(toc)
পাঠ-১০
পরিবেশ প্রদূষণ
Class 5 EVS Lesson 10, পাঠ-১০ পরিবেশ প্রদূষণ Assam SCERT Board all notes in Bengali Medium. class 5 EVS assam bengali medium
১। উত্তর দাও-
(ক) প্রদূষণ কী?
উত্তর:- প্রদূষণ হলো পরিবেশের এমন একটি সমস্যা যায় ফলে পরিবেশের জৈবিক ও অজৈবিক উপাদান গুলোর মধ্যে পারস্পরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে থাকে। ফলে মানুষের অনেক ধরনের ক্ষতিকারক রোগ দেখা দিয়ে থাকে।
(খ) দুই প্রকার জৈবিক সারের নাম লেখো।
উত্তর:- দুই প্রকার জৈবিক সারের নাম হলো কেঁচো সার ও পচন সার।
(গ) মাটি প্রদূষণ প্রতিরোধ করার একটি উপায় উল্লেখ করো।
উত্তর:- রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ধোঁয়া, চিত্রনালা, নিমপাতা ইত্যাদি ব্যবহার করে মাটি প্রদূষণ রোধ করা যায়।
২। শূন্যস্থান পূরণ করো-
(ক) রাসায়নিক সারের পরিবর্তে…….. সার ব্যবহার করে মাটি প্রদুষণ রোধ করা যায়।
উত্তর:- পচন ও কেঁচো
(খ)……. এক প্রকার উৎকৃষ্ট জৈবিক সার।
উত্তর:- কেঁচো সার
(গ) ইন্ধন জ্বালালে বায়ুমণ্ডলে……… গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়।
উত্তর:- কার্বন-ডাই-অক্সাইড
(ঘ) গাছের পাতা বায়ুর ………. ধরে রেখে বায়ুর প্রদূষণ কমায়।
উত্তর:- ধূলিকণা
(ঙ) বায়ুমণ্ডলে……….. গ্যাস বেশি হলে প্রাণীর বিস্তর ক্ষতি সাধন হয়।
উত্তর:- কার্বন-ডাই-অক্সাইড
৩। অশুদ্ধ বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখো –
(ক) কাঠ, কয়লা ইত্যাদি ইন্ধন জ্বালাতে বায়ু মণ্ডলের কার্বন-ডাই-অঅক্সাইড গ্যাসের প্রয়োজন হয়।
উত্তর:- অশুদ্ধ
(খ) বায়ু প্রদুষণ রোধ করার জন্য যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলতে হয়।
উত্তর:- অশুদ্ধ
(গ) পুনরাবর্তন প্রক্রিয়ায় পরিবেশ প্রদূষণ রোধ করা যায়।
উত্তর:- শুদ্ধ
(ঘ) জৈবিক সারের পরিবর্তে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটি প্রদূষণ রোধ করা যায়।
উত্তর:- অশুদ্ধ
(ঙ) দূষিত জল পান করলে কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ হয়।
উত্তর:- শুদ্ধ
৪। পুনরাবর্তন বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- পুনরাবর্তন হলো এরূপ এক প্রক্রিয়া যাতে ব্যবহারের পর অপ্রয়োজনীয় ভাঙা বস্তু বা সামগ্রী গুলোকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্যবহারের উপযোগী বস্তুতে রূপান্তরিত করা হয়। এই ব্যবস্থার ফলে পরিবেশের আবর্জনা পরিমান হ্রাস হয় এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে। এই পুনরাবর্তনের দ্বারা পরিবেশ প্রদূষন রোধ করা হয়।
৫। মাটির গুণাগুণ কেন নষ্ট হয় তার কারণ গুলো লেখো।
উত্তর:- মাটির গুনাগুন নষ্ট হওয়ার কারণ গুলো হলো-
(ক) মাটির গুনাগুন নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ হলো অত্যাধিক পরিমাণে রাসায়নিক সারের ব্যবহার করা। অধিক শস্য উৎপাদন করার জন্য রাসায়নিক সারের ব্যবহারে অধিক পরিমাণে শস্য উৎপাদন হয় যদিও মাটির গুনাগুন যথেষ্ট নষ্ট হয়ে থাকে।
(খ) শাক-সবজির অপ্রয়োজনীয় অংশ, ঘরোয়া আবর্জনা, খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ, মলমূত্র ইত্যাদি আবর্জনা গুলো মাটিতে যেখানে সেখানে ফেলার জন্য সেগুলো মাটিতে পচে মাটির গুনাগুন নষ্ট করে।
(গ) উদ্যোগগুলো থেকে নির্গত আনর্জনাগুলো মাটিতে মিশে মাটির গুনাগুন নষ্ট হয়ে থাকে।
৬।জল প্রদুষণ কী ভাবে রোধ করা যায়?
