(toc)
পাঠ-৫
সম্পদ সংরক্ষণ
Class 5 EVS Lesson 5, পাঠ-৫ সম্পদ সংরক্ষণ Assam SCERT Board all notesin Bengali Medium .
অনুশীলনী-
১। উত্তর লেখো–
(ক) বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলে কোন তিনটি উপাদানের বিশেষ প্রয়োজন?
উত্তর :- বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলে খাদ্য, জল এবং বাসস্থান এই তিনটি উপাদানের বিশেষ প্রয়োজন।
(খ) “বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের স্থান” উপাধি প্রাপ্ত অসমের রাষ্ট্রীয় উদ্যান দুটোর নাম কী কী?
উত্তর :- বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের স্থান” উপাধি প্রাপ্ত অসমের রাষ্ট্রীয় উদ্যান দুটোর নাম – কাজিরাঙা ও মানস ।
(গ) মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘাতের তিনটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর :- মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘাতের তিনটি কারণ –
- জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগর শহরের প্রসারণ ঘটার জন্য মানুষ বনাঞ্চল ধ্বংস করে সেখানে কৃষিকাজ, রেলপথ, রাষ্ট্রীয় সড়ক, উদ্যোগ ইত্যাদি গড়ে তুলার কারণে।
- মানুষ বনাঞ্চল ধ্বংস করে বন্যপ্রাণীর আবাসভূমির আশে পাশের অঞ্চলে বসতি স্থাপন করার ফলে।
- বনাঞ্চলের খাল, বিল, ইত্যাদি বুজিয়ে মানুষ সেখানেও বসতি স্থাপন করার ফলে।
(ঘ) ব্যাঘ্র প্রকল্প গৃহীত হয়েছে এমন দুটি রাষ্ট্রীয় উদ্যানের নাম লেখো।
উত্তর :- ব্যাঘ্র প্রকল্প গৃহীত হয়েছে এমন দুটি রাষ্ট্রীয় উদ্যানের নাম- মানস ও নামেরি রাষ্ট্রীয় উদ্যান ৷
(ঙ) অসমের বনাঞ্চলে আছে এমন চার প্রকার বিরল প্রজাতির প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর :- অসমের বনাঞ্চলে আছে এমন চার প্রকার বিরল প্রজাতির প্রাণীর নাম- সোনালি নানর, দেওহাঁস, লজ্জাবতী বানর, নল শূকর।
২। “ক” অংশের সঙ্গে খ’ অংশ মেলাও –
উত্তর :-
৩। শূণ্যস্থান পূর্ণ করো
(ক) ২১ মার্চ দিনটি…….হিসেবে পালন করা হয়।
উত্তর :- বিশ্ব বন দিবস ।
(খ) গুয়াহাটির চিড়িয়াখানায়…….. আছে।
উত্তর :- উদ্ভিদ উদ্যান
(গ) মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘাতের জন্য প্রকৃতপক্ষে……. দায়ী।
উত্তর :- মানুষই ।
(ঘ) ডিব্রু-সৈখোয়া একটি…….
উত্তর :- রাষ্ট্রীয় উদ্যান ৷
(ঙ) সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো ভ্রমণে আসা পর্যটকদের থেকে সরকার …… সংগ্রহ করে।
উত্তর :- কর ।
৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
(ক) বন্যপ্রাণী সপ্তাহ বছরের কোন মাসে পালন করা হয়?
উত্তর :- বন্যপ্রাণী সপ্তাহ বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহটি পালন করা হয়৷
(খ) রাষ্ট্রীয় উদ্যানের কোন অঞ্চলটিতে পর্যটকদের জন্য দর্শনের ব্যবস্থা থাকে?
উত্তর :- রাষ্ট্রীয় উদ্যানের সংরক্ষিত অঞ্চলটিতে পর্যটকদের জন্য দর্শনের ব্যবস্থা থাকে।
(গ) জৈব-বৈচিত্র্য দিবস কোন তারিখে পালন করা হয়?
