১) উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ- বীজ থেকে বেড়িয়ে যা মাটি ভেদ করে ওপরে ওঠে তাকে উদ্ভিদ বলে।
২) গাছকে উদ্ভিদ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ- গাছ বীজ থেকে বেড়িয়ে মাটি ভেদ করে ওপরে ওঠে তাই গাছকে উদ্ভিদ বলা হয়।
৩) উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে আগে কাকে পৃথিবীতে দেখা যায়?
উত্তরঃ- উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে আগে উদ্ভিদকে পৃথিবীতে দেখা যায় ৷
৪) উদ্ভিদ সজীব না নির্জীব বস্তু?
উত্তরঃ- উদ্ভিদ সজীব বস্তু, কারণ উদ্ভিদ জন্মায়, বেড়ে ওঠে এবং উদ্ভিদের মৃত্যুও হয়।
৫) গাছের প্রাণ আছে ইহা কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ- আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু।
৬) গাছের প্রাণ আছে ইহা কোন যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করা হয়েছে?
উত্তরঃ- গাছের প্রাণ আছে ইহা ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করা হয়েছে।
৭) গাছের জন্ম কী থেকে হয়?
উত্তরঃ- সাধারণত গাছের জন্ম বীজ থেকেই হয়, কোনো কোনো গাছের ডালপালা থেকে জন্ম হয়। আবার পাথরকুচি গাছের পাতা থেকেই নতুন গাছ জন্মায় ।
৮) গাছের কয়টি অংশ ও কী কী?
উত্তরঃ- গাছের পাঁচটি অংশ। যথা- মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল ও ফল।
৯) মূল কাকে বলে?
উত্তরঃ- উদ্ভিদের যে অংশ মাটির নীচে থাকে তাকে শিকড় বা মূল বলে।
১০) মূলের কাজ কী?
উত্তরঃ- গাছকে মাটির উপর শক্তভাবে ধরে রাখে। মাটি থেকে রস সংগ্রহ করে গাছের পুষ্টি জোগান দেয়৷
১১) কাণ্ড কাকে বলে?
উত্তরঃ- গাছের যে অংশ মাটির উপরে থাকে তাকে কাণ্ড বলে।
১২) কাণ্ডদের কাজ কী?
উত্তরঃ- শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল ও ফল ধারণ করা। এছাড়া শিকড়ের সংগৃহিত রস কাণ্ড পাতায় পৌঁছে দেওয়া।
১৩) পাতা কাকে বলে?
উত্তরঃ- গাছের কান্ড থেকে যে শাখা প্রশাখা বের হয় তার একদম ওপরে যে চওড়া ও সবুজ অংশ থাকে তাবে পাতা বলে।
১৪) পাতার কাজ কী?
উত্তরঃ- পাতা মূলের সংগৃহীত রস নিয়ে এবং সূর্যের আলো ও বাতাসের সাহায্যে গাছের খাবার তৈরি করে।
১৫) গাছের রান্না ঘর কাকে বলে?
উত্তরঃ- পাতাকে গাছের রান্না ঘর বলে।
১৬) পাতা সবুজ হয় কেন?
উত্তরঃ- গাছের পাতায় ক্লোরোফিল নামক এক ধরনের সবুজ কণিকা থাকে বলে গাছের পাতা রং সবুজ হয়।
১৭) গাছ কীসের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়?
উত্তরঃ- গাছের পাতায় যে অসংখ্য ছিদ্র আছে তাদের সাহায্যে গাছ শ্বাস প্রশ্বাস নেয় ৷
১৮) বৃক্ষ জাতীয় গাছ কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে সমস্ত গাছের কান্ড শক্ত ও যারা মাটির ওপর সোজা দাড়িয়ে থাকতে পারে তাদের বৃক্ষ জাতীয় গাছ বলে। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, বট, সেগুন প্রভৃতি
১৯) পাতা কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ- পাতা দুই প্রকার। যথা- সরল পাতা ও যৌগিক পাতা।
২০) সরল পাতা কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে পাতায় একটি মাত্র ফলক থাকে তাকে সরল পাতা বলে। যেমন–আম, কাঁঠাল।
২১) যৌগিক পাতা কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে পাতায় একের অধিক ফলক থাকে তাকে যৌগিক পাতা বলে। যেমন- নিম, বেল, তেঁতুল।
২২) লতানো গাছ কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে গাছের কাণ্ড নরম অর্থাৎ যারা মাটির উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তাঁদের লতানো গাছ বলে। যেমন- লাউ গাছ, কুমড়ো গাছ, পটল গাছ, সিম গাছ ইত্যাদি।
২৩) গাছ আমাদের কী উপকার করে?
