পাঠ- ৪
প্রাকৃতিক সম্পদ
Class 5 EVS Lesson 4 Assam. Government School All Notes in Bangla Medium Assam. প্রাকৃতিক সম্পদ পাঠ- ৪ | পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ আসাম বাংলা মিডিয়াম,
১। উত্তর লেখো –
(ক) অসমের জঙ্গলে পাওয়া যায় এমন চার প্রকার মূল্যবান উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর:-
অসমের জঙ্গলে পাওয়া যায় এমন চার প্রকার মূল্যবান উদ্ভিদের নাম হলো – শাল,
সেগুন, গামারি, শিশু, আজার ইত্যাদি ৷
(খ) বর্ষাকালে চাষ হয় এরকম চার প্রকার সবজির নাম লেখো।
উত্তর:- বর্ষাকালে
চাষ হয় এরকম চার প্রকার সবজির নাম হল- লাউ, ঝিঙ্গে , করলা, কুমড়ো
ইত্যাদি।
(গ) অসমের তিনটি বিলের নাম লেখো।
উত্তর:- অসমের তিনটি বিলের নাম হল – দীপর
বিল, চান্দডুবি বিল, চামগুরি বিল ইত্যাদি।
(ঘ) অসমের বনজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এমন দুটি উদ্যোগের নাম লেখো।
উত্তর:-
অসমের বনজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এমন দুটি উদ্যোগের নাম- দেশলাই,
প্লাইউড, কাগজ এবং রেশম ইত্যাদি।
(ঙ) সিমেন্ট প্রস্তুতে ব্যবহৃত খনিজ সম্পদটির নাম কী?
উত্তর:- সিমেন্ট
প্রস্তুতে ব্যবহৃত খনিজ সম্পদটির নাম- চুনাপাথর ৷
(চ) চুনাপাথর থেকে প্রস্তুত দুই প্রকার বস্তুর নাম লেখো।
উত্তর:- চুনাপাথর
থেকে প্রস্তুত দুই প্রকার বস্তুর নাম- সিমেন্ট, চকপেন্সিল, দন্তমঞ্জন, রঙ
ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়৷
২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে খ’ অংশ মেলাও –
উত্তর:-
৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো –
(ক) প্রাকৃতিকভাবে লব্ধ সব সামগ্রী…… হয় না।
উত্তর:- সম্পদ।
(খ) অসমের……… গন্ডার পৃথিবী বিখ্যাত।
উত্তর:- এক খড়গ বিশিষ্ট ।
(গ) ব্রহ্মপুত্র নদীর………… হল পৃথিবীর বিরল প্রজাতির প্রাণী।
উত্তর:-
শুশক ৷
(ঘ) ভূপৃষ্ঠের জলভাগের মতো …….. জলভাগও আমাদের সম্পদ।
উত্তর:- ভূগর্ভের ৷
(ঙ) কয়লার মতো খনিজ তেলও একপ্রকার ……….. ইন্ধন।
উত্তর:- জীবাশ্ম ৷
৪। নীচের বাক্যগুলো থেকে অশুদ্ধ বাক্যগুলো বেছে বের করো-
(ক) তিতাচাঁপা এক প্রকার কৃষিজাত উদ্ভিদ।
উত্তর:- কৃষিজাত
(খ) প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতি থেকে আহরণ করা হয়।
উত্তর:- উপরের বাক্যটি
সম্পর্ণ শুদ্ধ ৷
(গ) নল-খাগড়া, শিশু ইত্যাদি উদ্ভিদ পাহাড়িয়া অঞ্চলে পাওয়া যায়।
উত্তর:-
নল-খাগড়া ৷
(ঘ) শিলাস্তরের মধ্যে খনিজ তেল পাওয়া যায়।
উত্তর:- উপরের বাক্যটি সম্পর্ণ
শুদ্ধ ।
৫। খনিজ সম্পদকে কেন অনবীকরণযোগ্য বলা হয়?
উত্তর:- ভূগর্ভে মজুত প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি হতে বহু নিজুত বছর সময় লাগে এবং অধিক ব্যবহারের ফলে এই সম্পদ এক সময় শেষ হয়ে যেতে পারে সেজন্য এগুলোকে অনবীকরণযোগ্য সম্পদ বলা হয়।
৬। নদী-উপনদী সমূহের আশে-পাশে জাহাজঘাট, ফেরিঘাট গড়ে উঠার কারণ কী?
