একটি মিশমি রূপকথা প্রশ্ন উত্তর , চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর পাঠ-২ । Class IV Bengali Lesson 2 Ekti Mishmi Rupkatha All Question Answer Assam. Class IV bengali question answer.
(toc)
ক্রিয়াকলাপ
ক — পাঠভিত্তিক
পাঠটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর বলো ও লেখো।
(ক) কামলাং নদী কোন প্রদেশে ?
উত্তরঃ কামলাং নদী অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত।
(খ) কামলাং নদীতে কে মাছ ধরতে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ কামলাং নদীতে কোয়ানড্ডসা মাছ ধরতে গিয়েছিল।
(গ) কোয়ান্সা নদীতে খলুই পেতে রেখে কী পেয়েছিল ?
উত্তরঃ কোয়ান্সা নদীতে খলুই পেতে দুটো অচেনা মাছ পেয়েছিল।
(ঘ) বড়ো মাছটি কোয়াসা কোথায় জিইয়ে রেখেছিল ?
উত্তরঃ বড়ো মাছটি কোয়াসা লাউয়ের খোলায় জিইয়ে রেখেছিল।
(ঙ) কোয়াসার ঘর কোন জিনিসে ভরে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ কোয়াসার ঘর কাপড়ে ভরে গিয়েছিল।
(চ) তাঁতে খট্খট্ করে কে কাপড় বুনছিল ?
উত্তরঃ তাঁতে খট্খট্ করে হামব্রুমাই কাপড় বুনছিল।
(ছ) কে হামব্র-মাই-কে কাপড় বুনতে বলেছিলেন ?
উত্তরঃ আদি মানবী নিমকে হামব্রু মাইকে কাপড় বুনতে বলেছিলেন।
কে কাকে বলেছিল লেখো।
(ক) “তুমি কে গো? কোত্থেকে এসেছ ? কাপড় বুনতে শিখলে কী করে ? এই ফুলগুলোর
নকশাইবা পেলে কোথায় ?’
উত্তরঃ কোয়াসা এই উক্তিটি হামব্রুমাইকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল।
(খ) “আকাশের নানা রং, মেঘের লুকোচুরি খেলা আর মাছের আঁশের চেকনাই আমার কাপড়ে ফুল
হয়ে ফুটে উঠেছে।”
উত্তরঃ হামব্রুমাই কোয়ানসার করা প্রশ্নের উত্তরে আলোচ্য উক্তিটি করেছিল।
খ—ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
অনেক সময় আমরা আমাদের ব্যবহৃত ভাষায় এমন কিছু বাক্যের ব্যবহার করে থাকি যার মধ্যে গভীর অর্থ লুকিয়ে থাকে। এই বাক্যগুলোকে প্রবাদ, প্রবচন বাগ্ধারা প্রভৃতির অন্তর্গত বলে ধরা হয়। যেমন—
১। “পেটে গামছা বাঁধা।”
২। “আগুন নিয়ে খেলা।”
৩। “মাথার ঘাম পায়ে ফেলা।”
এ সমস্ত বাক্যগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ হলো–
১। ‘পেটে গামছা বাঁধা? অর্থ হলো উপোস করে থাকা।
২। ‘আগুন নিয়ে খেলা’-এর অর্থ হলো অতি বিপদজনক বস্তুকে নিয়ে কাজ করা।
৩। ‘মাথার ঘাম পায়ে ফেলা’ অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রম করা।
বাক্য রচনা করো।
চোখ কপালে ওঠা, মেঘের লুকোচুরি, আহ্লাদে আট্খানা, দমকা হাওয়া।
উত্তরঃ চোখ কপালে ওঠা – (অবাক হয়ে যাওয়া) – রমেশ এক লাখ টাকা পুরস্কার পাওয়ায় পরেশের চোখ কপালে ওঠে।