উত্তরঃ- গাছ বাতাস থেকে বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বাতাসকে বিশুদ্ধ করে এবং অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে যা আমরা গ্রহণ করে বেঁচে থাকি। এছাড়া গাছ মাটির ক্ষয় রোধ করে।
২৪) উদ্ভিদ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ- উদ্ভিদ দুই প্রকার। যথা- সপুষ্পক
উদ্ভিদ ও অপুষ্পক উদ্ভিদ।
২৫) সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে উদ্ভিদে ফুল ও ফল হয় তাদের সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে।
২৬) অপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে উদ্ভিদে ফুল ও ফল কোনোটাই হয় না তাকে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে।
২৭) কোন্ গাছের পাতা থেকে নতুন গাছ জন্মায় ?
উত্তরঃ- পাথরকুচি পাতা থেকে গাছ জন্মায়।
২৮) কোন গাছের পাতা দেখতে বল্লমের মতো?
উত্তরঃ- বাঁশ গাছের পাতা।
২৯) কোন গাছের পাতা ডিমের মতো দেখতে?
উত্তরঃ- বট গাছের পাতা দেখতে ডিমের মতো।
৩০) কোন গাছের পাতা দিয়ে চাটাই তৈরি হয়?
উত্তরঃ- তাল পাতা ও খেজুর পাতা দিয়ে চাটাই তৈরি হয়।
৩১) কোনো গাছের পাতায় কাঁটা আছে?
উত্তরঃ- খেজুর গাছের, বেগুন গাছের পাতায় কাঁটা আছে।
৩২) কোন গাছ থেকে গুড়, চিনি তৈরি হয়?
উত্তরঃ- আখ গাছ থেকে গুড়, চিনি তৈরি হয়৷
৩৩) লবঙ্গ কী?
উত্তরঃ- লবঙ্গ একপ্রকার গাছের ফুল।
৩৪) গঁদ কী?
উত্তরঃ- বাবলা গাছের আঠা।
৩৫) দারুচিনি কী?
উত্তরঃ- দারুচিনি একপ্রকার গাছের ছাল।
৩৬) ধুনো কী?
উত্তরঃ- শাল গাছের শুকনো আগঠা।
৩৭) পোস্ত কী?
উত্তরঃ- আফিম ফলের বীজ।
৩৮) চা কী?
উত্তরঃ- চা একধরনের গাছের পাতা।
৩৯) কফি কী?
উত্তরঃ- কফি এক প্রকার গাছের ফসল, এই ফলকে গুঁড়ো করে কফি তৈরি হয়।
৪০) রাবার কী?
উত্তরঃ- হিভিয়া গাছের রস। এই রস হাওয়ায় জমিয়ে রাবার তৈরি হয়।
আরোও পড়ুন –
- সুষম আহার কাকে বলে?
৪১) কোন্ গাছের ফুল দেখা যায় না?
উত্তরঃ- ডুমুর গাছের গাছের ফুল দেখা যায় না।
৪২) চিরহরিৎ উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ- যেসব উদ্ভিদের বিশেষ ঋতুতে ঝরে পড়ে না, তাদের চিরহরিৎ উদ্ভিদ বলে।
৪৩) কোন্ গাছের ছাল দিয়ে কুইনান ওষুধ তৈরি হয়?
উত্তরঃ- সিঙ্কোনা গাছের ছাল দিয়ে কুইনান ওষুধ তৈরি হয়৷
৪৪) কোন্ গাছের রস থেকে তারপিন তৈরি হয়?
উত্তরঃ- পাইন গাছের রস থেকে তারপিন তৈরি হয়৷
৪৫) কোন্ গাছ থেকে কর্পূর তৈরি হয়?
উত্তরঃ- কেমফরলবেল গাছ থেকে কর্পূর তৈরি হয়।
৪৬) পৃথিবীর সবচেয়ে বৃদ্ধ গাছটির নাম কী?
উত্তরঃ- ক্যালিফোর্ণিয়ার জঙ্গলে “ওয়ালিং টেনিয়া” এই গাছটি ৪ হাজার বছরেরও বেশিদিন ধরে বেঁচে আছে।
৪৭) পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু গাছ কোনটি?
উত্তরঃ- রেড উড। (উচ্চতা ৩৬৫ ফুট)