Class 5 Bengali Assam , Class 5 Bengali Lesson 3 Assam | ৫ম শ্রেণির বাংলা , ৫ম শ্রেণির বাংলা অসম পাঠ- ৩ “দেবারতির আবেদন” Class V Bengali Lesson 3 Assam, পাঠ- ৩ দেবারতির আবেদন ।
(toc)
‘ দেবারতির আবেদন ‘ এই পাঠ থেকে আহরণীয় দক্ষতা
- চিঠি ও আবেদনের ধারণা স্পষ্ট হওয়া
- চিঠি ও আবেদন লিখতে জানা
- ছুটি নিলে কার মাধ্যমে, কাকে, কীভাবে আবেদন বা দরখাস্ত লিখতে হয় তা জানা
- পাঠের বিষয়বস্তু বুঝে নিয়ে প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া
- চিঠি ও আবেদনের মধ্যে মিল ও অমিল বোঝা
- ক্রিয়াপদের প্রয়োগ করতে জানা
- কালের ধারণা লাভ ও প্রয়োগ করতে জানা
- পোস্ট-অফিসের কাজ-কর্ম দেখার পর কিছু বিষয়ের সম্বন্ধে লিখতে জানা
- খাম প্রস্তুত করতে জানা
দেবারতির আবেদন
দুদিন পর দেবারতি স্কুলে আসতেই প্রিয় বন্ধু অরূপ বলল, “দুদিন আসিস নি কেন?” দেবারতি হাসতে হাসতে বলল, “মামা এসেছিলেন ধুবড়ি থেকে, মামার সঙ্গে পরশু চিড়িয়াখানায় আর কাল জাদুঘরে গিয়েছিলাম। তাই আসতে পারিনি।” সে গত দুদিনের আনন্দের কথা বন্ধুদের কাছে বলতে আরম্ভ করল। এমন সময় মধুমিতা দিদিমণি ক্লাশে ঢুকলেন। নাম ডাকার সময় তিনি দেবারতিকে দুদিনের অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞেস করলেন। দেবারতি উঠে গিয়ে দিদিমণিকে একটি সুন্দর হলদে রঙের কাগজ দিল। তিনি কাগজটি খুলে দেখলেন তাতে লেখা-
গুয়াহাটি
তাং- ১৫/০৩/২০১৩
শ্রীচরণেষু,
দিদিমণি, প্রথমে আমার প্রণাম নেবেন। আমি গত ১৩/০২/২০১৩ এবং ১৪/০২/২০১৩ এই দুই
দিন স্কুলে আসতে পারিনি; কারণ আমার মামা ধুবড়ি থেকে এসেছেন, আমি মামার সঙ্গে
চিড়িয়াখানা, জাদুঘর দেখতে গিয়েছিলাম।
প্রিয় দিদিমণি, আপনি দয়া করে আমার এই দুই। দিনের ছুটি মঞ্জুর করে আমাকে বাধিত করবেন।
ইতি
আপনার প্রিয় ছাত্রী
দেবারতি ঘোষ
৫ম মান, ‘ক’ শাখা
রোল
নং – ৭
চিঠিখানা পড়ে শিক্ষিকা বললেন, “দেবারতি তুমি স্কুলে না আসার কারণ লিখে জানিয়েছ, সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু এটা চিঠি হয়েছে, আবেদনপত্র হয়নি। চিঠি লেখা আর আবেদনপত্র লেখার নিয়ম আলাদা। আজ আমি তোমাদের শিখিয়ে দিচ্ছি স্কুলে অনুপস্থিত হলে ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদনপত্র কীভাবে লিখতে হয়।” দিদিমণি বোর্ডে আবেদনপত্রটি লিখে ছাত্র-ছাত্রীদের বললেন সবাই যেন নিজেদের খাতায় আবেদনপত্রটি লিখে নেয়।
ওয়াহাটি রেলওয়ে কলোনি হাইস্কুলের
প্রধান শিক্ষক মহাশয় সমীপেষু
পঞ্চম
শ্রেণি ক শাখার শিক্ষকের মাধ্যমে।
বিষয় – স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য ছুটি
মঞ্জুরির আবেদন।
মহাশয়
বিনীত নিবেদন এই যে, বিশেষ কারণে আমি ১৩/০২/২০১৩ এবং ১৪/০২/২০১৩ এই দুই দিনস্কুলে উপস্থিত থাকতে পারিনি।
অতএব, মহাশয়ের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, দয়া করে আমার উক্ত দুইদিনের অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুর করবেন।
তারিখ -১৫/০৫/২০১৩
ইতি-
আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্রী
দেবারতি ঘোষ
৫ম শ্রেণি, ক শাখা
রোল
নং – ৭
পাঠটি শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণ করে পড়ো।
উত্তর দাও ।
(ক) দেবারতি কেন দুদিন স্কুলে আসেনি?
