(toc)
পাঠ-১৫
আমাদের সংবিধান
Class 5 EVS Lesson 15 Assam SCERT Board all notes in Bengali Medium.
পাঠ-১৫ স্বাধীনতা আন্দোলনে অসমের ভূমিকা || পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ আসাম বাংলা মাধ্যম।
১ | উত্তর লেখো-
(ক) কবে থেকে ভারত একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করে?
উত্তর:- ১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দের ১৫ ই আগষ্ট থেকে ভারত একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করে।
(খ) সংবিধান সভার দুজন সদস্যের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:-সংবিধান সভার দুজন সদস্যের নাম হলো জওহরলাল নেহেরু ও সরোজনী নাইডু।
(গ) কোন তারিখে ভারতবর্ষকে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক গণরাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
উত্তর:- ১৯৫০ খ্রীস্টাব্দের ২৬ ই জানুয়ারি তারিখে ভারতবর্ষকে সার্বভৌম গগণতান্ত্রিক গণরাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
(ঘ) সংবিধান সভার সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর:- সংবিধান সভার সভাপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ ছিলেন।
(ঙ) ভারতীয় নাগরিকদের কয়টি মৌলিক কর্তব্য আছে?
উত্তর:- ভারতীয় নাগরিকদের ১১ টি মৌলিক কর্তব্য আছে।
২ ।’ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও
উত্তর:-৩। শূণ্যস্থান পূর্ণ করো –
(ক) আমরা ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর ২৬শে জানুয়ারি ……… হিসেবে পালন করি।
উত্তর:- গণতন্ত্র দিবস
(খ) ……… সংবিধান একটি দীর্ঘতম সংবিধান।
উত্তর:- ভারতবর্ষের
(গ) ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম…….. গণরাজ্য।
উত্তর:- গগণতান্ত্রিক
(ঘ) প্রত্যেক দেশ বা রাষ্ট্রের একটি নিজস্ব …….. আছে।
উত্তর:- সংবিধান
(ঙ) …….. খ্রিস্টাব্দে……. আগস্টর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
উত্তর:- ১৯৪৭, ১৫
৪ । সংবিধানের প্রস্তাবনায় কী উল্লেখ আছে?
উত্তর:- ভারতের সংবিধানের শুরুতে একটি প্রস্তাবনা আছে। এই প্রস্তাবনায় সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহের বিষয়ে উল্লেখ করা আছে। ভারতের সংবিধানের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি প্রস্তাবনায় প্রকাশ পেয়েছে।
৫ | মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝ এবং সেগুলো কী কী লেখো।
উত্তর:- ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আমাদের প্রাপ্য এবং বিশেষ সুবিধা লাভ করাটা আমাদের জন্য বাদ্যতামূলক। এই সুযোগ সুবিধা গুলো হলো আমাদের মৌলিক অধিকার। যদি এগুলো পেতে কেউ বাঁধার সৃষ্টি করে তাহলে তাকে আইনত দণ্ডনীয় হতে হয়। ভারতের সংবিধানে এমনই কিছু মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। এগুলোকেই মৌলিক অধিকার বলা হয়।
ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলো হলো-
(ক) স্বাধীনতার অধিকার,
(খ) সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার,
(গ) সমতার অধিকার,
(ঘ) শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার,
(ঙ) শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিকারের অধিকার,
(চ) ধর্মীয় অধিকার।
৬ । শিক্ষার অধিকার আইন বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- ভারতের সংবিধানে শিক্ষার অধিকার আইন বলে একটি বিশেষ অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। যে অধিকারের ভিত্তিতে ভারতের প্রত্যেক শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা মৌলিক অধিকার। এই অধিকার ২০০৯ সালে “শিক্ষা অধিকার আইন” রূপে প্রবর্তিত করা হয়। এই আইন অনুযায়ী ৬ থেকে ১৪ বছরের সব শিশু বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
৭ | নির্দেশাত্মক নীতিসমূহের মুল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর:- ভারতের নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধানে আমাদের রাষ্ট্রের প্রতি কিছু নির্দেশ দেওয়া আছে। দেশের জনসাধারণের কল্যানের জন্য সংবিধানে সন্নিবিষ্ট এই রকম নির্দেশসমূহকে নির্দেশাত্মক নীতি বলে।
নির্দেশাত্মক নীতির মুল উদ্দেশ্য হলো- সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে সমতা স্থাপন করে জনসাধারণের সকল প্রকার কল্যান সাধন করা। এই নির্দেশ মেনে সরকার জনসাধারণের কল্যান ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করা উচিত।
৮ । নির্দেশাত্মক নীতিসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং সেগুলো কী কী লেখো।
উত্তর:- নির্দেশাত্মক নীতিসমূহকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো –
(ক) অর্থনৈতিক নীতি – পুরুষ-মহিলা উভয়কে সমান কাজের জন্য সমান পারিশ্রমিক দেওয়া, মা ও শিশুর মঙ্গলের জন্য ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
(খ) গান্ধীবাদী নীতি – পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, কুটীরশিল্পের সসম্প্রসারণ, বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, গো-পালন ইত্যাদি।
(গ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় নীতি – আন্তঃরাষ্ট্রীয় শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।
(ঘ) অন্যান্য – ঐতিহাসিক তাৎপর্য স্থান গুলো সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।