উত্তর:- জল প্রদূষণ রোধ করার উপায় গুলো হলো-
(ক) উদ্যোগগুলো থেকে নির্গত আবর্জনাগুলো থেকে রাসায়নিক দ্রব্য আলাদা করে জলে ফেললে জল প্রদূষণ কিছুটা রোধ করা যায়।
(খ) নদ-নদী, হ্রদ, পুকুর, জলাশয়, খালবিল ইত্যাদিতে স্নান করা, কাপড় ধোঁয়া, শৌচ-প্রস্রাব করা ইত্যাদি কার্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এধরনের কার্য সার্বজনীনভাবে বর্জন করলে জল প্রদূষণ অনেক পরিমাণে রোধ করা যায়।
(গ) আধুনিক কৃষি প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবিক সারের ব্যবহার করে জল প্রদূষণ কিছুটা রোধ করা যায়।
৭। বায়ু প্রদূষণ হওয়ার চারটি কারণ লেখো।
উত্তর:- বায়ু প্রদূষণ হওয়ার চারটি কারণ হলো –
(ক) কাঠ-কয়লা ইত্যাদি ইন্ধনগুলো জ্বালালে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যায়। এই গ্যাস বায়ুমন্ডলে বেড়ে গেলে প্রাণীর বিস্তর ক্ষতি হয়।
(খ)নগর-শহরের আবর্জনা, মল-মুত্র, মৃত জীব ইত্যাদি যেখানে সেখানে ফেলার ফলে এগুলো গলে পচে বায়ু প্রদূষিত করে।
(গ) উদ্যোগ থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস, মোটরগাড়ি, বিভিন্ন যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুকে প্রদূষণ করে।
(ঘ) দাবানলের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া বায়ু প্রদূষণের মাধ্যমে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে।
৮। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কী ভাবে শস্য অনিষ্টকারী কীট-পতঙ্গ বিনাশ করা যায়?
উত্তর:- প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চিত্রনালা, নিমপাতা, ধোঁয়া ইত্যাদি ব্যবহার করে শস্য অনিষ্টকারী কীট-পতঙ্গ বিনাশ করা যায়।
৯। উদ্যোগ থেকে নির্গত ধোঁয়া বের করার জন্য উঁচু চিমনির ব্যবহার কেন করা হয়?
উত্তর:- উদ্যোগ থেকে নির্গত ধোঁয়া বের করার জন্য উঁচু চিমনির ব্যবহার করা হয় কারণ বায়ু প্রদূষণ কমানোর জন্য।
১০। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো –
(ক) পচন সার:-ঘর-বিদ্যালয়ের আবর্জনাগুলো যেখানে সেখানে না ফেলে গর্ত করে ফেলা উচিত। এর ফলে চারিদিক পরিষ্কার থাকে এবং কিছুদিন পর এগুলো পঁচে পচন সার তৈরী হয়। শস্যখেতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে পচন সার ব্যবহার করে মাটি, জল ও বায়ু প্রদূষণ অনেকটা রোধ করা যায়।
(খ) জৈব গ্যাস :-জৈব গ্যাস হলো এমন এক প্রকার গ্যাস যা আমাদের পরিবেশকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড ইত্যাদি ক্ষতিকারক গ্যাসের মাধ্যমে হওয়া পরিবেশ দূষণ কিছুটা রোধ করে। এই জৈব গ্যাস প্রধানত ঘরোয়া আবর্জনা, শাক-সবজির অবশিষ্ট অংশ, মৃত উদ্ভিদ ইত্যাদির দ্বারা প্রস্তত করা হয়। জৈব গ্যাস একটি পুনরাবৃত্তি শক্তি।
(গ) প্রদূষক :-কখনও কখনও বায়ু, জল ও মাটিতে কিছু পরিমাণ অন্যান্য হানিকারকপদার্থ মিশে যায়। যার ফলে আমাদের পরিবেশের জল, বায়ু তথা মাটি প্রদূষণ হয়ে থাকে। যেসব হানিকারক পদার্থের জন্য পরিবেশ প্রদূষিত হয় সেগুলোকে প্রদূষক বলা হয়।
Class 5 EVS Assam in Bengali Medium
*****