উত্তরঃ- দেবারতির মামা এসেছিলেন সেই
কারণে দেবারতি দুদিন স্কুলে আসেনি।
(খ) দেবারতি মামার সঙ্গে কোথায় কোথায় গিয়েছিল?
উত্তরঃ- দেবারতি মামার
সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ও যাদুঘরে গিয়েছিল।
(গ) দেবারতি যে স্কুলটিতে পড়ে সেটির নাম কী?
উত্তরঃ- দেবারতি যে স্কুলটিতে
পড়ে সেটির নাম – গুয়াহাটি রেলওয়ে কলোনি হাইস্কুল।
(ঘ) দেবারতির মামা কোথা থেকে এসেছিলেন?
উত্তরঃ- দেবারতির মামা ধুবড়ি থেকে
এসেছিলেন।
(ঙ) দেবারতির প্রিয় বন্ধুর নাম কী?
উত্তরঃ- দেবারতির প্রিয় বন্ধুর নাম
অরূপ।
“দেবারতি তুমি স্কুলে না আসার কারণ লিখে জানিয়েছ, সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু এটা
চিঠি হয়েছে, আবেদনপত্র হয়নি।” – এই কথাগুলো কে, কখন এবং কাকে
বলেছিলেন?
উত্তরঃ- “দেবারতি তুমি স্কুলে না আসার কারণ লিখে জানিয়েছ, সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু এটা চিঠি হয়েছে, আবেদনপত্র হয়নি।” – এই কথাগুলো দেবারতির স্কুলের মধুমিতা দিদিমণি দেবারতিকে বলেছিলেন।
উত্তর লেখো।
(ক) স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে কার মাধ্যমে আবেদন করতে হয়?
উত্তরঃ-
স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে শিক্ষকের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
(খ) দেবারতির লেখা আবেদন এবং শিক্ষিকার লেখা আবেদনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ-
দেবারতির লেখা আবেদনটি চিঠি ছিল এবং শিক্ষিকার লেখা আবেদনটি নিয়ম অনুসারে আবেদন
ছিল।
খ – ভাষা-অধ্যয়ন ব্যবহারিক ব্যাকরণ
বাক্য বলতে কি বুঝ বা বাক্য কাহাকে বলে ?
উত্তরঃ- শব্দ দিয়ে মনের ভাব অর্থপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারলেই তা বাক্য হয়ে ওঠে ।
পদ কাহাকে বলে?
উত্তরঃ- যে শব্দগুলো দিয়ে বাক্য গড়ে ওঠে তাকে পদ বলা
হয়।
নীচের শব্দগুলো এলোমেলো করে দেওয়া আছে। শব্দগুলো ঠিক করে সাজিয়ে
(ক) করে করবেন মঞ্জুর আমার দয়া ছুটি।
উত্তরঃ- দয়া করে আমার ছুটি মঞ্জুর
করবেন।
(খ) কাগজ দিদিমণিকে একটি দিল সুন্দর হলদে রঙের।
উত্তরঃ- একটি সুন্দর হলদে
রঙের কাগজ দিল দিদিমণিকে।
(গ) ছাত্রী আধ্য একান্ত আপনার।
উত্তরঃ- আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্রী।
এসো, জেনে নিই, বুঝে নিই
দেবারতি চিঠিতে লিখেছিল-
আমার মামা ধুবড়ি থেকে এসেছেন। চিড়িয়াখানা, জাদুঘর দেখতে গিয়েছিলাম।
ওপরের বাক্য দুটোর মধ্যে এসেছেন, গিয়েছিলাম এই ক্রিয়া পদগুলো এরই মধ্যে
কাজগুলো
হয়ে গেছে বলেই অর্থ প্রকাশ করেছে। এভাবে যে কাজটি অতীতে ঘটে গেছে সেই কাজের
সময়কে অতীত কাল বলে।
শিক্ষিকা বলেছিলেন-
“আজ আমি তোমাদের শিখিয়ে দিচ্ছি স্কুলে অনুপস্থিত হলে ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদনপত্র কীভাবে লিখতে হয় “
ওপরের বাক্যটিতে ‘দিচ্ছি’ এই ক্রিয়া পদটি এখনই ঘটছে এমন কাজ বোঝাচ্ছে। সুতরাং, যে ক্রিয়ার কাজ সচরাচর ঘটে বা বর্তমানে ঘটছে বোঝায় তাকে বর্তমান কাল বলে।
শিক্ষিকা আবেদনে লিখেছিলেন –
“উক্ত দুদিনের অনুপস্থিতর ছুটি মঞ্জুর করবেন”
এখানে করবেন ক্রিয়া পদটি এখানো সম্পন্ন হয়নি এমন কাজ বোঝাচ্ছে। এভাবে যে কাজটি ভবিষ্যতে ঘটবে তাকে ভবিষ্যৎ কাল বলে।
বর্তমান কাল কাহাকে বলে?