উত্তর:- নদী-উপনদী সমূহের আশে-পাশে জাহাজঘাট, ফেরিঘাট গড়ে উঠার প্রধান কারণ হলো – বহুবছর পূর্ব থেকে যাতায়াতের জন্য মানুষ নৌকা ব্যবহার করত, সময়ের বিবর্তনে এর স্থান দখল করেছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা-জাহাজ। মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ উপায় হলো নৌকা-জাহাজ। মালামাল পরিবহনে খুবই স্বল্প খরচে নৌকা-জাহাজের জুড়ি মেলা ভার সেজন্য নদী-উপনদীর আসসে-পাশে জাহাজঘাট, ফেরিঘাট গড়ে উঠেছে |
৭। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো
উত্তর:-
কয়লা – বহু নিযুত বছর আগে পৃথিবী গাছপালায় পরিপূর্ণ জলাভূমি ছিল। সেই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এই গাছপালাগুলো মাটির বহু নীচে কাদায় ডুবে যায়। এগুলোর উপর কাদা জমা হয়ে কিছুস্তরের সৃষ্টি হয়। কালক্রমে ভূপৃষ্ঠের প্রচণ্ড চাপ এবং ভূগর্ভের তাপেরফলে এই গাছপালাগুলো কয়লায় রূপান্তরিত হয় প্রকৃতিতে লব্ধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইন্ধনের ভেতর কয়লা অন্যতম।
খনিজ তেল – বহু নিযুত বছর আগে সাগর মহাসাগরের শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ এবং ছোটো ছোটো প্রাণীগুলোর মৃত্যু হওয়ার পর সাগরের জলের অনেক নীচে কাদায় ডুবে গিয়েছিল। এই মৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলোর উপর ব্যাক্টেরিয়া নামের অনুজীবসমূহ ক্রিয়াকলাপ করার ফলে এবং সেই সঙ্গে ভূ-পৃষ্ঠের প্রচণ্ড চাপ ও ভূগর্ভের তাপের ফলে এগুলো খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়েছিল। শিলাস্তরে মধ্যে খনিজ তেল পাওয়া যায়। সাগরের তলদেশের মতো ভূগর্ভেও খনিজ তেল পাওয়া যায়। খনিজ তেল তরল অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক গ্যাস বায়বীয় অবস্থায় থাকে।
প্রাকৃতিক সম্পদ পাঠের অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
- উল্লেখিত বনজ সম্পদ সমূহের উপর ভিত্তি করে নীচের তালিকাটি পূর্ণ করো –
বনজ উদ্ভিদের নাম | বুনো পাখির নাম | বন্য প্রাণীর নাম |
শাল, সেগুন, তিতাচাঁপা, শিশু | টিয়া, ময়না, শকুন, পেঁচা, ময়ুর, দেওহাঁস, ধনেশ ইত্যাদি। | হাতি, ডোরাকাটা বাঘ, চিতাবাঘ, হরিণ, বন্য শূকর, বুনো গরু, ভালুক, বুনো মহিষ, শিয়াল, উল্লুক, সোণালি বানর ইত্যাদি । |
-
ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পারের উপনদীগুলোর নাম কী কী?
উত্তর:- ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পারের উপনদীগুলোর নাম- চম্পাবতী, মানস, পাগলাদিয়া, পুঠিমারি, জিয়াধনশিরি, জিয়াভরলি, সোবনশিরি।
- ব্রহ্মপুত্র নদীর দক্ষিণ পারের উপনদীগুলোর নাম কী কী?
উত্তর:- ব্রহ্মপুত্র নদীর দক্ষিণ পারের উপনদীগুলোর নাম- কৃষ্ণাই, কপিলি, ধনশিরি, দিখৌ।
-
বরাক নদীর উপনদীগুলোর নাম কী কী?
উত্তর:- বরাক নদীর উপনদীগুলোর নাম- ধলেশ্বরী, সোনাই ৷
-
অসমের কোন জায়গায় খনিজ তেল পাওয়া যায়?
উত্তর:- অসমের যে জায়গায় খনিজ তেল পাওয়া সেগুলো হল- নাহরকাটিয়া, হুগ্রিজান, মরান, রুদ্রসাগর গেলেকি, লাকুয়া ইত্যাদি।
-
অসমের কোথায় কোথায় কয়লা খনি আছে?
উত্তর:- অসমের মাকুম, লিডু, মার্ঘেরিটা, জয়পুর ইত্যাদি জায়গায় কয়লা খনি আছে।
-
অসমের কোন কোন জায়গায় চুনাপাথর পাওয়া যায়?
উত্তর:- অসমের ডিমা হাসাও জেলার উমরাংসু এবং কার্বি আংলং জেলার কয়লাজান ও ডিলাই পাহাড়ে চুনাপাথর পাওয়া যায়।
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ
পাঠ- ১ আমাদের পরিবেশ
পাঠ-২ পরিস্থিতি তন্ত্র
পাঠ-৩ অসমের সংস্কৃতি