‘নতুন ডাক্তার হয়েছেন, তার চিকিৎসা খুব ভালো’ – ব্যঙ্গ করে দুজন মানুষ কয়েকজন
রোগীকে একথা বলে রাস্তার পাশের ঘরটি দেখিয়ে দিলেন । সেই রোগীদের অনুসরণ করে নতুন ডাক্তারের কাছে আরও রোগীর সংখ্যা বাড়তে লাগল। ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করার জন্যই যে রোগীরা বিভ্রান্ত হয়েছে, নতুন ডাক্তারের সেটা বুঝতে আর বাকি রইল না। নতুন ডাক্তারও কোনও কাজে পিছিয়ে যাওয়ার ব্যক্তি নন। তিনি ছিলেন প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি । তাই খুব অল্পদিনের মধ্যেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বই কিনে এনে, ল পড়াশোনা করে সেই চিকিৎসায় পারদর্শী হয়ে উঠলেন। রোগীদের তিনি রোগ নিরাময়ের জন্য নানা ধরনের বিধান দিতেও শুরু করলেন। অবশেষে এই ব্যক্তির কর্মস্পৃহা দেখে যারা ব্যঙ্গ-বিদ্রপ করেছিলেন তাঁরাও অবাক হয়ে গেলেন এবং ধীরে ধীরে তিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠলেন। এই ডাক্তারই হলেন ডক্টর বাণীকান্ত কাকতি। প্রকৃত অর্থে তিনি ছিলেন ভাষা-বিজ্ঞানের ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। নিষ্ঠা ও সাধনার বলে মানুষ যে সুখ্যাতি অর্জন করতে পারে, তা আমরা ড° বাণীকান্ত কাকতির জীবন থেকেই শিখতে পারি।
ড° বাণীকান্ত কাকতি র বিষয়ে জেনে নিই
জন্ম = ১৮৯৪ সালের নভেম্বর মাসে
জন্মস্থান = বরপেটা,বাহিকুরিহা
বাবা = ললিতরাম কাকতি
রচিত গ্রন্থ = কলিতা জাতির ইতিবৃত্ত, পখিলা,
দ্য মাদার গডেস কামাখ্যা, ইত্যাদি
মৃত্যু = ২৫ নভেম্বর, ১৯৫২ সাল।
Also read - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর