ছোটদের ছড়া (Chora) হলো শিশুদের জন্য একটি আনন্দদায়ক মাধ্যম, যা তাদের ভাষা দক্ষতা, কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের হাসির ছড়া (Bacchader Chora) এবং মজার ছোট গল্পগুলি শিশুদের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি তাদের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখায়। শিশুদের মজার ছড়াগুলি ছন্দ ও তালে ভরা, যা শিশুদের সহজেই আকর্ষণ করে এবং তাদের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
এই বাংলা ছড়া ও গল্পগুলি শুধু মজারই নয়, বরং শিক্ষামূলকও বটে। শিশুদের মানসিক বিকাশ, ভাষা শেখা এবং বাংলা সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে এই ছড়াগুলি অপরিহার্য। আপনি যদি শিশুদের জন্য মজার ছড়া, বাংলা ছড়া, বা হাসির ছোট গল্প খুঁজে থাকেন, তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এখানে পাবেন বাচ্চাদের হাসির ছড়া, মজার ছোট গল্প এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক বাংলা ছড়া।
ছোটদের ছড়া কবিতা
এই বাগানের নানা ফুল মোরা
মিলেমিশে করি খেলা
মন শুধু বলে কেন বাড়ি ফেরা
ছেড়ে এই পাঠশালা?
নাচ-গানকরে রূপকথা শুনে
কত যে লাগে মজা,
হাসি-তামাশায় শিখি লেখাপড়া
নেই কোনো বইয়ের বোঝা ।
টক মিঠে কষা
কত যে ফল,
ফল খেলে দেহে পাই
হাতির মতো বল।
পাকা পাকা ফল যত
ঝুলে আছে গাছে,
ফল খেয়ে পাখিরাও
উড়ে আকাশে।
পিঁপড়ে-দাদু পিঁপড়ে-দাদু
কোথায় তুমি যাও,
চিনির ডিবি খুলে দিলাম
খাও যদি খাও।
বাচ্চাদের হাসির ছড়া
খোকা যাবে শ্বশুরবাড়ি,
সঙ্গে যাবে কে?
ঘরে আছে হুলো বেড়াল
কোমর বেঁধেছে।
আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়
লুকোচুরির খেলা রে ভাই,
লুকোচুরির খেলা
নীল আকাশে কে ভাসালে
সাদা মেঘের ভেলা রে-ভাই,
লুকোচুরির খেলা।
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
‘হাসব না-না-, না-না’।
‘সদাই মরে ত্রাসে-__ এঁ বুঝি কেউ হাসে!
এক চোখে তাই মিটমিটিয়ে
তাকায় আশে পাশে।
ছোটো পাখি আমি
বাবুই আমার নাম।
সারাদিন উড়ে বেড়াই
এগ্রাম-ওগ্রাম।
উঁচু উঁচু গাছ খুঁজি
সারাদিন ধরে।
তাল সুপারি খেজুর পেলে
আনন্দে মন ভরে।।
সেই গাছেতেই বানাই বাসা
হাসি খুশি মনে।
কারিগর পাখি আমি
সবাই তো তাই জানে।।
ফড়িংবাবুর বিয়ে!
টিকটিকিতে ঢোলক বাজায়,
ধুচনি মাথায় দিয়ে!
বেয়ারা হল তেলাপোকা
পালকি কাঁধে নিয়ে!
দেখতে এল সেজেগুজে,
পিঁপড়েরা মায়ে-ঝিয়ে!
আরে,ফড়িংবাবুর বিয়ে!
ফড়িংবাবুর বিয়ে!
ওপেনটি বাইস্কোপ
নাইনটেন টেস্কোপ
সুলতানা বিবিয়ানা
সাহেব বাবুর বৈঠকখানা
কাল বলছেন যেতে
পান সুপারি খেতে
পানের-রাজা মৌরি বাটা
ইস্প্রিংএর ছবি আঁটা।
ইকড়ি মিকড়ি চামচিকড়ি
চামের আগায় মজুন্দার
মজুন্দারের হীড়িকুড়ি
দুয়ারে বসে চাল কাড়ি।
চাল কীড়তে হল বেলা
ভাত খাও সে দুপরবেলা ॥
ভাতে পড়ল মাছি
কোদাল দিয়ে টাছি।
কোদাল হল ভৌতা
খ্যাকশেয়ালের মাথা।
আয় রে আয় টিয়ে
নায়ে ভরা দিয়ে!