উত্তরঃ- যে ক্রিয়ার কাজ সচরাচর ঘটে বা বর্তমানে ঘটছে বোঝায় তাকে বর্তমান কাল বলে।
অতীত কাল কাহাকে বলে?
উত্তরঃ- যে কাজটি অতীতে ঘটে গেছে সেই কাজের সময়কে অতীত কাল বলে।
ভবিষ্যৎ কাল কাহাকে বলে?
উত্তরঃ- যে কাজটি ভবিষ্যতে ঘটবে তাকে ভবিষ্যৎ কাল বলে।
নীচের বাক্যগুলোর পাশে দুটো করে পদ লেখা আছে। যে পদটি বাক্যের সঙ্গে ভুল মনে হয় সেটিতে X চিহ্ন দাও।
উত্তরঃ-
আগের ক্রিয়াকলাপ থেকে শুদ্ধ বাক্য গুলোকে কাল অনুযায়ী শ্রেণি বিভাজন করো।
উদাহরণ –
মণিকা গতকাল স্কুলে
ওই আকাশে পাখি উড়ে।
আমি আগামীকাল এসেছিল গুয়াহাটি
যাব।
নীচের শৃূন্যস্থানগুলো ক্রিয়া পদ দিয়ে পূর্ণ করো।
(ক) গতকাল আমরা বনভোজনে ______ |
আমাদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারা _______।
যেতে যেতে তারা আমাদের অনেক ভালো ভালো কথা ________।
আমরা সেখানে গান _______, অনেক মজা ________ ।
উত্তরঃ- গতকাল আমরা বনভোজনে গিয়েছিলাম।
আমাদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারা গিয়েছিলেন।
যেতে যেতে তারা আমাদের অনেক ভালো ভালো কথা বলেছিলেন।
আমরা সেখানে গান গেয়েছিলাম, অনেক মজা করেছিলাম।
(খ) শীতল বাতাস বইছে। মাঠে রাখাল ছেলেরা _________।
তাদের কয়জন কবাডি _______।
আর কয়জনে ঘুড়ি ________৷
একজন আবার গাছের নীচে বসে বাঁশি ________।
অন্য একজন গাছের পাতা দিয়ে
পর টুপি ________।
উত্তরঃ- শীতল বাতাস বইছে। মাঠে রাখাল ছেলেরা গরু চরাচ্ছে।
তাদের কয়জন কবাডি খেলছে।
আর কয়জনে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে।
একজন আবার গাছের নীচে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে।
অন্য একজন গাছের পাতা দিয়ে টুপি বানাচ্ছে।
(গ) আগামীকাল মা মামার বাড়ি _______ ।
সেখানে তিনি কিছুদিন _______ ।
মাসির বিয়ের পর ফিরে _________।
আসার সময় অনেক খেলনা, মিষ্টি _______।
উত্তরঃ- আগামীকাল মা মামার বাড়ি যাবেন।
সেখানে তিনি কিছুদিন থাকবেন।
মাসির বিয়ের পর ফিরে আসবেন।
আসার সময় অনেক খেলনা, মিষ্টি আনবেন।
শব্দ গঠন করে বাক্য রচনা করো
উত্তরঃ-
অরূপ = অরূপ দেবারতির প্রিয় বন্ধু
অদাহ্য = পৃথিবীতে অনেক অদাহ্য পদার্থ আছে।
অখাদ্য = অখাদ্য শরীরের জন্য হানিকর।
অসুখ = অসুখ হলে ডাক্তারখানায় যেতে হয়।
অমিল = রঙের মধ্যে অমিল থাকে।
অনুগ্রহ = অনুগ্রহ করে আমার ছুটি মঞ্জুর করবেন।
অনুপস্থিত = স্কুলে অনুপস্থিত থাকিলে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করিতে হয়৷
অনুরূপ = ত্রিভুজে অনুরূপ বাহু থাকে।
অনুমান = অতি ক্ষুদ্র জিনিস অনুমান করা যায় না।
অনুসন্ধান = বিজ্ঞানীরা নতুন আবিষ্কারের জন্য সব সময় অনুসন্ধান করেন।
এসো, দেবারতি শিক্ষয়িত্রীকে যে চিঠি লিখেছিল সেটি একবার ভালো করে লক্ষ করি।
প্রত্যেকটি চিঠির কয়েকটি ভাগ থাকে৷ যেমন-
চিঠির ভেতরে –
- উপাস্য দেবতার নাম (ওপরে)।
- চিঠির প্রেরকের ঠিকানা ও তারিখ (ওপরে ডানদিকে)।
-
