আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণি আছে। ওই প্রাণিগুলির কিছু সংখ্য মাটিতে এবং কিছু সংখ্যক মাটি ও জল উভয় স্থানে থাকতে পারে।
(toc)
মাছ জলে থাকে। এদের দেহ জলে থাকার জন্য উপযোগী এরা দেহের দুইদিকের পাখনা ও পিছনের ল্যাজের সাহায্যে সাতার কাটতে পারে। মাটি ও জল উভয় স্থানে থাকতে পারে এমন প্রাণিটি হচ্ছে ব্যাঙ। এদের পায়ের পাতা জোড়া থাকায় এরা সীতার দিতে পারে। মাটি ও জল উভয় স্থানে থাকতে পারে এমন প্রাণিকে উভচর প্রাণি বলে।
মাটিতে বসবাসকারী প্রাণিগুলির কিছু সংখ্যক প্রাণি গৃহপালিত ও কিছু সংখ্যক প্রাণিবন্য ৷ গৃহপালিত প্রাণিগুলো মানুষের বাড়িতে থাকে। এদের বাসস্থান মানুষ তৈরি করে দেয়। বন্যপ্রাণিগুলো আবার বনে বা জঙ্গলে থাকে। এরা নিজেরাই নিজেদের আহার ও বাসস্থান খুঁজে রর করে।
গৃহপালিত প্রাণিগুলোকে আমরা অতি আদর-যত্ন করে প্রতিপালন করি। গৃহপালিত প্রাণিগুলো আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। কয়েকটি গৃহপালিত প্রাণিগুলো যেমন- গরু, ছাগল, শুকর, হাঁস-মুরগি, ঘোড়া, পায়রা, বিড়াল, কুকুর ইত্যাদি।
মানুষ ও এই প্রাণিগুলি একে অপরের উপর নির্ভরশীল
কোন্ প্রাণি কী খাদ্য খায় –
বিভিন্ন প্রাণি বিভিন্ন খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে। গরু, ছাগল, ঘোড়া ইত্যাদি ঘাস, গাছের পাতা ইত্যাদি খায়। এগুলো হলো তৃণভোজী প্রাণি।
হরিণ, হাতি, গণ্ডার, নল-শুকর, বন্যমহিষ, জেব্রা, জিরাফ ইত্যাদি তৃণভোজী প্রাণি। এগুলো ঘন জঙ্গল ও উঁচু ঘাসের বনে থাকে।বাঁদর গাছে থাকে এবং ফলমূল শস্য ইত্যাদি খায়।
বাঘ, সিংহ, শিয়াল ইত্যাদি প্রাণি মাংস খায়। এগুলো হলো মাংসভোজী প্রাণি। মাংসভোজী প্রাণির দাত, নখ ইত্যাদি ধারালো হয়।
কিছু সংখ্যক প্রাণি যেমন- পায়রা, চড়াই, টিয়া, শালিক ইত্যাদি পাখি ফলমূল ও শস্য খায়। এ সকল পাখির ঠোট ছোট, তীক্ষ ও শক্ত । কিছু কিছু পাখি পোকামাকড়, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদিথায়।
অন্যান্য কিছু সংখ্যক পাখি যেমন- মাছরাঙা, সারস, বক ইত্যাদি পাখি মাছখায়। বকের ঠোটটি দেখেছেন কি? এদের পা ও ঠোঁটগুলি লম্বা থাকার জন্য এরা হাঁটু জলে দাড়িয়ে থাকতে পারে এবং জলের নিচে মাছ ধরে আনতে পারে৷
নল-শূকর পৃথিবীর মধ্যে কোথায় পাওয়া যায়?
নল-শূকর পৃথিবীর মধ্যে শুধু অসমে পাওয়া যায় ৷
কোন্ পাখিগুলো মাংস খায়?
প্যাঁচা, চিল,শকুন,বাজ ইত্যাদি পাখি মাংস খায়। এদের ঠোটগুলি খুব ধারালো ও বাঁকা,
পায়ের নখগুলো তীক্ষ, ধারালো ও বাঁকা থাকার জন্য এদের হাত থেকে শিকার বেরিয়ে যেতে পারে না। এগুলোকে শিকারি পাখিও বলা হয়।
সর্বভোজী প্রাণি কোন্ গুলি?
কিছু সংখ্যক প্রাণি যেমন- মানুষ, কাক, কুকুর ইত্যাদি প্রাণি সকল ধরনের খাদ্য খায়। এগুলো হল সর্বভোজী প্রাণি।
খাদ্যাভ্যাসের উপর ভিত্তি করে প্রাণিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন – তৃণভোজী, মাংসভোজী এবং সর্বভোজী।
পাখি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণিকে কীট-পতঙ্গ খেতে দেখেছেন কি? টিকটিকি ও ব্যাঙ কীট-পতঙ্গ খায়। ব্যাঙের জিহ্বা মুখের সম্মুখভাগে লেগে থাকে। জিহ্বাটি অনেকটা বের করে খাওয়ার জন্য পোকামাকড় ধরে আনতে পারে।
হাঁসের ঠোঁট মোটা ও চ্যাপ্টা হওয়ার জন্য এরা সবকিছুই খেতে পারে। খাদ্যে মিশে থাকা কাদা জল হাঁস ঠোঁটের দুটো ফুটো দিয়ে বের করে দিতে পারে। এদের পায়ের পাতা সংযুক্ত হয়ে থাকার জন্য এরা জলে সাঁতার দিতে পারে।
মাছ জলজ কীট-পতঙ্গ ও ছোট ছোট উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে থাকে। কিছু সংখ্যক বড় মাছ ছোট মাছকে খায়।
প্রাণীরা কীভাবে চলাফেরা করে?
চড়াই, ব্যাঙ ইত্যাদি লাফিয়ে চলে। টিকটিকি বেয়ে বেয়ে যায়। এদের পায়ের তলা এমন ধরনের যে এরা খাড়া জায়গাও বেয়ে উঠতে পারে। ঢোঁড়া-সাপ, কুমির, কচ্ছপ, রক্তচোষা ইত্যাদি আর ও এমন কিছু প্রাণি যারা বেয়ে যেতে পারে।
পাখিগুলো আকাশে উড়তে পারে কেন ?
পাখির দেহটি মাকুর মতো, হাড়গুলো ফাঁপা হওয়ার – জন্য শরীরটা হালকা। পাখির ডানা ও ল্যাজে পালক থাকে। এ ধরনের পালকযুক্ত ডানার সাহায্যেই এরা উড়তে পারে।
কিছু সংখ্যক পাখি অনেক দূরে উড়তে যেতে পারে৷ এ ধরনের কয়েকটি পাখি হল- পায়রা, কাক, বাকিহাঁস।
উড়তে পারে না এমন পাখি আছে নাকি?
আছে। এ ধরনের দুটি পাখি হচ্ছে- উটপাখি ও পেংগুইন। উটপাখি মাটিতে হাঁটতে পারে, দ্রুত দৌড়োতেও পারে। পেংগুইন ডানার সাহায্যে জলে সাতার দিতে পারে। এ সকল পাখি আমাদের দেশে দেখতে পাওয়া যায় না।
আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণি