(toc)
পাঠ-৬
আবহাওয়া
Class 5 EVS Lesson 5, পাঠ-৬ আবহাওয়া Assam SCERT Board all notes in Bengali Medium .
অনুশীলনী
১। উত্তর লেখো-
(ক) আবহাওয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- আমাদের চারদিক বায়ু দ্বারা পরিবেষ্টিত ।
বায়ুর এই আবরণটিকেই বায়ুমণ্ডল বলে। বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন,
কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস, জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণা থাকে। বিভিন্ন সময়ে
আমাদের বায়ুমণ্ডলের অবস্থার পরিবর্তন হয় যেমন- দিনে সাধারণত গরম ও রাত্রে
ঠান্ডা অনুভূত হয়। কখনও বাতাস প্রবাহিত হয়, কখনও বৃষ্টিপাত হয় কখনও বা ঝড়ের
সৃষ্টি হয়। বায়ুমণ্ডলের এরকম এক একটি পরিস্থিতিকেই আবহাওয়ার বলে।
(খ) ঋতু কয়টি ও কী কী?
উত্তর:- ঋতু ছয়টি যেমন- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ,
হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ।
(গ) আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- আবহাওয়ার বিষয়ে আগে থেকে
খবর দেওয়াকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়।
(ঘ) আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহকারী তিনটি যন্ত্রের নাম লেখো।
উত্তর:- আবহাওয়ার
তথ্য সংগ্রহকারী তিনটি যন্ত্রের নাম – বায়ু বেগমান যন্ত্র বা
এ্যানিমনিটার, দিক-নির্ণয় যন্ত্র, বায়ু মোজা।
(ঙ) কোন সরকারী বিভাগ সমস্ত দেশের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রস্তুত ও প্রচার
করে?
উত্তর:-ভারত সরকারের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ সমস্ত দেশের জন্য
আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রস্তুত ও প্রচার করে।
২ ।’ক’ অংশের সঙ্গে খ” অংশ মেলাও –
উত্তর:-
৩। শূণ্যস্থান পূর্ণ করো
(ক) গরমদিনে ……. কাপড় পরিধান খুবই আরামদায়ক ৷
উত্তর:- পাতলা সুতির ।
(খ)
বাতাসের দিক নির্ণয়ে…….. যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
উত্তর:- দিক নির্ণয় ।
(গ) বায়ুমোজা বাতাসের…….. জানতে ব্যবহার করা হয়।
উত্তর:- দিক
নির্ণয়।
(ঘ) ঝড় এলে আকাশে …….. ও মেঘগর্জন হয়।
উত্তর:- বিদ্যুৎ চমকায় ।
(ঙ) ইন্টারনেট সংযুক্ত………. সাহায্যে আমরা আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য লাভ
করি।
উত্তর:- কম্পিউটারের ।
৪ । আবহাওয়ার পূর্বাভাস কী কী মাধ্যমের সাহায্যে দেওয়া হয়?
উত্তর:- কৃত্রিম উপগ্রহ, ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের
সাহায্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস
দেওয়া হয় ।
৫ ।সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
(ক) রেইনগজ (খ) কৃত্রিম উপগ্রহ (গ) আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র
উত্তর:- (ক) রেইনগজ:- রেইনগজের সাহায্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপা হয়৷ আবহাওয়া কেন্দ্রে এই যন্ত্রটি গাছপালা বা ঘর-বাড়ির কাছে না রেখে উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয় যাতে বৃষ্টিপাতের সঠিক পরিমাণ মাপা হয়৷
(খ) কৃত্রিম উপগ্রহ:- পৃথিবীর চারিদিকে কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরতে থাকে৷ এগুলোতে ক্যামেরা সংযুক্ত থাকে৷ ঘুরন্ত অবস্থায় ক্যামেরা বায়ুমন্ডলের মেঘের আবরণ, বাতাসের দিন ও বেগের পরিমাণ ইত্যাদির স্পষ্ট ছবি তুলে আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রেরণ করে। এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো অরণ্য, মরভূমি, তুষারাবৃত অঞ্চলের মতো দুর্গম স্থানের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারে৷