সম্বোধন (ওপরে বাঁদিকে)।
(বয়স ও পদবী অনুযায়ী সম্বোধন করতে হয়। যেমন- পূজনীয়/পূজনীয়া, শ্রদ্ধেয় /শ্রদ্ধেয়া, মহোদয়/মহোদয়া, মাননীয়/মাননীয়া, স্নেহের/প্রিয়, কল্যাণীয়/কল্যাণীয়া ইত্যাদি)
- চিঠির মূল বক্তব্য।
-
বিদায় জ্ঞাপন (ইতি লিখে সম্বন্ধ অনুযায়ী
আপনার/তোমার/তোর লেখার পর প্রেরক
নিজের নাম লিখবে)।
- লেখক-লেখিকার স্বাক্ষর নাম।
চিঠিপত্রের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চিঠি-পত্রের প্রয়োজনীয়তা অনেক। চিঠি-পত্রের ভাষা
হবে
সহজ-সরল। আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যার কাছে চিঠি লেখা হচ্ছে সে সামনে থাকলে আমরা যে
ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলতাম পত্রের ভাষাও ঠিক যেন সেরকম হয়।
Class 5 Bengali Assam
চিঠি-পত্রকে আমরা সাধারণত দুভাগে ভাগ করতে পারি।
(ক) সাংসারিক বা পারিবারিক চিঠি –
আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে
খবরাখবর দেওয়া-নেওয়ার জন্য লেখা
চিঠিকে সাংসারিক বা পারিবারিক চিঠি বলে।
(খ) ব্যবহারিক চিঠি –
সামাজিক, ব্যবসায়িক, প্রতিষ্ঠানিক ও চাকুরি প্রভৃতির প্রয়োজনে লেখা পত্র বা চিঠিকে ব্যবহারিক চিঠি বলে।
এসব চিঠি-পত্রে আদব-কায়দা অধিক মেনে চলতে হয়। এতে প্রয়োজনের বাইরে
কোনো
কথা লেখা হয় না।
আরোও পড়ো-
- “পাখি আর মানুষ” পাঠের প্রশ্ন উত্তর
- ” ও আমার দেশের মাটি ” পাঠের প্রশ্ন উত্তর
নীচের বিষয়গুলোকে নিয়ে শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রীর কাছে আবেদনপত্র
লেখো।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে চিঠি লেখো।
বছরের প্রথমে নতুন বই পাওয়ার পর নিজের খুশি বর্ণনা করে মাসিকে ।
(ক) মাথা ব্যথার জন্য তৃতীয় পিরিয়ডের পর ছুটি প্রার্থনা করে একটি আবেদনপত্র লেখো।
উত্তরঃ-
গুয়াহাটি রেলওয়ে কলোনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় সমীপেষু
পঞ্চম শ্রেণি
ক শাখার শিক্ষকের মাধ্যমে
বিষয়- মাথা ব্যথার জন্য তৃতীয় পিরিয়ডের পর ছুটি
প্রার্থনা।
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমার মাথা ব্যাথার কারণে আমি তৃতীয় পিরিয়ডের পর ছুটি নিতে
চাই।
অতএব, মহাশয়ের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, দয়া করে আমার উক্ত দিনের ছুটি মঞ্জুর করবেন।
তারিখ
১৫/০৫/২০১৩
ইতি
আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্রী
দেবারতি ঘোষ
৫ম শ্রেণি, ক শাখা
রোল
নং – ৭
(খ) ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক-দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান করার অনুমতি প্রার্থনা
করে
একটি আবেদনপত্র লেখো।
উত্তরঃ-
গুয়াহাটি রেলওয়ে কলোনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় সমীপেষু
পঞ্চম শ্রেণি
ক শাখার শিক্ষকের মাধ্যমে
বিষয়- ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক-দিবস উপলক্ষে একটি
অনুষ্ঠান করার অনুমতি।
