Class IV Bengali Question Answer Lesson 7 প্রভাতি

ডেইলি বরাক
By -

Class IV Bengali Question Answer Lesson 7 প্রভাতি . Class IV Bengali Assam চতুর্থ শ্রেণীর বাংলার প্রশ্ন উওর পাঠ- প্রভাতি


(toc)

প্রভাতি পাঠের প্রশ্ন উত্তর

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

এসো, কবিতাটি স্পষ্ট উচ্চারণে সাবলীলভাবে আবৃত্তি করি

উত্তরঃ প্রভাতি 

উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) ‘রবি মামা’ বলতে কবিতায় কাকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ কবিতায় ‘রবি মামা’ বলতে সূর্যদেবতাকে বোঝানো হয়েছে।

(খ) রবি মামার গায়ে কোন রঙের জামা?

উত্তরঃ রবি মামার গায়ে লাল রঙের জামা।

(গ) কে গান গায়?

উত্তরঃ দারোয়ান গান গায়।

(ঘ) কার গান ভোরের বাতাসে ভাসে?

উত্তরঃ ভোরের বাতাসে পাখির গান ভাসে।

(ঙ) পুষ্পে কে শিস দেয়?

উত্তরঃ বুলবুল পাখি পুষ্পে শিস দেয়।

(চ) তরী কীভাবে চলে?

উত্তরঃ পাল তুলে তরী চলে।

(ছ) খুকুর কপালে কে টিপ দেয়?

উত্তরঃ চাঁদ মামা খুকুর কপালে টিপ দেয়।

এসো শূন্যস্থান পূর্ণ করি।

(ক) রবি মাম

দেয় ________

গায়ে _______জামা ঐ,

(খ) ____ নীড়

করে ভিড়

ওড়ে পাখি-

(গ) খুলি ___

____ হাল

ঐ ___ চল্‌ল,

উত্তরঃ (ক) রবি মামা

দেয় হামা

গায়ে রাঙা জামা ঐ,

(খ) ত্যজি নীড়

করে ভিড়

ওড়ে পাখি আকাশে

(গ) খুলি হাল

তুলি পাল

তরী চলল,

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে খোকা-খুকুরা কী করে লেখো।

উত্তরঃ ঘুম থেকে উঠে ভোরবেলা খোকা-খুকুরা হাত-মুখ ধোয়, দাঁত মাজে। তারপর প্রার্থনা করে। ঈশ্বরের কাছে বর মাগে।

কবিতাটিতে ভোরবেলার পরিবেশের একটি ছবি ফুটে উঠেছে। নিজের ভাষায় এই পরিবেশটি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ সারাংশ দেখো।

 ছবি দেখে বলো ও লেখো। 


উত্তরঃ ভোর হ‌ওয়ার সাথে সাথে পাহাড়ের ওপাশে আকাশের গায়ে দিনের প্রথম সূর্য উদিত হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রকৃতির পরিবেশ‌ও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। ভোরের আলো দেখে একদিন যেমন মোরগ ডাকতে ওদিকে পাখিরাও নিদ্রা ত্যাগ করে ঘর ছেড়ে মনের আনন্দে আকাশের বুকে উড়তে শুরু করেছে। কৃষক ভাই বলদ সহযোগে লাঙল।

টেনে চাষ করছে। গোয়ালা ভাই বাছুরটিকে পাশে রেখে গরুর দুধ দোয়াচ্ছে। খোলা মুক্ত প্রাকৃতি পরিবেশের একদিকে রয়েছে ধান ক্ষেত

আর একদিকে ডোবার জলে পদ্মফুল ফুটে আছে। এরই মাঝে সরু রাস্তা দিয়ে কৃষক রমণী কৃষককে খাওয়াবার জন্য ঝুড়ি করে কিছু খাবার নিয়ে আসছে। ইঁদুর দুটো মাটির গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে খাদ্যের সন্ধান করছে।

