ভিটামিন এবং খনিজ লবণের অভাবে হওয়া কিছু রোগ
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য বা আহারের প্রয়োজন খাদ্য থেকেই আমরা কাজ করার শক্তি পাই। খাদ্য আমাদের দেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খাদ্য ছাড়া কোনো জীবই বেঁচে থাকতে পারে না। আমাদের খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর দ্রব্য থাকে এই পুষ্টিকর দ্রব্যগুলোকে আহারের উপাদান বা পরিপোষক বলা হয়। এই দ্রব্যগুলো আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে৷ ভিটামিন এবং খনিজ লবণের অভাবে হওয়া কিছু রোগ নিম্নরূপ।
ভিটামিন এবং খনিজ লবণের অভাবে হওয়া রোগ
ভিটামিন/খনিজ লবণ | অভাবজনিত রোগ/ অসুস্থতা | লক্ষণ |
ভিটামিন – A | দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ হওয়া | দৃষ্টি শক্তি কম, রাত্রিতে কম দেখা, কখন কখন পুরোপুরি না দেখা। |
ভিটামিন – B | বেরিবেরি | পেশির দুর্বলতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া। |
ভিটামিন – C | স্কার্ভি | দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হওয়া, ক্ষতস্থান পূর্ণ হতে সময় নেওয়া। |
ভিটামিন – D | রিকেটস | হাঁড় নরম হওয়া ও বেকে যাওয়া। |
ভিটামিন – E | মাংসপেশীর ঠিক মতো বিকাশ হয় না | |
ভিটামিন – K | শরীরের কোনো অংশ কাটলে তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ হয় না | |
ক্যালসিয়াম | হাঁড় ও দাঁতের ক্ষয় | দুর্বল হাঁড় ও দাঁতের ক্ষয়। |
আয়োডিন | গলগণ্ড রোগ | গলার গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, বাচ্চাদের মানসিক ভারসাম্য কমে যাওয়া। |
লোহা | রক্তহীনতা | দুর্বলতা |
বিভিন্ন ধরনের খনিজ দ্রব্য যেমন- লোহা, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে ৷
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য বা আহারের প্রয়োজন খাদ্য থেকেই আমরা কাজ করার শক্তি পাই। খাদ্য আমাদের দেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খাদ্য ছাড়া কোনো জীবই বেঁচে থাকতে পারে না।
আমাদের খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর দ্রব্য থাকে এই পুষ্টিকর দ্রব্যগুলোকে আহারের উপাদান বা পরিপোষক বলা হয়। এই দ্রব্যগুলো আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে৷
খাদ্যের উপাদান ও পরিপোষক:
• খাদ্যের যেগুলো উপাদান শরীরকে শক্তি যোগায় সেগুলো হচ্ছে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি। বেশি পরিমাণ শর্করাযুক্ত খাদ্যকে শক্তিদায়ক খাদ্য বলে।
যারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের শর্করা জাতীয় খাদ্যের বেশি প্রয়োজন হয়। চর্বি থেকেও আমরা শক্তি পাই। ঘি, তেল, মাখন, বাদাম ইত্যাদি চর্বিযুক্ত খাদ্য।
• খাদ্যের যে উপাদান প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ আমাদেরকে বিভিন্ন রোগ
থেকে
রক্ষা করে তা হচ্ছে খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন।
• খাদ্যের যেগুলো উপাদান শরীর গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সেগুলো হচ্চে প্রোটিন।
আমাদের শরীরের নিত্য প্রয়োজনীয় সবগুলো উপাদান এক ধরনের খাদ্যে পাওয়া যায় না। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ দ্রব্য যেসব খাদ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পাওয়া যায়, তাকে সুষম আহার বলে সুষম আহার বলতে খুব দামী আহারকে বোঝায় না।আমাদের পরিবেশে পাওয়া সহজলভ্য আহারও সুষম আহার হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আমরা দুপুরের খাবারে ভাত, ডাল, শাক-সবজি,গাজর বা টোম্যাটোর চাটনি ও ফল-মূল খেলেই সেটি হবে সুষম আহার।
বেশি চর্বিযুক্ত খাদ্য বস্তু খাওয়া যে শরীরের পক্ষে অপকার ৷ সিঙারা, লুচি, আলুর
চপ, ঘি মাখন ইত্যাদি খেতে খুব ভালো কিন্তু এই খাদ্যগুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া
অনুচিত।
কারণ এধরনের অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বেশি চর্বি বা মেদ জমা হয়ে মেদবহুলতা দেখা দেয় ফলস্বরূপ, শরীরের ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়,শরীর মোটা হতে থাকে ও পরিশ্রমে কান্তির ভাব এসে যায়। অলসতা বৃদ্ধি পায় ও বেশি পরিশ্রম করতে পারে না। সেজন্য শরীরে অস্বাভাবিক ভাবে চর্বি বেড়ে গেলে চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিতনয়। বেশি করে খেলাধুলা ও ব্যায়াম করতে হয়।