণীর সুরে ।
কালো আকাশ নীল ছায়াতে দিল যে বুক পুরে।
বৃষ্টিধারায় ঝাপসা মাঠে ডাকছে ধেনুদল,
তালের তলে শিউরে ওঠে বাঁধের কালো জল।
পোড়ো বাড়ির ভাঙা ভিতে ওঠে হাওয়ার হাঁক,
শুন্য খেতের ও পার যেন ও পারকে দেয় ডাক।
আয় গো তোরা ঘরেতে আয়, বোস্ গো তোরা কাছে
আজ যে আমার সমস্ত মন আসন মেলে আছে
জলে স্থলে শূন্যে হাওয়ায় ছুটেছে আজ কী ও।
ঝড়ের পরে পরান আমার উড়ায় উত্তরীয়।
আসবি তোরা কারা কারা বৃষ্টিধারার স্রোতে
কোন্ সে পাগল পারাবারের কোন্ পরপার হতে।
আসবি তোরা ভিজে বনের কান্না নিয়ে সাথে,
আসবি তোরা গন্ধরাজের গাঁথন নিয়ে হাতে।
কাজল মেঘে ঘনিয়ে ওঠে সজল ব্যাকুলতা,
এলোমেলো হাওয়ায় ওড়ে এলোমেলো কথা।
দুলছে দূরে বনের শাখা, বৃষ্টি পড়ে বেগে,
মেঘের ডাকে কোন্ অশান্ত উঠিস জেগে জেগে।
কবি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঋতুর বিষয়ে কিছুঃ-
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। একটা বছর বলতে
আমরা
বুঝি সূর্যকে পৃথিবীর একবার প্রদক্ষিণ করতে যে সময় লাগে, তাকে । একটি বছর
শেষ
হয়, আসে নতুন বছর প্রতি বছরে আছে ছয়টি ঋতু ৷
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। প্রতিটি ঋতুরই বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যেমন গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম, বর্ষাকালে বাদলধারা, শরৎকালের হালকা মেঘ ও সোনালি রোদ, কুয়াশা ঘেরা হেমন্ত, তীব্র ঠান্ডা নিয়ে শীতকাল। শীতকাল গাছের সব পাতা ঝরিয়ে দিয়ে বিদায় নেবার পর আসে বসন্তকাল। বসন্ত ঋতু শূন্য প্রকৃতিকে নতুন পাতা আর ফুল দিয়ে সাজিয়ে সুন্দর করে তোলে। এভাবে পৃথিবীর একবার ঘোরাও সম্পূর্ণ হয়। বছরও শেষ হয়।
আরোও পড়ুন