বন্যার মতো ঝড় -তুফান, ভূমিকম্প এবং আগুন মানুষের সাথে সাথে জীব-জন্তু ও পরিবেশের প্রচুর ক্ষতি করতে পারে৷ এইগুলো হচ্ছে এক একটা দুর্যোগ ৷ এই দুর্যোগ গুলো দুইভাবে ঘটে। কিছু প্রকৃতি এবং কিছু মানব সৃষ্ট দুর্যোগ । এগুলো যখন-তখন হতে পারে।
(toc)
বৃষ্টি বেশি হলে নদীর উপচে পড়া জল ধীরে ধীরে নদীর তীরের সমগ্র অঞ্চল ডুবিয়ে ফেলে। এটাই বন্যা । বন্যা মানুষের ঘরবাড়ি খেত-খামার, জীব-জন্তুর প্রচুর ক্ষতি করে৷
বন্যা হলে কী কী হয়?
- মানুষের, জীব-জন্তর খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দেয়।
- খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়।
- বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়।
- পরিবেশ দুষিত হয়।
- রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয় ও যাতায়াতের অসুবিধা হয়।
- বন্যার ফলে পলিমাটি জমা হয়ে জমির উর্বরা শক্তি বাড়িয়ে দেয়।
- কখনও কখনও বালি জমা হয়ে খেতের অনুপযোগী হয়।
বন্যা হলে কী করতে হয় ?
- উচুনিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়।
- গৃহপালিত জীব-জন্ত গুলোকেও উঁচু নিরাপদ জায়গায় নেবার ব্যবস্থা করতে হয়।
- জলে নামতে হয় না।
- উদ্ধারকারীর সাহায্য নিতে হয়।
- পানীয় জল সেদ্ধ করে পান করতে হয়।
- যেখানে-সেখানে শৌচ-প্রস্রাব করা অনুচিত।
- বাড়ির বিদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়।
বন্যার জন্য কী ধরনের সচেতনতা প্রয়োজন-
- শুকনো খাদ্য, পানীয় জল, কেরোসিন ইত্যাদি মজুত রাখতে হয়।
- জীবাণুনাশক দ্রব্য সংরক্ষণ করতে হয়।
- রেডিয়ো, দূরদর্শনের সাহায্যে ঘোষণা ও সরকারের ঘোষণাগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়।
ভূমিকম্পে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়-
- ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভিতরে থাকা অনুচিত।
- খোলা জায়গায় চলে যেতে হয়।
- বড় পাকা বাড়িতে থাকলে ঘরের কোণে আশ্রয় নিতে হয়।
- খোলা জায়গায় থাকলে শুয়ে পড়তে হয়।
- বাড়ির ভেতর থাকলে খাট বা টেবিলের নীচে আশ্রয় নিতে হয়।
- বিদ্যালয়ে থাকার সময় ভূমিকম্প হলে বেঞ্চ বা টেবিলের নীচে ঢুকে টেবিলের পা আঁকড়ে
থাকবে।
ঝড়-তুফান এলে করণীয় ব্যবস্থা
- আগুন নিভিয়ে দিতে হয়।
- গাছের নীচে বা বিদ্যুতিক তারের নীচে থাকবেন না।
- ভেঙে-পড়া বিদ্যুতিক খুঁটির তার হাত দিয়ে ছোঁয়া উচিত নয়।
আগুন লাগলে কী করতে হয়?
- কোথাও আগুন লাগলে অস্থির হবে না।
- প্রতিবেশীকে খবরটি জানানোর ব্যবস্থা করবে৷
- আগুনে বালি ও জল ছিটিয়ে আগুন নেভাতে হয়৷
- গায়ে আগুন লাগলে ভেজা কাপড় বা কম্বল গায়ে জাড়িয়ে দিতে হয়।
- আগুনে পুড়লে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
- অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে খবর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় গ্রহণীয় সতর্কতা
- সম্ভব হলে বাড়িতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখবে।
- অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ফোন নম্বর সহজে পাবার ব্যবস্থা করে রাখতে হয়।
- অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে যেখানে আগুন লেগেছে তার সঠিক অবস্থানের বিষয়ে জানাতে হয়।
রাস্তায় হাটার সময় যে-ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত –
- হাঁটার সময় সর্বদা নিজের বাঁ দিক দিয়ে যেতে হয়।
- রাস্তা পার হবার সময় ডানদিক-বাঁদিক ভালো করে দেখতে হয় ৷
- রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হবে না।
- নগর ও মহানগরে রাস্তায় জেব্রা-চিহ্নের ওপর দিয়ে রাস্তা পার হতে হয়। এক্ষেত্রে যানবাহন নিয়ন্ত্রণকারী পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী চলতে হয়৷
ট্রাফিক লাইটের রংগুলি কী বোঝায় ?
- লাল রং থামতে বলে।
- হলুদ রং প্রস্তুত হতে বলে৷
- সবুজ রং যেতে বলে।
রাস্তায় যানবাহন চালানোর কিছু নিয়ম আছে। নিয়মগুলো মেনে না চললে নানা বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে। কখনও বড় ধরনের বিপদও হতে পারে। নিয়ম অমান্যকারী চালককে ট্রাফিক আইনে দোষী বলে গণ্য করা হয়।
যানবাহনে ওঠার সময়ে নিয়ম কী কী নিয়ম মেনে চলতে হয়?
- যানবাহনে লাইন করে একজন একজন করে উঠতে হয়।
- ঠেলা-ধাক্কা করা ঠিক নয়।
- গাড়ি মন্থর গতিতে চলার সময় ঝাপ দিয়ে ওঠা নামা করা অনুচিত।
- নামার সময় গাড়ির সামনের দিকে মুখ করে নামতে হয়।
- গাড়ির ভেতরে বসে জানালা দিয়ে কখনও হাত ও মাথা রর করা উচিত নয়।
- ওঠা ও নামার সময় গীড়ির পাদানিতে পা দিতে হয় ও হ্যান্ডেলটি ভালো করে ধরে ওঠা নামা করতে হয়
খাবার পর বর্জনীয় বস্তুগুলোকে কী করতে হয়?
যেখানে- সেখানে আবর্জনা নেই। নির্দিষ্ট করে রাখা আবর্জনা ফেলার বাক্সে আবর্জনা ফেলতে হয়৷