বাঁশ বেতের সামগ্রী ও তাহার ব্যবহার (Uses of Bamboo) , বাঁশ-বেত দিয়ে কী কী জিনিস তৈরি করা যায়, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেক জিনিসের প্রয়োজন। এই জিনিসগুলো আমারা সাধারণত পরিবেশ থেকেই সংগ্রহ করি। যেমন- কাঠ, খড়, বাঁশ, বেত ইত্যাদি আমরা গাছপালা থেকেই পাই। আবার এই সামগ্রীর সাহায্যে আমরা নানারকম জিনিস তৈরি করি।
(toc)
Uses of Bamboo
অসমে বাঁশ-বেত প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়৷ আমাদের নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিস যেমন- ডালা, কুলা, চালনি, টুকরি, ঝাড়ু, চেয়ার, টেবিল, পাটি ইত্যাদি বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি।
বাড়ি সাজানো কিছু জিনিস যেমন- ফুলদানি, জাপি, টুপি, বাঁশের পর্দা ইত্যাদি ছাড়াও আজকাল বাঁশ-বেত দিয়ে নানা রকম ব্যাগ, অলংকার তৈরি হয়।
মাছ ধরার সরঞ্জাম যেমন – জাল, খলই, পলো, ঝাঁকি প্রভৃতি বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি। বিহুতে গগনা বাজানো হয়৷ সেই গগনা বাঁশ দিয়ে তৈরি। এছাড়া বাঁশি, ঢাকের কাঠি, দোতারা ইত্যাদি বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়৷
এইভাবে বাঁশ-বেতের তৈরি সামগ্রীগুলো বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়৷
অসমের নলবাড়ি জেলা বাঁশ-বেতের বিভিন্ন জিনিস ও জাপির জন্য বিখ্যাত। কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলা পাটি ও বেতের জিনিস উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
আমাদের গ্রামাঞ্চলে বেশির ভাগ মানুষের বাড়িতে তাত আছে। তাঁতশালে বাঁশ, বেত, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি অনেক ছোট-বড় সরঞ্জাম থাকে। অসমের তাঁতশিল্পীরা তাঁতশালে বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি করে।
কাপড় বোনা ও তাঁতশালের বিষয়ে কিছু কথা।
গরমদিনের আরামদায়ক সুতির কাপড় কার্পাস তুলা থেকে তৈরি৷ শীতের দিনে ব্যবহার করা এন্ডি চাদরগুলো এন্ডি সুতা থেকে তৈরি। তাঁতে সাধারণত সুতির কাপড়, এন্ডি এবং মুগার কাপড় বোনা হয়৷ অসমের পাট, মুগা এবং এন্ডি কাপড়গুলো দেশ-বিদেশ খ্যাতি লাভ করেছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে বেশি পরিমাণে কাপড় বোনার জন্য প্রচুর তাঁতশালের প্রয়োজন। এক সঙ্গে বেশি করে তাঁতে কাপড় বোনাকে বয়ন কেন্দ্র বলে৷
অসমের শুয়ালকুচি ও ঢকুয়াখানা পাট ও মুগা কাপড়ের জন্য বিখ্যাত ।
Also Read – শস্য ও চাষবাস, বৎসরের কোন সময় কি কি চাষ করা হয় ?