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক-দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান করতে চাই এবং উক্ত অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি কামনা করি।
অতএব, মহাশয়ের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, অনুষ্ঠান করার অনুমতি মঞ্জুর করিবেন।
তারিখ
১৫/০৫/২০১৩
ইতি
আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্র-ছাত্রীরা
৫ম শ্রেণি
(গ) বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদনপত্র লেখো।
উত্তরঃ-
গুয়াহাটি রেলওয়ে কলোনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় সমীপেষু
পঞ্চম শ্রেণি
ক শাখার শিক্ষকের মাধ্যমে
বিষয়- বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার জন্য
অনুরোধ।
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের স্কুলে একটি বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা (নলকূপ) করে দেওয়ার জন্য বিনম্র অনুরোধ।
অতএব, মহাশয়ের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য একটি নলকূপ প্রদান করিবেন।
তারিখ
১৫/০৫/২০১৩
ইতি
আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্র-ছাত্রীরা
৫ম শ্রেণি
Class 5 Bengali Assam
নীচের চিঠির উত্তর লেখো
গুয়াহাটি
তাং –১৫/০২/২০১৩
স্নেহের দিপা,
প্রথমে তৃমি আমার অনেক ভালোবাসা আর আশীবার্দ নেবে। অনেকদিন হল তোমাদের কোনো খবর পাইনি, তাই খুব চিন্তায় আছি। দিপনের অসুখ ভালো হয়েছে কি? তোমার বাবার কাজ-কর্ম কেমন চলছে? আর তোমার পড়া-শোনা? মনে রাখবে ছাত্র-জীবনে পড়া-শোনাই হচ্ছে প্রধান কাজ ৷ সেটা মনে রেখেই অন্য সব কাজ করবে।
আজ এখানে শেষ করি। উত্তরে তোমাদের কুশল সংবাদ জানাবে।
ইতি
তোমার ঠাকুমা
দিপা দত্ত
মারফৎ – প্রধান শিক্ষক,
১৯১ নং রামকৃষ্ণ শিশু সদন
ডাক-ঘর – রামকৃষ্ণনগর
, করিমগঞ্জ
পিন – ৭৮৮১৬৬
উত্তরঃ-
শিলচর
তাং – ১৫/০৩/২০১৩
শ্রদ্ধেয় ঠাকুমা,
প্রথমে তুমি আমার প্রাণভরা ভালোবাসা ও প্রণাম নেবেন। অনেকদিন পর আপনার একখানা চিঠি পেয়েছি। আমার পড়াশোনা ভালই চলছে, আমি প্রতিদিনই স্কুলে যাই। ভাইয়ের অসুখ কমেছে এবং বাবার কাজ কর্ম রোজগার ভালই চলছে৷
তোমার স্বাস্থ্য আশা করি ভাল আছে৷ তোমার স্বাস্থ্যর খেয়াল নিও৷
ইতি
তোমার দিপা
এসো, পড়ি ।
চিড়িয়াখানা কাকে বলে তোমরা সবাই জান, তাই না? এখন বলো তো জাদুঘর কাকে বলে? তোমরা বোধহয় ভাবছ যেখানে জাদু দেখানো হয় সেই ঘরকে জাদুঘর বলে।তা কিন্তু নয়। জাদুঘর হচ্ছে যেখানে নানারকম আশ্চর্য এবং পুরোনো জিনিস যত্ন করে রাখা হয়। সাধারণ মানুষ অর্থাৎ আমরা জাদুঘরে যাই সেই জিনিসগুলো দেখতে।
কলকাতার জাদুঘরে মিশরের হাজার হাজার বছর আগেকার মমি আছে। প্রাচীনকালে মিশরের লোকেরা নানারকম ওষুধপত্র দিয়ে মৃতদেহ সংরক্ষণ করত। একেই বলা হয় মমি। এই মমি দীর্ঘকাল ধরে প্রায় অবিকৃত থাকে।
Class 5 Bengali Assam
উত্তর দাও।
(ক) জাদুঘর কাকে বলে?