মেঘের লুকোচুরি – (কখনও প্রকাশ পাওয়া কখনও আত্মগোপন করা) – চোরটি সুযোগ বুঝে কখন প্রকাশে আসে আবার পুলিশ দেখে সুযোগ বুঝে লুকিয়ে পড়ে। এতো চোর পুলিশের মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছে।
আহ্লাদে আটখানা – (আনন্দে আত্মহারা) – বহুদিন পর ছেলেকে দেখে রমেনবাবু আহ্লাদে আটখানা হয়ে উঠেছেন।
দমকা হাওয়া – (হঠাৎ ঝড় বয়ে যাওয়া) — রমেনবাবুর সুখের সংসারে হঠাৎ দমকা হাওয়া এসে সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। তাঁর সুখের সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে।
তোমাদের পাঠে ছিপছিপে সুন্দরী, ঝলমলে কাপড় এ ধরনের কিছু শব্দ রয়েছে। ছিপছিপে, ঝলমলে এ ধরনের শব্দগুলোকে ধন্যাত্মক শব্দ বলে। এ ধরনের আরও কিছু শব্দ হলো —
উত্তরঃ টলমলে জল, কনকনে শীত, ঝিরঝিরে বৃষ্টি, নড়বড়ে চেয়ার, কনকনে হাওয়া, ঝকঝকে থালা ইত্যাদি।
এখানে টলমলে, কনকনে, ঝিরঝিরে, নড়বড়ে, কনকনে, ঝকঝকে ইত্যাদি শব্দগুলো ধন্যাত্মক শব্দ।
এসো, পাঠটির যুক্তবর্ণযুক্ত শব্দগুলো বের করে লিখি।
উত্তরঃ রু, ট্ট, স্য, ন্তু, গ্র, ন্ধ, হু, অ্যা, ত্ত, স্ম, স্তু, খ, ব্রু, দ্ব, গ্ধ, ঙ্গ, জ্ঞ।
ছোট্ট, কিন্তু, আহ্লাদ, বিস্ময়, স্তূপ, সুন্দরী, কোত্থেকে হামব্রুমাই, বুদ্বুদ, মুগ্ধ, মনোবাঞ্ছা।
নীচের বাক্যগুলো পড়ো এবং ওই বাক্যগুলোকে প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উদাহরণ – আমি হাম মাই — তুমি কে?
১। আমি হামব্রুফৈদের মেয়ে।
উত্তরঃ তুমি কাদের মেয়ে?
২। আমার ঘর কামলাং-এ।
উত্তরঃ তোমার ঘর কোথায়?
৩। আমি বাজার থেকে এসেছি।
উত্তরঃ তুমি কোথা থেকে এসেছ?
৪। আমি রূপকথা শুনতে ভালোবাসি।
উত্তরঃ তুমি কি ভালোবাসো?
৫। কোয়াসা মাছ ধরতে ভালোবাসে।
উত্তরঃ কোয়াসা কি ভালোবাসে?
যুক্তবর্ণ ভেঙে পড় ও লিখো।
যুগ্ম—গ্ম = গম + গ-এ মগ্ন, অযুগ্ম
হামব্রু ব্রু–ব + র এ-উ ব্রু ডিব্ৰুগড়, বধ্রুবাহন।
তোমাদের পাঠে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলোর মানে কিছু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে নতুন শব্দের রূপ পেয়েছে। শব্দে ব্যবহৃত এই চিহ্নগুলোকে বিভক্তি চিহ্ন বলে। এই চিহ্নগুলো হলো— এ, তে, য়, এতে, রে, র, এর কে ইত্যাদি।(alert-success)
এভাবে বাক্যের শব্দগুলোর সাথে বিভক্তির চিহ্নগুলো যুক্ত হয়ে থাকে।
নীচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে বের করে লেখো।
সন্ধেবেলা, চেনা, বড়ো, অপকার
উত্তরঃ সন্ধেবেলা — সকালবেলা।
চেনা — অচেনা।
বড়ো — ছোট।
অপকার — উপকার।
গ—জ্ঞান-সম্প্রসারণ
কোয়ান্সা কামলাং নদীতে খলুই দিয়ে মাছ ধরেছিল। তোমরা কি খলুই দেখেছ? খলুই ছাড়া
অন্য কী কী উপায়ে মাছ ধরা যায় লেখো।
উত্তরঃ গ্রামের পুরুষ ও মহিলাদের খালে, বিলে, পুকুরে খলুই দিয়ে মাছ ধরতে দেখতে
পাই আমরা।
হামব্রুমাই তাঁতে কাপড় বুনেছিল। এছাড়া অন্য কোন উপায়ে কাপড় বোনা যায়?