উত্তর :- ২২ শে মে ‘জৈব-বৈচিত্র্য দিবস’ পালন করা হয় ।
(ঘ) ডোডো পাখির সঙ্গে সঙ্গে কোন উদ্ভিদটি পৃথিবী থেকে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
উত্তর :- ডোডো পাখির সঙ্গে সঙ্গে ‘কেলভেরিয়া মেজ’ নামের গাছটিও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫। টীকা লেখো –
(ক) অভয়ারণ্য (খ) সংরক্ষিত বনাঞ্চল (গ) উদ্ভিদ উদ্যান (ঘ) রাষ্ট্রীয় উদ্যান
উত্তর:-
(ক) অভয়ারণ্য :- জৈব-বৈচিত্র্যের ওপর ভিত্তি করে সরকার প্রাকৃতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এক একটি এলাকাকে অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করে। অভয়ারণ্য মানুষের ঘন বসতি এলাকা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এখানে. বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকে বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ দেওয়া হয়। এখানে বন্যপ্রাণীরা নির্ভয়ে বিচরণ করতে পারে। অভয়ারণ্যের গাছ যাতে বিনা অনুমতিতে কেউ কাটতে না পারে সে দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হয়।
(খ) সংরক্ষিত বনাঞ্চল :- সংরক্ষিত অঞ্চল যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ দর্শনার্থীদের সহজে চেনার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি উদ্ভিদের গায়ে স্থানীয় নামের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক নামের ফলকও লাগানো থাকে৷ তাছাড়াও রাষ্ট্রীয় উদ্যানের একেবারে ভেতরের অঞ্চলটি বন্যপ্রাণীর জন্য সংরক্ষিত । এই সংরক্ষিত অঞ্চলগুলোয় দেশ-বিদেশের যে পর্যটকরা আসেন সরকার তাদের কাছ থেকে কর আদায় করে।
(গ) উদ্ভিদ উদ্যান :- উদ্ভিদ উদ্যান হল এমন একধরনের সংরক্ষিত অঞ্চল যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এই উদ্ভিদ উদ্যানের উদ্ভিদ দর্শনার্থীদের সহজে চেনার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি উদ্ভিদের গায়ে স্থানীয় নামের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক নামের ফলকও লাগান থাকে। ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে ভ্রমণ করে উত্তিদ সম্পর্কীয় বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। এই উদ্ভিদ উদ্যানগুলো দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক আসেন । আমাদের রাজ্যের গুয়াহাটি চিড়িয়াখানার ভেতরেও উদ্ভিদ উদ্যান আছে।
(ঘ) রাষ্ট্রীয় উদ্যান :- প্রত্যেকটি স্বাধীন দেশের নিজ নিজ রাষ্ট্রীয় উদ্যান থাকে। একটি দেশে একের চেয়েও বেশি রাষ্ট্রীয় উদ্যান থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় উদ্যানগুলোকে বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানে এক খড়গ বিশিষ্ট গন্ডারের সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।মানস, ও নামেরি রাষ্ট্রীয় উদ্যানে বাঘের সুরক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য ব্যাঘ্র প্রকল্প
হাতে নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় উদ্যানগুলোকে সাধারণত একেবারে ভেতরের এবং আশে পাশের অঞ্চল হিসেবে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
অতিরিক্ত
কী কী কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে এবং বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে আসছে তা জানি এসো-
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে মানুষ বন-জঙ্গল ধ্বংস করে আবাসিক এবং ওদ্যোগিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।
- যথেচ্ছভাবে বন-জঙ্গল ধ্বংস করার ফলে কিছু প্রাণী যেমন এক খড়গ বিশিষ্ট গন্ডার,নল
শুকর, বুনো মহিষ, লজ্জাবতী বানর, সোনালি বানর, দেওহাস, কচ্ছপ ইত্যাদি পৃথিবী
থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে।
- পাহাড়ের বন- জঙ্গল কেটে জুম চাষ করা হচ্ছে।
- বিস্তীর্ণ তৃণভূমিগুলোকে কৃষিভূমিতে পরিণত করা হয়েছে।
- জলাশয়গুলো বুজিয়ে সেখানে মানুষ বসবাস করতে আরম্ভ করেছে। জলাশয়গুলো বোজানোর ফলে জলজ জীবের আবাসভূমি কমে যাচ্ছে এবং জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে।
ভবিষ্যতের জন্য ভেবে চিন্তে সম্পদের যথাযোগ্য ব্যবহার এবং সঞ্চয় করাই হচ্ছে সম্পদ সংরক্ষণ ।
১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত এই চারশ বছরের ভেতর পৃথিবী থেকে ২৭০ প্রকার প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে ৷ বিলুপ্ত হওয়া প্রাণিদের মধ্যে শুধু পাখি-প্রজাতির সংখ্যাই হচ্ছে ১৫০ ।
অভয়ারণ্য এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী ও বনজ উদ্ভিদগুলো আইন ও সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত।
পরিবেশের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ জীবজন্তু, পাখি, কীটপতঙ্গ অনুজীব ইত্যাদি জীব-বৈচিত্র্যের সৃষ্টি করে ৷
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ
পাঠ-১ আমাদের পরিবেশ
পাঠ-২ পরিস্থিতি তন্ত্র
পাঠ-৩ অসমের সংস্কৃতি
পাঠ-৪ প্রাকৃতিক সম্পদ
*****