উত্তরঃ- যেখানে নানারকম আশ্চর্য এবং পুরোনো জিনিস যত্ন করে রাখা হয় তাহাকে জাদুঘর বলে।
(খ) জাদুঘরে কী কী রাখা হয়?
উত্তরঃ- জাদুঘরে নানারকম আশ্চর্য এবং পুরোনো জিনিস যত্ন করে রাখা হয়।
(গ) মমি বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- প্রাচীনকালে মিশরের লোকেরা নানারকম ওষুধপত্র দিয়ে মৃতদেহ সংরক্ষণ করত। একেই বলা হয় মমি।
(ঘ) কলকাতার জাদুঘরে কী আছে?
উত্তরঃ- কলকাতার জাদুঘরে মিশরের হাজার হাজার বছর আগেকার মমি আছে।
ও স্থানীয় পোস্ট-অফিসে গিয়ে সেখানকার কাজকর্ম দেখে নীচের বিষয়গুলোর সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত টাকা লেখো।
ডাক-টিকিট
ডাকটিকিট একখণ্ড কাগজ যা ডাক মাসুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নানা বর্ণের এই ডাকটিকিট গুলোতে ফুটে ওঠে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, ইত্যাদি বিষয় ফুটে ওঠে। প্রতিটি দেশের ডাক ব্যবস্থায় ডাকটিকিটের ব্যবহার আছে। তাই প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ ডাকটিকেট প্রকাশ পায়।
মানি-অর্ডার
মানি অর্ডার একটি প্রিপেইড পদ্ধতি। মানি অর্ডার ব্যবহার করায় গ্রাহককে প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থ বহন করতে হয় না। এটাকে পোস্টাল অর্ডারও বলা হয়ে থাকে।
পোস্ট-কার্ড
একটি পোস্টকার্ড বা পোস্ট কার্ড হ’ল মোটা কাগজ বা পাতলা কার্ডবোর্ডের এক টুকরো, সাধারণত আয়তক্ষেত্রাকার, একটি খাম ছাড়াই লেখার জন্য এবং মেইলিংয়ের উদ্দেশ্যে।
ক্ষুদ্র সঞ্চয়/ডাক বিমা
ক্ষুদ্র সঞ্চয়/ডাক বিমা ভারতের ডাক বিভাগের একটি যুগপৎভাবে বিমা পলিসি ও সঞ্চয় প্রকল্প। এটিতে গ্রাহকরা মাসিক, অর্ধবাৎসরিক বা বাৎসরিক ভাবে টাকা জমা রাখতে পারে৷
খাম
আমরা দৈনন্দিন জীবনে খামের ভেতর করে চিঠি আদান প্রদান করে থাকি যেমন – পারিবারিক চিঠি, ব্যবসায়ীক চিঠি। আরো অন্যান্য চিঠি আমরা খামের ভেতরে করে প্রেরণ করে থাকি।
পিন কোড
পিন কোড বা ডাক সূচক সংখ্যা হচ্ছে ভারতীয় ডাক ব্যাবস্থার সূচকীকরণ সংখ্যা যার মাধ্যমে ভারতের কোন একটি নির্দিষ্ট ডাকঘরের ঠিকানা বোঝায়। ভারতীয় ডাকব্যবস্থায় সূচক সংখ্যাগুলি ছয় সংখ্যা বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
একটি খাম প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ- নিজেরা চেষ্টা করো ।