আকস্মিক দুর্ঘটনা পাঠ ১১ Class IV Environment Question Answer.
(toc)
আকস্মিক দুর্ঘটনা পাঠ- ১১ প্রশ্ন উত্তর
১। উত্তর লেখোঃ
(ক) প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে রাখার জন্য কী কী বস্তু সংগ্রহ করবে ?
উত্তরঃ প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে রাখা বস্তুগুলি হল –
(১) বিশুদ্ধ তুলা বা কার্পাস।
(২) ব্যান্ডেজ বা পরিষ্কার কাপড়।
(৩) ডেটল।
(৪) বীজাণু নাশক মলম।
(৫) ব্যথা নিরাময়কারী মলম।
(৬) একটি ছোট কাঁচি।
(৭) বেণ্ডেড ইত্যাদি।
(খ) খেলাধুলা করার সময় হাত -পা মচকে গেলে কী করবে ?
উত্তরঃ মচকে যাওয়া স্থানটিতে সঙ্গে সঙ্গে পরিস্কার জল ঢালতে হয় বা বরফ লাগাতে
হয়। ব্যথা কমানোর জন্য মলম লাগিয়ে ভেজা কাপড় পেঁচিয়ে রাখতে হয়। কাঁচা হলুদ
বেঁটে লাগাতে হয়। বেশি ফুলে উঠলে বা বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
উচিত।
(গ) কেটেছিরে গিয়ে রক্ত বেরোলে কী করবে ?
উত্তরঃ কাঁটা অংশটিকে টিপে ধরতে হয় যাতে বেশি রক্ত না বের হয়। কাটা অংশটি
পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হয়। বিশুদ্ধ তুলায় ডেটল লাগিয়ে কাটা স্থানটিতে লাগাতে
হয়।
গাঁদাফুল,থানকুনি, দূর্বা, বিশল্যকরণী ইত্যাদি পাতার রস কাটা জায়গায় লাগাতে হয়। লাগানোর আগে পাতাগুলো পরিষ্কার জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। কালো কচুর ডাঁটার রস লাগালেও রক্ত পড়া বন্ধ হয়। বরফ লাগালেও রক্ত বন্ধ হয়। এরপরেও রক্ত বন্ধ না হলে চিকিৎসকের কাছে নিতে হয়।
(ঘ) কীট-পতঙ্গ কামড়ালে কী কী ব্যবস্থা নেবে ?
উত্তরঃ কীট -পতঙ্গ কামড়ালে কামড় দেওয়া অংশটিতে ডেটল ঘসে দিতে হয়। মৌমাছি বা
বোলতার হুল-দংশনে আদার রস বা পেঁয়াজের রস লাগাতে হয়। জোঁকের কামড় ছাড়ানোর
জন্য লবণ , কাঁচা হলুদ বা তামাক পাতা ভেজানো জল দিতে হয়। এরপরেও যদি ব্যথা না
কমে বা জায়গাটি ফুলে থাকে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
(ঙ) মূর্ছা গেলে কী করবে ?
উত্তরঃ মূর্ছা গেলে চোখে -মুখে ঠান্ডা জলের ছিটে দিতে হয়। শার্টের বোতাম,
প্যান্টের বেল্ট ও জুতো- মোজা খুলে দিতে হয়। মূর্ছাগ্রস ব্যক্তিকে ঘিরে ভিড়
করতে নেই। হাত ও পায়ের তালুতে ঘসে দিতে হয়। হাত- পা ঠান্ডা হয়ে গেলে তেল মালিশ
করতে হয়। এরপরেও ভালো না হলে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিত।
(চ) জলে ডোবা মানুষকে বাঁচানোর জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ?
উত্তরঃ জলে ডোবা ব্যক্তির মাথা নীচের দিকে রেখে মাটিয়ে শুইয়ে দিতে হয়। পরনের
ভেজা কাপড় সরিয়ে শুকনো কাপড় পরিয়ে দিতে হয়। চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য হাঁটু
ভাঁজ করে পা দুটোকে বুকের উপর কয়েকবার চাপতে হয়। এমন করলে যাতে পেটের জল বের
হয়ে যায়। আর যদি তার পরেও ভালো না হয় তবে চিকিৎসকের কাছে নিতে হয়।
(ছ) আগুনে পুড়লে কী করবে ?
উত্তরঃ আগুনে পুড়লে সেই জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা জল ঢালতে হয় বা বরফ
লাগিয়ে দিতে হয়। জ্বলা -পোড়া বন্ধ করার জন্য আলু থেঁতলিয়ে আগুনে পোড়া অংশে
লাগাতে হয়। পোড়া অংশে পেঁপের আঠা লাগালে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। গাজর পিষে
প্রলেপ লাগালে ফোস্কা পড়ে না। ঘৃতকুমারীর পাতা বাটা রস ও লাগানো যায়।
(জ) খেলা-ধুলার সময় কী কী সাবধানতা গ্রহণ করা উচিত ?