না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে,
তা দেখে ভোঁদড় নাচে!
ওরে ভোঁদড় ফিরে চা,
খোকার নাচন দেখে যা!
নিম গাছেতে হচ্ছে শিম্
হাতির মাথায় ব্যাঙের ছাতা
কাকের বাসায় বগের ডিম।
শুনেছ কি বলে গেল সীতানাথ বন্দ্যো? ?
আকাশের গায়ে নাকি টকটক গন্ধ?
টকটক
থাকে নাকো হলে পরে বৃষ্টি-
তখন দেখেছি চেটে একেবারে মিষ্টি।
আল্লা মেঘ দে পানি দে,
ছায়া দে রসুল।
ছায়া দে রসুল রে আল্লা
মেঘ নামাইয়া দে।
ঝুম-ঝুমাইয়া মেঘের পানি
খেত ভাসাইয়া দে।
বান আইল বরিষা আইল
ভেসে আইল বট-পাতা
জোড়া পাতা খুলে দেখি
তাতে টুসুর নাম লেখা৷
হাত মুখ ধুয়ে নিও
বাড়ি ফিরে এসে
খাওয়া দাওয়া সেরে নিয়ে
খেলো মিলে মিশে।
পড়াশোনা হলে সারা
স্নান সেরে নাও
জলখাবার হলে সারা
পাঠশালায় যাও।
‘খুকু, আর নেই রাত। ‘
চটপট উঠে পড়ো
মেজে নাও দাঁত।
এক দুই তিন গুনে
মাছগুলো নিল চিলে
চার পাঁচ ছয়
করবে নাকো ভয়।
গোল গোল গোল
মা-র চুড়ি গোল
গাড়ির চাকা গোল
বলতো সোনামণি
আর গোল কী?
দুটি হাঁস একটি বিলে
চুপি চুপি কথা বলে,
আরেকটি উড়ে এলো
বলতো সোনামণি
দুই আর একে তিন হল।
দেখো দেখো তিনটি হাঁস
তারা করে জলে বাস,
আরও দুটি উড়ে আসে
সাঁতার কাটে মিলেমিশে,
দুই আর তিন মিলে পাঁচ হলো
সংখ্যা দুটি যোগ হল।
থালায় ছিল তিনটি ডিম
খোকন খেল একটি,
থালায় এখন থেকে গেল
খাওয়ার বাকি দুটি।
তিন থেকে এক চলে গেলো
হাতে দুই থাকে
এবারে বেশ বুঝতে পারি
বিয়োগ কাকে বলে৷
এক যে ছিলেন রাজা
তাঁর কথা শুনলে পাবে মজা
দুই দিন দুই রাত
রাজামশাই বিছানাতেই কাত।
তিন দিন পর এলেন কবিরাজ
এসেই দেখেন কাহিল মহারাজ
চার দাগ ওষুধ দিলেন
রাজা রোজ তা-ই খেলেন।
পাঁচ-ছয় দিন এভাবেই গেল
সাত দিনেও তিনি হলেন না ভালো।
আট দিন গেলো, গেল আট রাত
এবারে রানি দিলেন গরম ভাত।
নয় দিনে রাজা গায়ে বল পান
দশ দিনে তিনি গেয়ে ওঠেন গান।
২১ আসে ২০- এর সঙ্গে
এক যোগ করে,
২২ মানে দুই দশ দুই
বোঝ ভালো করে।
২৩ হয় দুই দশ তিনে
মনে রাখবে তুমি
দুই দশ চারে হয় ২৪
তা সকলেই জানি।
২৫ মানে দুই দশ পাঁচ
মনে রাখবে তাই
দুই দশ ছয়ে ২৬ হয়
সকলকে তা জানাই।
২৭ হয় দুই দশ সাতে
বল সবাই মিলে
দুই দশ আটে ২৮ হয়
যেও না তোমরা ভুলে।
২৯ হয় দুই দশ নয়ে
মনে থাকে যেন
তিন দশে ৩০ হয়
সংখ্যা এভাবে গুণে৷