(গ) আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র:- আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রে কৃত্রিম উপগ্রহের সব তথ্যগুলো অধ্যয়ন করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রস্তুত করা হয়৷ আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ সমস্ত দেশের জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রস্তুত ও প্রচার করে।
৬ । তোমার পছন্দের যেকোনো একটি বিশেষ ধরনের আবহাওয়ার বিষয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর:- শীতকালে শীতের প্রকোপ খুব বেশি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে মাটি
শুকিয়ে যায়। তখন আমরা শাক-সবজির বাগানে ও ফুল্গাছে জল দেই। এসময়
ডালিয়া, গাঁদা, জিনিয়া ইত্যাদি ফুলে বাগান ভরে ওঠে৷ শাল, সেগুন,
বেল, আমলকি ইত্যাদি গাছের পাতা ঝরে যায়।
৭ ৷ আবহাওয়া অনুযায়ী আমাদের সাজ-পোশাক
কোন ধরনের হওয়া উচিত লেখো।
উত্তর:- আবহাওয়া অনুযায়ী
গ্রীষ্মকালে পাতলা সুতির কাপড় পরিধান করা উচিৎ। সুতির কাপড়ে ছোটো ছোটো ছিদ্র
থাকার জন্য শরীরের ঘাম তাড়াতাড়ি শুকোয়। এবং শীতকালে উলের গরম কাপড়
পরিধান করি। রাত্রে শোওয়ার সময় লেপ, কম্বল ইত্যাদি গায়ে দেই।
৮ । শীতকালে পাতা ঝরে যায় এমন তিনটি উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর:- শীতকালে পাতা ঝরে যায় এমন তিনটি উদ্ভিদের নাম – শাল, সেগুন,
বেল, আমলকি ইত্যাদি ।
৯। কী কী কাজে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সাহায্য করে।
উত্তর:-
জাহাজের নাবিক, সাগরের মৎস্যজীবী, বিমান চালক, পর্বত আরোহনকারীদের
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সাহায্য করে।
১০ । আবহাওয়ার উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর:- আবহাওয়ার
উপাদানগুলো হলো – উষ্ণতা, বাতাসের বেগ ও দিক, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, মেঘের
উপস্থিতি, বায়ুর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ইত্যাদি।
১১ । মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও মৌসিনরামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কেন কমে
আসছে?
উত্তর:- মানুষ প্রয়োজনের অধিক গাছপালা কাটার ফলে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও
মৌসিনরামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসছে ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
• চিন্তা করে লেখো ।
আবহাওয়ার অবস্থা | আবহাওয়ার কোন উপাদানের কথা বলা হয়েছে |
আজ খুব রোদ দিয়েছে | উষ্ণতা |
আবহাওয়া মেঘলা হয়ে আছে | মেঘের উপস্থিতি |
ঝড় বা তুফান আসছে | বাতাসের বেগ ও দিক |
নদ-নদীর জল উপচে পড়েছে | বৃষ্টিপাতের পরিমাণ |
বিভিন্ন আবহাওয়ার বিষয়ে জেনে নেই –
- আকাশে মেঘনা থাকলে আকাশ পরিষ্কার থাকে। গরম বেশি হয়। সূর্যরশ্মির জন্য সব কিছু উজ্জ্বল দেখা যায়। এধরনের আবহাওয়াই হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আবহাওয়া।
- কখনও আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে। মেঘ সূর্যকে ঢেকে রাখায় সবকিছু নিস্তেজ দেখায় এধরনের আবহাওয়াই হল মেঘলা আবহাওয়া।
- মেঘলা আবহাওয়ায় সাধারণত বৃষ্টিপাত হয়ে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হয়। সেই বৃষ্টি কম- বেশি পরিমাণে হতে পারে। এধরণের আবহাওয়া হল বৃষ্টিপাতের আবহাওয়া ।
- অনেক দিন বৃষ্টিপাত না হলে আবহাওয়া শুষ্ক হয়। এধরনের আবহাওয়া হচ্ছে খরা আবহাওয়া বা শুকনো আবহাওয়া।
- কখনও বাতাস খুব বেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে ঘর-বাড়ি, গাছপালা ইত্যাদি ভেঙে পড়ে, একে আমরা ঝড় বা তুফান বলি। ঝড় বা তুফান হলে আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় ও মেঘগর্জন হয়।
পাঠ-৭ আহারের প্রয়োজনীয়তা
পাঠ-৮ জীননধারণ প্রণালী
*****