উত্তরঃ খেলা-ধুলার সময় খেলার জায়গায় যেন পাথর, কাঁচের টুকরো, পেরেক ইত্যাদি না
থাকে। উঁচু – নিচু বা অসমান জায়গায় না খেলাই ভালো। রাস্তার মধ্যে খেলা উচিত
নয়। নদী বা বড়ো জলাশয়ের পারে,আগুনের কাছে, পিচ্ছিল জায়গায় বা বেশি
ঘন-বন-জঙ্গল থাকা জায়গায় খেলতে নেই। রাস্তার মধ্যে খেলা অনুচিত। লাঠি,দা বা
হাতে আগুন নিয়ে খেলা-ধুলা করা উচিত নয়। খেলার ছলে কারও গায়ে কিছু ছুঁড়তে নেই।
খেলার সময় কাউকে ঠেলা-ধাক্কা দিতে নেই।
(ঝ) কাজ করার সময় কী কী বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত ?
উত্তরঃ কাজ করার সময় তাড়াহুড়ো করতে নেই। দা, কুঠার, কোদাল নিয়ে কাজ করার সময়
সাবধান থাকা উচিত। ভিজে হাতে ইলেকট্রিকের সুইচ ধরতে নেই। গরম কেটলি, কড়াই কাপড়
দিয়ে ধরতে হয়। স্নান করা বা কাপড় ধোওয়ার পরে জায়গাটি ভালো করে জল ঢেলে ফেনা
পরিষ্কার করতে হয়। আগুনের কাছে কাগজ বা কাপড় ইত্যাদি রাখতে নেই। নলকূপ থেকে জল
ওঠানোর সময় হ্যান্ডেল ধীরে ধীরে চাপতে হয়। উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে বিপদের
হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২। শূন্যস্থান পূর্ণ করোঃ
(ক) শরীরে কম পরিমাণে পাওয়া আঘাত _________ চিকিৎসার দ্বারাই ভালো করা যায়।
উত্তরঃ প্রাথমিক।
(খ) কাটা স্থানটি _________ ধরতে হয়।
উত্তরঃ টিপে।
(গ) মৌমাছি বা বোলতার হুল-দংশনে _________ রস লাগাতে হয়।
উত্তরঃ আদার।
(ঘ) হাত -পা ঠান্ডা হয়ে গেলে _________করবে।
উত্তরঃ তেল মালিশ।
(ঙ) সাপে দংশন করা স্থানের দুদিকেই শক্ত করে কাপড় বা রশি দিয়ে _________ দিতে
হয়।
উত্তরঃ বাঁধন।
(চ) _________ থেঁতলিয়ে প্রলেপ দিলে পোড়া জায়গায় জ্বালা-পোড়া কমে।
উত্তরঃ আলু।
(ছ) ভেজা হাতে _________ ধরতে নেই।
উত্তরঃ ইলেকট্রিকের।
(জ) দা, কুঠারের _________ থাকা দিকটি ধরতে নেই।
উত্তরঃ ধার।
৩। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও
‘ক’ | ‘খ’ |
---|---|
মূর্ছা গেলে | মাথাটি নীচের দিকে রেখে মাটিতে শুইয়ে দিতে হয়। |
জলে ডোবা ব্যক্তিকে | চোখে-মুখে জল ছেঁটাতে হয়। |
মচকে গেলে | আদা অথবা পেঁয়াজের রস খাওয়াতে হয়। |
মৌমাছি বা বোলতার হুল দংশনে | ঠান্ডা জল ঢালতে হয়। |
নলকূপ থেকে জল ওঠানোর | খেলতে নেই। |
সময় উঁচু-নিচু জায়গায় | ধীরে ধীরে হ্যান্ডেল চাপতে হয়। |
উত্তরঃ
‘ক’ | ‘খ’ |
---|---|
মূর্ছা গেলে | চোখে-মুখে জল ছেটাতে হয়। |
জলে ডোবা ব্যক্তিকে | মাথাটি নীচের দিকে রেখে মাটিতে শুইয়ে দিতে হয়। |
মচকে গেলে | ঠান্ডা জল ঢালতে হয়। |
মৌমাছি বা বোলতার হুল দংশনে | আদা অথবা পেঁয়াজের রস লাগাতে হয়। |
নলকূপ থেকে জল ওঠানোর | ধীরে ধীরে হ্যান্ডেল চাপতে হয়। |
সময় উঁচু-নিচু জায়গায় | খেলতে নেই। |
৪। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে নাও
(ক) চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করা চিকিৎসাকে আকস্মিক
/প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।
উত্তরঃ প্রাথমিক চিকিৎসা।
(খ) বরফ লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয় / হয় না।
উত্তরঃ বন্ধ হয়।
(গ) আগুনে পোড়া স্থানে পেঁপের / ঘৃতকুমারীর পাতা বেঁটে প্রলেপ দিতে হয়।
উত্তরঃ পেঁপের পাতা।
(ঘ) রক্ত পড়া বন্ধ করতে অপরাজিতার শিকড় / বিশল্যকরণর পাতা লাগাতে হয়।
উত্তরঃ বিশল্যকরণীর পাতা লাগাতে হয়।
(ঙ) হাত- পা মচকে গেলে হলদি পিষে / আলু থেঁতলিয়ে লাগাতে হয়।
উত্তরঃ হলদি পিষে লাগাতে হয়।