(toc)
পাঠ-৩
অসমের সংস্কৃতি
Class 5 EVS Assam in Bangla Medium | Assam Government School All Notes | Class 5 EVS Lesson 3 অসমের সংস্কৃতি |
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১। উত্তর লেখো –
(ক) অসমে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীদের নাম
উত্তর :- অসমে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীদের
বড়ো, তিওয়া, কাছারি, গারো, ডিমাসা, কার্বি ইত্যাদি।
(খ) কয়েকটি অলঙ্কারের নাম।
উত্তর :- কয়েকটি অলঙ্কারের নাম কেরু, জোনবিরি,
কানফুল, খোপাফুল, নাকফুল ইত্যাদি।
(গ) তিনটি নৃত্যের নাম।
উত্তর :- তিনটি নৃত্যের নাম দেউরি নৃত্য, ঝুমুর
নৃত্য, খেরাই নৃত্য, দেওধানী নৃত্য ইত্যাদি।
(ঘ) প্রাচীনকালে অসমে এসেছে এমন তিনটি জনগোষ্ঠীর নাম।
উত্তর :- প্রাচীনকালে
অসমে এসেছে এমন তিনটি জনগোষ্ঠীর নাম অষ্ট্রিক, তিব্বতধর্মী, ককেশীয়, তাই
মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর ইত্যাদি।
(ঙ) চাল থেকে তৈরি চারটি খাদ্যবস্তুর নাম।
উত্তর :- চাল থেকে তৈরী চারটি
খাদ্যবস্তুর নাম চিড়া, মুড়ি, হুরুম, তিল পিঠা, ঘিলা পিঠা ইত্যাদি।
২ ।”ক” অংশের সঙ্গে “খ” অংশ মেলাও –
উত্তর :-
৩। শূণ্যস্থান পূর্ণ করো ।
(ক) খেরাই পূজা ______ দের পালিত উৎসব।
উত্তর :- বড়ো
(খ) কার্বিদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব—– এবং—– |
উত্তর :- রংকার ও হেচ্ছা
(গ) মিসিংরা —–পালন করে।
উত্তর :- আলি-আই-লিংগা
(ঘ) ডিমাসাদের বড়ো উৎসব হচ্ছে — —এবং—–
উত্তর :- রাজিনিগাব্রা ও
হানিগাব্রা।
৪। অসমিয়া সংস্কৃতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর :- অসমে বসবাসকারী
জাতি জনগোষ্ঠীসমূহ নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য, সামাজিক রীতি-নীতি, সাজ-পোশাকের
বৈশিষ্ট্য, অলংকার, উৎসব-অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। এই সকল জনগষ্ঠীদের নিজস্ব
সংস্কৃতি আছে।
৫। অসমিয়া সংস্কৃতি কে অধিক শক্তিশালী রূপে কোন মহাপুরুষ গড়ে তুলেছেন? অসমিয়া সংস্কৃতিতে উক্ত মহাপুরুষের অবদানসমূহ কি কি?
উত্তর :- অসমিয়া সংস্কৃতি কে অধিক শক্তিশালী রূপে মহাপুরুষ শংকরদেব গড়ে তুলছেন। অসমিয়া সংস্কৃতিতে মহাপুরুষ শংকরদেবের অবদান অপরিসীম। তিনি একদিকে যেমন গীত -পদ, নাটক ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন তেমনি আবার নিজস্ব উদ্ভাবনী দক্ষতার সাহায্যে খোল- তাল বা করতাল ইত্যাদির সৃষ্টি করে অসমিয়া সংস্কৃতিকে এক স্বকীয় রুপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শংকরদেব সৃষ্ট নামঘর ও সত্র অসমিয়া কৃষ্টির স্তম্ভরূপ। তাঁর প্রবর্তিত সত্রীয়া নৃত্য সমগ্র ভারতে সম্মান লাভ করেছে।
৬। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো
উত্তর :- (ক) উৎসব- অনুষ্ঠান :-অসমের জাতীয় উৎসব
হচ্ছে বিহু। সেজন্য অসমের জনসাধারণ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিহু উৎসবটিকে পালন করে
থাকে। জাতীয় উৎসবের মাধ্যমেই জাতির-সভ্যতা প্রতিফলিত হয়। অসমের বিহু উৎসবটি
প্রধানত কৃষিভিত্তিক। এছাড়াও কার্বি জনগোষ্ঠীদের রংকার ও হেচ্ছা, মিসিংদের
আলি-আই-লিংগা, ডিমাসাদের রাজিনিগাব্রা ও হানিগাব্রা, বড়োদের খেরাই পুজো ইত্যাদি
উল্লেখযোগ্য।
(খ) বাদ্যযন্ত্র :- অসমে অনুষ্ঠিত সব ধরনের উৎসবেই নানান বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। উদাহরণরূপে- পেপা, গগনা, ঢোল, টকা, শিঙা, তাল, খোল, বাঁশি, দোতারা, বীনা, সিংফু, সুতলি ইত্যাদি। এসকল বাদ্যযন্ত্র বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়।
(গ) নৃত্য-গীত :- অসমের প্রচলিত নৃত্য-গীতের মধ্যে হুচরি, জিকির, বিহু, দেওধানী, মহখেদা, ঝুমুর, খেরাই, নাও খেলর গীত ইত্যাদি। অসমের সংস্কৃতিতে পুতুল নাচ ও ওজাপালি বিখ্যাত। পুতুল নাচের মাধ্যমে রামায়ণ মহাভারতের কাহিনি ও বর্ননা করা হয়। ওজাপালি অসমের প্রাচীনকালের নৃত্য-গীতের অনুষ্ঠান।
(ঘ) রীতি- নীতি :- প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে কিছু রীতি -নীতি প্রচলিত আছে। কিছু কাজ-কর্ম বা নিয়ম-নীতি অনেক দিন থেকেই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। এই রীতি -নীতি গুলো সমাজকে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলেতে সাহায্য করছে। যেমন-বাড়িতে অতিথি আসলে পান-সুপারি, চা-জলখাবার পরিবেশন করা, পরিবারের কর্তা সহ বড়োদের সম্মান করা, কার্তিক সংক্রান্তি কাতিবিহুতে তুলসী বেদী এবং চাষের জমিতে প্রদীপ প্রজ্বলন ইত্যাদি।
অসমের সংস্কৃতি পাঠের কিছু অতিরিক্ত
- অসমের জনজাতীয় লোকদের কয়েকটি সাজ-পোশাকের নাম-
জনজাতি | মহিলার সাজ-পোশাক | পুরুষের সাজ-পোশাক |
বোড়ো | দখনা, ফালি | গামছা, আর’নাই |
মিসিং | এগে গাছর, রিবি গাছেঙ, গের | মিবু গালোক, গনসা ওগান, টঙালি |
তিওয়া | ছসকাই, ফাসকাই | ঠানা, টাগলা, ফাগা |
ডিমাসা | রিগু রিজাম্ফাই, রিখাউছা, জিসু | রিছা, রিমছাউ, গাইনথাউ, পাগ্ ড়ি |
কার্বি | পিনি, পেকক, বামকক, চেলেঙ | ছয়হংথর, চেলেঙ, প’হ |
অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষ তথা ভারতবর্ষের বাইরের দেশ থেকে ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে বিভিন্ন জিনগোষ্ঠীয় লোক অসমে এসেছিল বলে আমাদের পণ্ডিতগণ বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ – অষ্ট্রিক, তিব্বতধর্মী, ককেশীয়৷ তাই মঙ্গোলীয় গোষ্ঠী ইত্যাদি। তাঁদের সংস্কৃতির প্রভাব অসমিয়া সংস্কৃতিতে পড়েছে বলে পণ্ডিতগণ স্বীকার করেন৷(alert-success)
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ
পাঠ-১ আমাদের পরিবেশ
পাঠ-২ পরিস্থিতি তন্ত্র
Culture of Assam