শব্দ-সম্ভার দেখে নীচে শব্দগুলোর অর্থ লেখো।

উত্তরঃ

শব্দ অর্থ
দোর দরজা
এন্তার প্রচুর
নীড় পাখির বাসা
হাল
পাল বাতাসের সাহায্যে নৌকা চালানোর জন্য মাস্তুলে খাটানো পর্দা
তরী নৌকা
কলরব গোলমাল
জুই এক ধরনের ফুল ।

খ—ভাষা অধ্যয়ন (র‍্যবহারিক ব্যাকরণ)

ক, গ এরূপ কয়েকটি বর্ণের সঙ্গে ম-বর্ণের যুক্ত করে উচ্চারণ করা শেখো। সেই যুক্তবর্ণের সহযোগে শব্দ গঠন কর।

দ+ম=দ্ম- পদ্ম, ছদ্মনাম, পদ

ন+ম=ন্ম- জন্ম, জন্মান্তর, জন্মাষ্টমী

ত+ম=ত্ম- আত্মা, মহাত্মা, পরমাত্মা

গ+ম=গ্ম- বাগ্মী, যুগ্ম, অযুগ্ম

ল+ম=ল্ম- গুল্ম, বাল্মীকি

ক+ম=ক্স- রুক্মিণী

উপরের শব্দ ব্যবহার করে কয়েকটি বাক্য তৈরি করা হলো। বাল্মীকি রামায়ণ করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পদ্মাবতী একটি সুন্দরী মেয়ে। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। রুক্মিণীর ভাই রুক্ম একজন বীর ছিলেন।

বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলোকে স্ত্রী-পুরুষ ভেদে দুভাগে ভাগ করা যায়। এই পাঠে খুকুমণি, খুকি, এছাড়াও বোন, মেয়ে, মা ইত্যাদি শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে নারী বা স্ত্রী জাতিকে নির্দেশ করা হয়েছে। তাই এই ধরনের শব্দকে স্ত্রীলিঙ্গ বাচক শব্দ বলা হয়।

এই পাঠে ‘ভাই’ ‘মামা’ শব্দ দুটি পড়েছ। এছাড়াও বাবা, দাদা, দাদু ইত্যাদি শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে পুরুষজাতিকে নির্দেশিত করা হয়। এধরনের পুরুষ নির্দেশিত শব্দকে পুংলিঙ্গ বাচক শব্দ বলা হয়।


এবার নীচের ‘ক’ বাক্সের পুংলিঙ্গ বাচক শব্দের সঙ্গে ‘খ’ বাক্সের স্ত্রীলিঙ্গ বাচক শব্দ মিলিয়ে লেখো

ক                খ

খোকা মহিলা

মামা বালিকা

ছেলে মামি

ভাই বোন

নর খুকি

পুরুষ সভানেত্রী

সভাপতি মেয়ে

বালক নারী

উত্তরঃ খোকা = খুকি

মামা = মামি

ছেলে = মেয়ে

ভাই = বোন

নর = নারী

পুরুষ = মহিলা

সভাপতি= সভানেত্রী

বালক = বালিকা

নীচের উদাহরণটি পড়ে বুঝে নাও।

উদাহরণ—“আঠারো মাসে বছর।” (ঢিলেঢালা)

এবার নীচের বাগ্ধারাগুলো বুঝে নিয়ে বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করো। (শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন।)

(ক) যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ ___________।

উত্তরঃ যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। (অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত লেগে থাকা।)

(খ) তিলকে ___________ করা।

উত্তরঃ তিলকে তাল করা। (ঘটনার অতিরঞ্জিত করা)

উদাহরণটি ভালোভাবে দেখো। তারপর ফুল থেকে শব্দ নিয়ে নতুন শব্দ গঠন করো।

উদাহরণ – বই-পত্র

(ক) বই …………          

(খ) কাজ ………

(গ) হিসাব ……..

(ঘ) বাজার …….

(ঙ) ঘর ………..

উত্তরঃ (ক) বই – পত্র। 

(খ) কাজ – কর্ম। 

(গ) হিসাব – নিকাস। 

(ঘ) বাজার – হাট। 

(ঙ) ঘর – দুয়ার।

বাক্য রচনা করো।

দারোয়ান, চুল্‌বল্, এইবার

দারোয়ান – দারোয়ান ধনী মানুষের বাড়ি পাহারা দেয়।

চুল্‌বল্ – বুলবুল পাখি বড়ো চুলবুল করে।

এইবার – এইবার দুর্গোপূজায় আমরা কলকাতা যাব।

তোমরা ইতিমধ্যে বিশেষণ পদের বিষয়ে শিখে নিয়েছ। এখন এই পাঠে বিশেষণ পদগুলো বেছে নিয়ে লেখো।

উত্তরঃ ফুল-খুকি, রা‌ঙা, এস্তার, চুলবুল, শিস, আলসে, কলরব, বর

উদাহরণের মতো নীচের বাক্যগুলো লেখো।

উদাহরণ – ভোরবেলা সূর্য ওঠে না।

ভোরবেলা সূর্য ওঠে।

উত্তরঃ (ক) পাখিরা গান গায় না।

পাখিরা গান গায়।

(খ) ছেলে-মেয়েরা পাঠশালায় যায় না।

ছেলে-মেয়েরা পাঠশালায় যায়।

(গ) মৌমাছি ফুল থেকে মধু পান করে না।

মৌমাছি ফুল থেকে মধু পান করে।

ত্যজি নীড়

করে ভিড়

ওড়ে পাখি আকাশে

পাঠে এই অংশে আকাশে পাখির ভিড় করে ওড়ার কথা বলা হয়েছে । এখানে পাখি শব্দটির সাথে যদি ‘গুলি’, ‘গুলো, ‘রা’ ইত্যাদি শব্দ যুক্ত কর বলা হয় পাখিগুলি, পাখিগুলো, পাখিরা ইত্যাদি। এভাবে একটি শব্দকে একসাথে অনেকগুলো বোঝায়। এভাবে কোন বস্তু, জীবজন্তু ইত্যাদি একসাথে একাধিক বা অনেক বোঝালে তাকে বহুবচন বলে। কিন্তু যদি কোন জীবজন্তু বা বস্তু একটিকে নির্দেশ করে তবে তাকে একবচন বলা হয়। অতএব বস্তুর এক বা একাধিক সংখ্যা অনুযায়ী বচন দুই প্রকার- একবচন ও বহুবচন।(alert-success)

একবচন শব্দগুলোকে বহুবচনে রূপান্তরিত করো-

পাখি ………………

ছেলে ……………..

মেয়ে ……………..

ভাই ……………..

বোন …………….

ফুল …………….

উত্তরঃ পাখি – পাখিগুলো 

মেয়ে – ছেলেগুলি

মেয়ে – মেয়েগুলি

ভাই – ভাইরা

বোন – বোনেরা

ফুল – ফুলগুলি

গ—জ্ঞান সম্প্রসারণ

জেনে নাও: যে সব পশুপাখি জীবজন্তু রাতে জেগে খাদ্যের সন্ধান করে, কিন্তু দিনের বেলায় বিশ্রাম নেয় এদের নিশাচর প্রাণী বলা হয়। যেমন- বাদুড়, প্যাঁচা।

ভোর বা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা খুব ভালো অভ্যাস। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তুমি ঘুম থেকে উঠে কী কী কর তার একটি সময়-তালিকা তৈরি করো।

কার্য সময়

(ক) বিছানা ছেড়ে ওঠা = সকাল ৬টা

(খ) দাঁত মাজা ও মুখ ধোয়া =সকাল ৬টা ১৫ মিনিট

(গ) ব্যায়াম-যোগাভ্যাস করা = সকাল সাড়ে ৬.১৫-৬.৪০ মিনিট

(ঘ) প্রার্থনা করা = সকাল ৬.৪০-৭০০ টা

(ঙ) পড়াশোনা করা = সকাল ৭টা ৮ টা

(চ) জলখাবার খাওয়া = সকাল ৮-৮.১৫টা

(ছ) স্নান করা = সকাল ৮.১৫-৮.৩০

(জ) ঘরের কাজে মা-বাবাকে সাহায্য করা = সকাল ৮.৩০-৯টা

(ঝ) বিদ্যালয়ে যাওয়া = সকাল ৯টা

(ঞ) খেলাধুলা করা = বিকেল ৪-৫টা

ভোরে সূর্যোদয়ের সময়টুকু খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করো এবং কী দেখলে লেখো।

