আকাশের কথা , আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি সেটা খুব সুন্দর। এখানে মানুষের সাথে অন্যান্য জীব-জন্তু, নানা রকম পশু-পাখি, গাছপালা, ইত্যাদি এক সঙ্গে বাস করে৷ ঠিক সেইরকম আকাশও খুব সুন্দর। আকাশে সূর্য, চন্দ্র, তারা ইত্যাদি আছে।
সকালে আর সন্ধ্যেবেলায় সূর্যের দিকে তাকালে সূর্যকে একটি বড় বলের মত দেখায়। সকাল এবং সন্ধ্যা ছাড়া দুপুরের দিকে সূর্যের দিকে সোজাসুজি তাকানো যায় না, কারণ এই সময়ে সূর্যের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ প্রখর এই তাপ চোখের ক্ষতি করে।
মেঘলা দিনে কখনও মেঘ এসে সূর্যকে ঢেকে দিলে আমরা সূর্যকে দেখতে পাই না। আগুনের মতো জ্বলতে থাকা সূর্য আলো ও তাপ দিয়ে থাকে। যারা আলো ও তাপ দেয় তাদের আমরা তারা বা নক্ষত্র বলি। তাই সূর্য একটি তারা বা নক্ষত্র।
আকাশে একরক অগণিত তারা রয়েছে। দিনের বেলা এদের দেখা যায় না। রাতের পরিষ্কার আকাশে তাকিয়ে দেখলে, সমগ্র আকাশ জুড়ে রয়েছে অগণিত তারা বা তারকা। দিনে তারা দেখা যায় না কারণ সূর্যের আলো তারার চেয়ে বেশি প্রখর। তারাগুলো দেখতে ছোট। আসলে এগুলোও খুব বড়ো। অনেক অনেক দূরে রয়েছে বলে এগুলোকে ছোট দেখায়।
সূর্য হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা বা নক্ষত্র ৷
সূর্য যে প্রতিদিনই এক দিকে উদয় হয় ও বিপরীত দিকে অস্ত যায়, সে জিনিসটা আমরা নিশ্চয়ই দেখেছি। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে ও পশ্চিম দিকে অস্ত যায়।
একটি সহজ উপায়ে দিক নির্ণয়
ভোররলা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে হাত দুটো দুইদিকে মেলে দিলে৷
- এখন তোমার সামনের দিক হচ্ছে পূর্ব এবং পেছন দিক পশ্চিম।
- তোমার বাঁ হাতের দিক উত্তর আর ডান হাতের দিক দক্ষিণ ৷
দিক প্রধানত চারটি – পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ।
রাত্রের আকাশে আমরা সূর্যকে দেখি না। দুই একদিন ছাড়া রাতের আকাশে দেখা যায়। চাঁদ সর্বদা একই আকৃতির থাকে না। কখনও গোল, কখনও থালার মতো, কখনও কাস্তের মতো। চাঁদকে যদিও সূর্যের মতো গোল দেখায় আসলে সূর্য চাঁদের চেয়ে অনেক গুণ বড়ো।
কিন্তু সূর্য আমাদের অনেক দূরে আর তুলনামূলকভাবে চাঁদ আমাদের অনেক কাছে। কাছে থাকার জন্য চাঁদকে সূর্যের মতো সমান দেখায়।
সূর্যের যেমন নিজস্ব আলো আছে, চাঁদের তেমনি নিজস্ব আলো নেই।
রাত্রে আকাশের দিকে তাকালে কিছু উজ্জ্বল জিনিস দেখা যায় যা জ্বলে এবং নেভে আর কয়েকটির আলো স্থির থাকে। তারাগুলো সূর্যের মত জ্বলে এবং আলো দেয়। কিন্তু স্থির হয়ে থাকা তারাগুলোর নিজস্ব আলো নেই। সূর্যের আলোয় ওদের উজ্জ্বল দেখায়।
চাঁদ সম্পর্কে কিছু কথা (Some Words about the Moon)
জোৎস্না রাতে চাদ সম্পূর্ণ গোল এবং উজ্জ্বল হয়। আলোও বেশি হয়। তাকেই পূর্ণিমা বলে।
আকাশের দিকে তাকালে দেখা যায় পূর্ণিমার পরদিন থেকে চাঁদ ধীরে ধীরে ছোট হয়ে অষ্টমদিনের দিন অর্ধেক দেখায়। এভাবে প্রতিদিন ছোট হতে থাকে আর আলোও কমতে থাকে। পনেরো দিনের দিন চাঁদকে একেবারে দেখাই যায় না। একেবারে অন্ধকার হয়ে যায়। সেই দিনটিকে অমাবস্যা বলে।
অমাবস্যার পর থেকে চাঁদকে চাঁদকে কাস্তের মতো দেখায় আর আকারে ক্রমান্বয়ে বড়ো হতে থাকে। পনেরো দিনের দিন আবার আকারে আগের মতো হয়ে যায়৷ আসলে চাঁদের আকারের পরিবর্তন হয় না। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে তাই মনে হয় আকারের পরিবর্তন হচ্ছে।
তারামণ্ডলে আকাশের সূর্য, চন্দ্র, তারা ইত্যাদিকে খুব সুন্দর করে দেখানো হয়। আকাশের বিচিত্র রূপ দেখার অন্য গুয়াহাটি তারামণ্ডলে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে।
Also Read – How is air Polluted বায়ু কীভাবে দুষিত হয় ?