তোমাদের আশপাশে অথবা দূরদর্শনে কোন পদ্ধতিতে তাঁত বোনা দেখেছ লেখো।
উত্তরঃ চরকায় কাপড় বোনা যায়। আধুনিক জীবনে কাপড়ের কলকারখানায় ইলেকট্রিক
মেশিন ব্যবহার করে কাপড় বোনা হয়ে থাকে। দুরদর্শনে কখনও আমরা মহিলাদের কাপড়
বুনতে দেখে থাকি।
অরুণাচল অসমের পার্শ্ববর্তী রাজ্য। অসমের চারপাশে অবস্থিত অন্য রাজ্যগুলোর নাম
লেখো। প্রয়োজনে মানচিত্রের সাহায্য নাও।
উত্তরঃ অসমের চারপাশের রাজ্যগুলোর নাম হলো, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম,
নাগাল্যাণ্ড, মণিপুর এবং সিকিম রাজ্য।
কামলাং নদী অরুণাচলে অবস্থিত। অরুণাচল থেকে অসমের দিকে প্রবাহিত অন্যান্য
নদীগুলোর নাম লেখো। (প্রয়োজনে মানচিত্র ব্যবহার করবে)
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র, নুংপু, সুবর্ণগিরি, বুড়ি ডিহিং, ডিবং, লোহিত ইত্যাদি নদী।
মাছ কতো রকমভাবে খাওয়া যায় বলো ও লেখো?
উত্তরঃ ক) রান্না করে।
খ) মশলা মেখে পাতায় মুড়িয়ে আগুনে সেঁকে।
গ)মাছকে আগুনে পুড়িয়ে।
ঘ) রোদে বা উনুনের আগুনের তাপে ধীরে ধীরে শুকিয়ে নিয়ে।
‘কি’ এবং ‘কী’ এই শব্দ দুটি প্রশ্ন করার সময় আমরা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই শব্দে দুটির ব্যবহার একই রকম ক্ষেত্রে হয় না যেমন—
কি—যদি প্রশ্নের জবাব ‘হ্যাঁ কিংবা ‘না’ হয় সেক্ষেত্রে ‘কি ব্যবহার হয়। যেমন—তুমি ভাত খেয়েছ কি?
কী—যদি প্রশ্নের জবাবে কোনো তথ্য বা বিষয় প্রকাশ পায় সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয়। যেমন—তোমার নাম কী?
এবার নীচের প্রশ্নগুলোতে ‘কি’ অথবা ‘কী’ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো।
(ক) তোমার বাবার নাম—?
(খ) তুমি স্কুলে যাবে—?
(গ) আজ বৃষ্টি আসবে—?
(ঘ) অসমের পার্শ্ববর্তী রাজ্যের নাম—?
উত্তরঃ (ক) তোমার বাবার নাম কী?
(খ) তুমি স্কুলে যাবে কি?
(গ) আজ বৃষ্টি আসবে কি?
(ঘ) অসমের পার্শ্ববর্তী রাজ্যের নাম কী?
মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামগুলো হলো—খলুই, জাল, বড়শি, কোঁচ। এই সরঞ্জামগুলোর সাথে কোন শব্দ ব্যবহার করতে হয় জেনে নাও:
খলুই পাতা
জাল মারা
বড়শি পাতা
কোঁচ মারা
আলোচ্য পাঠের রূপকথাতে মাছ থেকে হামব্রুমাই নামে একটি ছিপছিপে মেয়ে বেরিয়ে
এসেছিল। আর কোন কোন রূপকথায় এরকম জীবজন্তু থেকে যুবক-যুবতী বেরিয়ে আসার গল্প
রয়েছে তা সংগ্রহ করে পড়ো।
উত্তরঃ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীর কাছে এই ধরনের গল্প শুনে নেবে, এছাড়া
নিজেরা রূপকথার গল্পের বই পড়ে এই ধরনের গল্প জানার চেষ্টা করবে।
ঘ-প্রকল্প
অসমের ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর দ্বারা ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদের নাম সংগ্রহ করে
লেখো।
উত্তরঃ মেখলা চাদর, দখনা, খেস্, ডাক মানদা, জেমসাং।
বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী কে কী ধরনের পোশাক ব্যবহার করছে ছবি দেখে সেই
পোশাকগুলোর নাম বলো ও লেখো ।
উত্তরঃ ক) ১নং চিত্রে উকিল আদালতে যাবার সময় তার কালো কোর্ট প্যান্ট পরিধান
করেছে।
খ) ২নং চিত্রে ফুটবল খেলার সময় খেলোয়াড় তার জার্সি পরিধান করেছে।
গ) ৩নং চিত্রে মহিলা শাড়ি ব্লাউজ পরে মাথায় জিনিস নিয়ে যাচ্ছে।
ঘ) ৪নং চিত্রে মহিলা মাছ মারার সময় হাটুর উপর মেথুনি।
ঙ) ৫নং চিত্রে পাহারাদার ইউনিফর্ম পরে হাতে বন্ধুক নিয়ে মাথায় টুপি পরে পাহারা
দেয়।
চ) ৬নং চিত্রে বিহুনাচের সময় মেঘলা চাদর পরে থাকে।
পরবর্তী পাঠ- ৩ কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা