তিনটি মাছের কাহিনি পাঠের প্রশ্ন উত্তর পাঠ-১০, পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা অসম
(toc)
পাঠটি শুদ্ধ উচ্চারণ করে পড়ো এবং নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
তিনটি মাছের কাহিনি
(ক) ‘তিনটি মাছের কাহিনি ‘র মাছগুলোর নাম কী কী?
উত্তরঃ- ‘তিনটি মাছের
কাহিনি ‘র মাছগুলোর নাম হল – অনাগতবিধাতা, প্রত্যুৎপন্নমতি, যদভবিষ্যৎ।
(খ) অনাগতবিধাতা কেন শঙ্কিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- জেলেরা বিলের কাছে এসে বলেছিল
যে এই বিলটিতে বহুদিন মাছ মারা হয়নি। তাহলে নিশ্চয়ই এখানে বড়ো বড়ো মাছ
আছে। তাই পরিদিন সকালে এসে বিলের সব মাছ মারতে হবে। এই কথা ভেবে অনাগতবিধাতা
শঙ্কিত হয়েছিল।
(গ) অনাগতবিধাতার কথা কে সমর্থন করেছিল?
উত্তরঃ- অনাগতবিধাতার কথা
প্রত্যুৎপন্নমতি সমর্থন করেছিল।
(ঘ) কে বিপদের কথা না ভেবে একগুরেমি করে মৃত্যুকে বরণ করে নিল?
উত্তরঃ-
যদভবিষ্য বিপদের কথা না ভেবে একগুঁয়েমি করে মৃত্যুকে বরণ করে নিল।
(ঙ) জেলেরা পুকুরে কী দিয়ে মাছ মারে?
উত্তরঃ- জেলেরা পুকুরে জাল দিয়ে মাছ
মারে।
বলো ও লেখো।
নীচের কথাগুলো কে, কী উদ্দেশ্যে কাকে বলেছিল?
(ক) “আপনি সত্য কথাই বলেছেন। আমি মনে করি যত শীঘ্র সম্ভব এই বিল অন্য কোনো
খাল-বিলে চলে যাওয়া উচিত”
উত্তরঃ- কথাটি প্রত্যুৎপন্নমতি
অনাগতবিধাতাকে বলেছিল। একদিন বিলে সাঁতার কাটার সময় অনাগতবিধাতা শুনলো জেলেরা
বিলের পাড়ে এসে আলোচনা করছে যে বিলটিতে অনেকদিন মাছ না ধরায় বড়ো বড়ো মাছ আছে,
তাই পরদিন এসে সব মাছ ধরে নিয়ে যাবে। জেলেদের কথা শুনে আতঙ্কিত অনাগতবিধাতা
বিলের অন্যান্য মাছেদের ডেকে এনে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করে বলল যে বিপদ আগে তাদের এই
বিল পরিত্যাগ করা উচিত। কারণ দুর্বল সর্বদা নিজেদের বাঁচিয়ে চলে অথবা সুরক্ষিত
স্থানে থাকে। অনাগতবিধাতার কথা শুনে প্রত্যুৎপন্নমতি উপরের মন্তব্যটি করেছিল।
(খ) “অন্যের মুখের কথাতেই বাবা-ঠাকুর্দার এই স্থান পরিত্যাগ করে যাওয়া জন্য খুব
যুক্তিযুক্ত কাজ হবে না।”
উত্তরঃ- কথাটি যদভবিষ্য অনাগতবিধাতা এবং
প্রত্যুৎপন্নমতিকে বলেছিল।অনাগতবিধাতা জলে সাঁতার কাটার সম শুনেছিল কয়েকজন জেলে
এসে বিলের পাশে আলোচনা করছিল যে বিলটিতে অনেকদিন মাছ ধরা হয়নি। এখানে অনেক বড়ো
বড়ো মাছ আছে। পরদিন সকালে এসে সব মাছ ধরে নিয়ে যাবে। জেলেদের কথা শুনে আতঙ্কিত
অনাগতবিধাতা প্রত্যুপন্নমতি ও যদ্ভবিষ্যকে সব ঘটনার বিশদ বর্ণনা দেওয়ার পর
বলেছিল যে বিপদ তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বিপদ আসবার আগেই রাতের মধ্যে
অন্যস্থানে চলে যাওয়া উচিত। কারণ দুর্বল সর্বদা নিজেদের বাঁচিয়ে চলে অথবা
সুরক্ষিত স্থানে থাকে। অনাগতবিধাতার কথাকে প্রত্যুৎপন্নমতি সমর্থন জানায়। কিন্তু
যদভবিষ্য অরাজি হয়। এই আলোচনা তার ভালো লাগেনি। সে মনে করে যখন আয়ু শেষ হবে তখন
অন্য স্থানে গেলেও মৃত্যু হবে। কোনো একজনকে বনে বিসর্জন দেওয়া সত্ত্বেও বেঁচে
থাকে এবং অপর একজন সুরক্ষিত অবস্থায় ঘরে থেকেও মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তাই অন্যের
মুখের কথাতেই বাবা-ঠাকুর্দার এই স্থান পরিত্যাগ করে যাওয়া যুক্তিযুক্ত কাজ হবে
না।
(গ) “কাল সকালে জেলেরা এসে বিলের সব মাছ মেরে শেষ করে ফেলবে। “
উত্তরঃ-
অনাগতবিধাতা, প্রত্যুৎপন্নমতি এবং যদভবিষ্য কথাটি বলেছিল।
একটি বিলে অনাগতবিধাতা, প্রত্যুৎপন্নমতি এবং যদভবিষ্য নামে তিনটি বড়ো মাছ একসঙ্গে বসবাস করত৷ একদিন বিলে সাঁতার কাটার সময় অনাগতবিধাতা কয়েকজন জেলের কথা শুনতে পেল৷ জেলেরা বলছিল যে এই বিলটিতে বহুদিন কোনো মাছ মারা হয়নি। এখানে নিশ্চয়ই অনেক বড়ো বড়ো মাছ আছে। পরদিন সকালে এসে এই বিলের মাছ মারতে হবে। এই কথাবার্তা বলে জেলেরা বাড়ি চলে গেল।
জেলেদের কথা শুনে অনাগতবিধাতার মাথায় বজ্রপাত হল। সে এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে বিলের সব মাছকে ডেকে এনে জেলেদের কথাবার্তা বিশদভাবে বর্ণনা করার সময় উপরের কথাটি বলেছিল।
গল্পটি নিজের ভাষায় বলো ও লেখো।
উত্তরঃ- জেলেদের আলোচনা
শুনে অনাগতবিধাতা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিল। সে সকলের ভালোর জন্য বিলের সমস্ত
মাছদের ডেকে আসন্ন বিপদের কথা বলেছিল। অনাগত বলেছিল যে বিলের মাছেরা সবাই
হয়ত
শুনেছে পরদিন সকালে এসে জেলেরা বিলের সব মাছ মেরে শেষ করে ফেলবে। বিপদ তাদের
হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তাই বিলে আর এক মুহূর্তও থাকা উচিত নয়, রাতের মধ্যেই অন্য
স্থানে চলে যেতে হবে।কারণ দুর্বলেরা সব সময় নিজেদের বাঁচিয়ে চলে অথবা সুরক্ষিত
স্থানে থাকে।
অনাগতবিধাতার কথাকে সমর্থন করে প্রত্যুৎপন্নমতি বলল যে অনাগত বিধাতা সত্যি কথাই বলেছে। সেও মনে করে যত দ্রুত এই বিল ছেড়ে অন্য কোনো খাল বিলে চলে যাওয়া উচিত। কারণ যার বেঁচে থাকবার উপায় আছে সে বিনা কারণে মৃত্যুবরণ করবে না।
অনাগতবিধাতা ও প্রত্যুৎপন্নমতির কথাকে সমর্থন না করে যদভবিষ্য বলেছিল যে এই
আলোচনা তার ভালো খুব লাগেনি। যখন আয়ু শেষ হবে তখন অন্য কোনো জায়গায় গেলেও
মৃত্যু হবে। কোনো একজনকে
বিসর্জন দেওয়া সত্বেও বেঁচে থাকে এবং অপর একজন
সুরক্ষিত অবস্থায় থেকেও মৃত্যুমুখে পতিত হয়। সমাজে কথিত আছে যে অসুরক্ষিতকে
দেবতা রক্ষা করেন। যে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছে তাকেই দেবতা বিনাশ করেন। অন্যের
মুখের কথাতে বাবা-ঠাকুর্দার এই দান পরিত্যাগ করে যাওয়া খুব যুক্তিযুক্ত কাজ হবে
না। সেজন্য কোথাও যাবে না। অনাগতবিধাতা ও প্রত্যুৎপন্নমতি যা ভালো করুক। পরদিন
সকালে জেলেরা অন্যান্য মাছের সঙ্গে যদভবিষ্যকেও ধরে নিয়ে চলে গেল।
জীবনের প্রতি পদক্ষেপে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, বিপদের সাবধানতা অবলম্বন করলে সুখে বাঁচা যায়। বিপদের কথা না ভেবে একগুঁয়ে মনোভাবের জন্য যদ্ভবিষ্যর বিনাশ হল।
নীচের শব্দগুলোর অর্থ শব্দ সম্ভার বা অভিধান থেকে দেখে লেখো।
অনাগতবিধাতা – পরিণাম বিবেচনা করে ব্যবস্থা করে এমন ব্যক্তি।
প্রত্যুৎপন্নমতি
– উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগের ক্ষমতা।
যদভবিষ্য – যে সময় থাকে৷
হাতছানি
– হাত নেড়ে ডাকা।
মুহূর্ত – অতি অল্প সময়।
যুক্তিযুক্ত – যথোচিত।
সুরক্ষিত
– ভালোভাবে রক্ষিত।
একগুঁয়ে – একরোখা।
বিনাশ – ধ্বংস৷
পাঠটি ভালো করে পড়ে নীচের অসম্পূর্ণ বাক্যগুলো সম্পূর্ণ করো।
(ক) জেলেদের কথা শুনে অনাগতবিধাতার _________________।
উওরঃ- জেলেদের
কথা শুনে অনাগতবিধাতার মাথায় বজ্রপাত হল।
(খ) যদ্ভবিষ্যের এধরনের একগুয়ে মনোভাব দেখে তাকে ছেড়েই ___________
সপরিবার অন্য বিলে চলে গেল।
উওরঃ- যদ্ভবিষ্যের এধরনের একগুয়ে মনোভাব দেখে
তাকে ছেড়েই অনাগতবিধাতা ও প্রত্যুৎপন্নমতি সপরিবার অন্য বিলে
চলে গেল।
(গ) __________________ অবলম্বন করে অনাগতবিধাতা এবং প্রত্যুৎপন্নমতি সুখে বেঁচে
থাকল।
উওরঃ- বিপদের পূর্বেই সাবধানতা অবলম্বন করে
অনাগতবিধাতা এবং প্রত্যুৎপন্নমতি সুখে বেঁচে থাকল।
খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
এসো, যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে পড়ি।
ন্ন, ম্ভ, শ্চ, ন্ধ, ন্দ, স্থ, ন্ম
ন্ন – ন + ন ন-এ ন, যেমন – প্রসন্ন, প্রত্যুৎপন্নমতি
ম্ভ – ম + ভ মু-এ ভ, যেমন – সম্ভব, সম্ভার
শ্চ – শ + চ শ-এ চ, যেমন – নিশ্চয়, পশ্চিম
ন্ধ – ন + ধ ন-এ ধ, যেমন – অন্ধ, সন্ধান
ন্দ – ন + দ ন-এ দ, যেমন – সুন্দর,আনন্দ
স্থ – স+থ স-এ থ, যেমন – স্থান, স্থল
ন্ম – ন + ম ন-এ ম, যেমন – জন্ম, উন্মাদ
ক, খ, ত, থ, প, ফএবং ম এই প্রত্যেকটি বর্ণের সঙ্গে ‘স’ যোগ হয়। যেমন – বয়স্ক, স্খলন, অস্ত, স্থান, স্পন্দন, স্ফটিক, ভস্ম ইত্যাদি ।
উদাহরণের মতো ‘অ’ যোগ করে বিপরীত অর্থের শব্দ গঠন করো।
উদাহরণ – সুরক্ষিত – অসুরক্ষিত
সংলগ্ন – অসংলগ্ন।
নিশ্চিত – অনিশ্চিত।
ঘটন – অঘটন।
চেতন –
অচেতন।
বোধ – অবোধ।
সময় – অসময়।
পরিচিত – অপরিচিত।
সন্তোস
– অসন্তোস।
বাক্য রচনা করো।
হাতছানি – গুরুজনদের হাতছানি দিয়ে ডাকা উচিত নয়।
একগুঁয়ে – একগুঁয়ে মানসিকতা মাঝে মাঝে বিপদের কারণ হয়ে ওঠে৷
যুক্তিযুক্ত – যুক্তিযুক্ত কথা হলে সবাই তা মেনে নেয়।
মৃত্যুমুখ – সতিশ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছে।
বজ্রপাত – বর্ষাকালে বজ্রপাত
হয়৷
সুরক্ষিত – বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের সব সময় সুরক্ষিত রাখেন।
খাল-বিল – বর্ষার জলে খাব-বিল সব ভরে যায়।
“হঠাৎ” প্রত্যুৎপন্নমতি’ এই দুটি শব্দ পাঠে পেয়েছ। এই শব্দ দুটিতে খণ্ড
‘ৎ’-এর
ব্যবহার হয়েছে। (এই শব্দগুলোতে ব্যবহৃত খণ্ড ‘ৎ’ -কে
ব্যঞ্জনান্ত / হসন্ত / হলন্ত-ও বলা হয়।)
উত্তরঃ- বৃহৎ, মৎস, শরৎ, উৎকণ্ঠা, সৎ, অসৎ, উৎরাই, বিদ্যুৎ, ফুড়ুৎ, ছলাৎ, উৎসব, উৎকোচ, উৎকোচিত, উৎসুখ।
গ-জ্ঞান-সম্প্রসারণ (পাঠ -১০ তিনটি মাছের কাহিনি)
দলে আলোচনা করে বলো ও লেখো।
• যদি মাছ শেষ হয়ে যায়?
উত্তরঃ- তাহলে মাছ নদী-পুকুরে আর দেখা যাবে না।
মাছ খাওয়া যাবে না। মাছ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ মাছ চাষ ও বিক্রি বন্ধ
হয়ে যাবে।
• বিলের জল যদি শুকিয়ে যায়?
উত্তরঃ- সব মাছ মরে যাবে।
• বিল যদি মাছে ভরে যায়?
উত্তরঃ- আনন্দে মন ভরে যাবে। অনেক মাছ খাওয়া
যাবে। আবার বিল, পুকুর, নদ-নদী, নালা, সাগর-সমুদ্রে মাছ দেখা যাবে।
কী করে সমাধান করবে দলে আলোচনা করে লেখো।
• বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হোঁচট খেয়ে পায়ে রক্ত বের হলে
উত্তরঃ- ভয় না
পেয়ে পা ভালো করে ধুয়ে ডাক্তারখানা থেকে ঔষধ এনে লাগাতে হবে। পরামর্শও নিতে
পার।
• সামনে সাপ বা কুকুর দেখতে পেলে
উত্তরঃ- ভয় না পেয়ে দৌড়লে সাপ বা কুকুর
তাড়া করতে পারে৷ তাই চুপ করে দাঁড়াতে হবে।
• শ্রেণিতে দুজন ছেলের মধ্যে ঝগড়া হলে
উত্তরঃ- দুজনের মধ্যে ঝগড়া থামিয়ে
মিমাংসা করে দিতে হবে।
‘মাছ’ শব্দে যে দুটি বর্ণ আছে সেই বর্ণ দুটি দিয়ে কয়টি শব্দ গঠন করতে পারবে তা
দলে আলোচনা করো আর নীচের তালিকায় লেখো।
উত্তরঃ-
মাছের বিষয়ে কয়েকটি বাক্য লিখো৷
উত্তরঃ- বাঙালীর প্রিয় খাদ্য মাছ ভাত। মাছ পুকুর, নদী, খাল-বিল সহ সমুদ্রেও বাস করে৷ নোনা জলের মাছ ও মিষ্টি জলের মাছের স্বাদ আলাদা। ইছামতী নদীর ইলিশ মাছ খুব সুস্বাদু । কয়েকটি মাছের নাম হল – কাতলা, রুই, পোনা, চিংড়ি, তোপসে, পুঁটি, পাবদা, বোয়াল, চেং, মকা, বালিগুতুম, তেলাপিয়া, চাপিলা প্রভৃতি । মাছেরা একটি লেজ ও পার্শ্ব পাখনার সাহায্যে সাঁতার কাটে।
ছবি দেখে কে কি করছে বলো।
উত্তরঃ- একটি বাজারের দৃশ্য, মাছ বিক্রেতা মাছ বিক্রি করছে। ক্রেতারা মাছ দেখেশুনে কিনছে৷ এক ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে যাচ্ছে৷
নীচের বাক্যটির অর্থ বুঝে লেখো।
সাবধানতার মার নেই
উত্তরঃ- মানুষের জীবনে প্রতি মুহূর্তেই বিপদের সম্ভাবনা। বিপদ থেকে পার হবার জন্য পথ খুঁজতে হবে৷ এরজন্য চাই সাহস, দৃঢ় মনোবল৷ উপস্থিত বুদ্ধি, ধৈর্য আর ঝুঁকি নেবার ক্ষমতা। চেষ্টা করে যদি সফল না হয় তাহলে কোনো দোষ বা লজ্জা নেই। তবে বিপদ থেকে উত্তরণের উপযোগী পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করলে সেই প্রযত্ন কখনও নিস্ফল হয় না। জীবন বিপন্ন হলে সোজাসুজি মৃত্যুকে বরণ না করে তার প্রতিকারের চেষ্টা করা উচিৎ। মানুষের জীবন নশ্বর, মৃত্যু অনিবার্য। তবুও আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিকারের প্রযত্ন চাই। প্রতিকারপরায়ণ ব্যক্তি সাফল্য লাভ করে। যেমন, সুচিকিৎসায় দুরারোগ্য রোগ সেরে যায়। তবে এরজন্য চাই ধৈর্য ও রোগমুক্তির চেষ্টা ।
নীচের ধাঁধাগুলোর উত্তর দাও।
(ক) লম্বা কেশর ফুলিয়ে তোলা
গম্ভীর মেজাজ;
রাজার মতো চেহারা তাই
নামটি
পশুরাজ
উত্তরঃ- সিংহ
(খ) আয় আয় তু তু
খেতে দেব দু দু!
ল্যজটি তুলে
নাচবি
সুখে,
হাসবে সোনার খুকু!
উত্তরঃ- বিড়াল
যে কোনো দুজনে মিলে যোগীন্দ্রনাথ সরকারের কবিতাটি আবৃত্তি করি৷
বিড়াল ও ইঁদুর
ঘ- প্রকল্প
অসমে মাছের নামে অনেক স্থানের নাম আছে। শ্রেণীর প্রত্যেকে চার-পাঁচজনের এক একটি দল তৈরি করে তোমাদের জেলায় মাছের নামে যে স্থান আছে সেগুলোর নাম লেখো উদাহরণ – কাওইমারি (জেলা – বরপেটা)
মাছের নামে স্থান | জেলার নাম | কেন বিখ্যাত |
ইছাবিল | করিমগঞ্জ |
এই বিলে ইছা (চিংড়ি) মাছ বেশি থাকার কারণে বিখ্যাত । |
কাওই মানে কৈ মাছ
পরবর্তী পাঠ-১১ অমলপ্রভা দাস