উত্তরঃ ভোরে সূর্য যখন উদিত হয় তখন মনে হয় যেন প্রকৃতি দেবতা আকাশের বুকে নানা রঙ ছড়িয়ে দেয়। মনে হয় সূর্যদেবতা নানা র‌ঙের ঝলমলে জামা পরিধান করে প্রস্ফুটিত হয়েছে। সূর্যের প্রথম আলো যখন দীর্ঘ গাছের চূড়ায় ছড়িয়ে পড়ে দূর থেকে মনে হয় প্রকৃতি দেবী যেন গাছের চূড়ায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেই আগুনে ভ্রমিত হয়ে পাখিগুলো যেন দিগ্‌বিদিগ জ্ঞানশূন্য হয়ে কিচির মিচির শব্দ করে উদ্ভ্রান্তের মত উড়ে চলেছে।

ঘুম থেকে ওঠার পরই মানুষের কাজ আরম্ভ হয়। বাড়িতে মা, বাবা, দিদি-দাদা, ভাই-বোন কে কী করে, তা ভালো করে লক্ষ্য করো ও লেখো।

উত্তরঃ মা ঘুম থেকে ওঠে ঘর দুয়ার পরিষ্কার করে স্নান সেরে আসে । এরপর ঠাকুরঘরে বসে পূজা অর্চনা করে। ঠাকুর ঘর থেকে বেরিয়ে এসো পাক ঘরে প্রবেশ করে এবং সকলের জন্য খাদ্য তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

বাবা ঘুম থেকে ওঠে দাঁত মেজে ও মুখ ধুয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। একঘণ্টা পর ঘুরে এসে অল্প সময় ব্যায়াম ও যোগাভ্যাস করে এরপর প্রাতঃরাশ করে। এর কিছুপর মাছ ও আনাজপাতি কিনবার জন্য বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।

দিদি দাদা ঘুম থেকে ওঠে দাঁত মেজে মুখ ধোয়। এরপর অল্প সময় কিছু যোগাভ্যাস করে কিছুক্ষণ ঠাকুরের সামনে বসে প্রার্থনা করে।

সকালবেলা থেকে জীবিকার জন্য ব্যস্ত লোকদের নাম এবং তাঁদের জীবিকার নামের তালিকা তৈরি করো, যেমন- কৃষক-কৃষিকর্ম ।

উত্তরঃ কৃষক – কৃষিকর্ম।

তাঁতি – কাপড় বোনা।

ছুতোর – কাঠের কাজ।

কামার – লোহার কাজ।

কুমোর – মাটির পাত্র তৈরী।

মুদি – তৈজসপত্র বিক্রি।

ঘরামি – মাটির বাড়ি তৈরী।

রাজমিস্ত্রি – পাকা বাড়ি তৈরী।

মুচি – জুতো তৈরী।

ডাক্তার – রুগী দেখা।

সেবিকা – রোগীর দেখাশোনা।

ধুনুচি – লেপ-তোষক-বালিশ বানানো।

দরজি – পোষাক তৈরী।

ঘ—প্রকল্প

নীচের তালিকাটি পূর্ণ করো।

উত্তরঃ

দিনে জাগা পাখি ও দিনে ফোটা ফুল
কাক জবা
কোকিল পদ্ম
চড়ুই গোলাপ
পায়রা করবী
শালিক সূর্যমুখী
টীয়া হরগৌরী

রাত জাগা পাখি ও রাতে ফোটা ফুল
পেঁচা টগর
বাদুড় বেল

জুই

রজনীগন্ধা

শিউলি

চাঁপা

পরবর্তী পাঠ- ৮ বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn more
Ok, Go it!