Class 3 Bengali Book Question Answer নিয়ে খুঁজছেন? এখানে আপনি Class 3 Bengali Question Answer গাইডের সাহায্যে বাংলা বইয়ের পাঠের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর সহজ ভাষায় পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে "উচিত শিক্ষা" অধ্যায়ের ব্যাখ্যাসহ উত্তর, নমুনা সমাধান ও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার টিপস পাবেন। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সহজবোধ্যভাবে সাজানো এই প্রশ্নোত্তর গাইড পড়াশোনাকে করবে আরও সহজ।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা Class 3 Bengali Book-এর গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় উচিত শিক্ষা (পাঠ-৪) প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছি, যা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
(toc)
ক — পাঠভিত্তিক
পদ্যের ছবিগুলো ভালো করে দেখো ও বর্ণনা করো।
উত্তরঃ বর্ণনা: ১। উচুঁ
গাছের ডালে টুকটুকে পাকা ফলটি জিরাফ লম্বা গলা বাড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে আবার
হাতিটি লম্বা শুঁড় বাড়িয়ে পেড়ে আনার চেষ্টা করছে ।
২। হাতিটি জিরাফের গলা শুঁড় দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে।
৩। একটি বানর গাছের ডালে বসে ফলটি পেড়ে খাচ্ছে আর নীচে থেকে জিরাফ ও হাতি বানরের খাওয়া দেখছে।
এসো পাঠে 'ব' বর্ণ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দগুলো খুঁজে বের করি। কী পেলে?
বড়ো, বাড়, বন, বালাই, বানর, বাহার, বসল
এবার ‘ ক – বর্ণ ,’ ‘ গ ‘ – বর্ণ, ‘ ম ‘ – বর্ণ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দগুলো খুঁজে বের করে লেখো।
উত্তরঃ ক – বর্ণ : করতেছে, কীসের, করি, কেড়ে, কেঁপে, কোথায়।
গ – বর্ণ : গাছের, গলা, গ্রাসটা।
ম – বর্ণ : মুখের , মারামারির, মল, মরে, মাথা।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ও লেখো।
(ক) উৎসাহে সণ্ডা হাতির বুক কেন নেচে উঠেছিল?
উত্তরঃ গাছের ডালে টুকটুকে
পাকা ফলটি দেখে খাওয়ার আনন্দে হাতির বুক নেচে উঠেছিল।
(খ) জিরাফ কী ভেবেছিল?
উত্তরঃ জিরাফ ভেবেছিল তার গলা লম্বা, ফলটি পেড়ে পরখ
করে দেখি তার গলা লম্বা না হাতির শুঁড় লম্বা।
(গ) রাগের চোটে হাতি জিরাফের ঘাড় কেন ধরেছিল?
উত্তরঃ মুখের গ্রাস
পাকা টুকটুকে ফলটি তাকে টপকে লম্বা গলার জিরাফটি কেড়ে খাবে এই রাগের চোটে হাতি
জিরাফের ঘাড় ধরেছিল।
(ঘ) বনটা কেন কেঁপে উঠেছিল?
উত্তরঃ ফল পড়া নিয়ে হাতি – জিরাফের
মারামারি ও গর্জনে বনটা কেঁপে উঠেছিল।
(ঙ) শেষে হাতি আর জিরাফের কী হয়েছিল?
উত্তরঃ হাতি জিরাফ যখন মারামারি করছে
তখন একটা বানর আসে টুক করে ফলটি ছিঁড়ে নিল। তাই দেখে জিরাফ ফোঁসফোঁস করতে লাগল
আর হাতির মাথা হেঁট হয়ে গেল।
এসো পদ্যটিকে গদ্যরূপে বলি।
যেমন —
গাছের ডালে ফলটি পেকে
করতেছে টুকটুক
উৎসাহেতে উঠল নেচে
ষণ্ডা হাতির বুক
গদ্যরূপেঃ গাছের ডালে ফলটি পেকে টুকটুক করছে । তাই দেখে ষণ্ডা হাতির বুক উৎসাহে নেচে উঠেছে।
এভাবে পদ্যটির বাকি অংশেরও গদ্যরূপে লেখো।
জিরাফ ভাবে, লম্বা গলা
কীসের তরে ধরি?
শুঁড় বড়ো কি গলা বড়ো,
আজকে
পরখ করি ।
গদ্যরূপেঃ জিরাফ ভাবলো সে লম্বা গলাটা ধারণ করে আছে কেন ? তার গলা বড়ো না হাতির শুঁড় বড় আজ তার পরীক্ষা হয়ে যাক্।
হাতি ভাবে,নিরিবিলি
ফলটা খেতে চাই,
কোথা থেকে আপদ এসে
জুটল এ
বালাই।
গদ্যরূপঃ হাতি ভাবলো নিরিবিলিতে আমি ফলটা পেড়ে খেতে চাই। কোথা থেকে আবার এ আপদ জিরাফটা এসে গণ্ডগোল পাকালো।
যতই ভাবে, রাগে তাহার
অঙ্গ জ্বলে যায়,
চক্ষু দুটো মাথায়
তুলে
কটমটিয়ে চায়।
গদ্যরূপেঃ যতভাবে ততই হাতির শরীরটা রাগে জ্বলে ওঠে । চোখ দুটো মাথার উপর তুলে জিরাফের দিকে কটমট করে তাকালো।
মুখের গ্রাসটা কেড়ে খাবে ,
এত বড়ো বাড়;
রাগের চোটে ধরলে
হাতি
জিরাফের ঘাড়।
গদ্যরূপঃ আমার মুখের গ্রাসটা কেড়ে খাবে এতো সাহস। রাগের চোটে হাতি জিরাফের ঘাড়টা শুঁড় দিয়ে চেপে ধরলো।
ঘাড়টা যত নুয়ে আসে,
ততই ধরে চেপে
মারামারির গণ্ডগোল
বনটা
ওঠে কেঁপে।
গদ্যরূপেঃ জিরাফের ঘাড়টা যত নুয়ে আসে হাতি তত জোড়ে চেপে ধরে। তাঁদের মারামারি ও গণ্ডগোলে সারা বন কেঁপে ওঠে।
কোথায় ছিল ধূর্ত বানর,
একটি লাফে আসে,
ফলটি নিয়ে, বাহার দিয়ে
বসল
ডালে হেসে।
গদ্যরূপঃ কোথা থেকে একটি চালাক বানর এক লাফে সেই ডালে এলো । ফলটি নিয়ে হাসতে হাসতে ডালের উপর বিশ গুছিয়ে বসলো।
দ্বন্দ্ব করে মল দুয়ে
ভরল নাকো পেট;
জিরাফ মরে ফোঁসফোঁসিয়ে;
হাতির
মাথা হেঁট।
গদ্যরূপঃ হাতি ও জিরাফ দুজনে ঝগড়া করে মরলে কিন্তু পেট ভরল না। জিরাফ রাগে ফোঁসফোঁস করতে লাগলো আর হাতির মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গেল।
খ — ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
পাঠ থেকে ‘৺’ ( চিহ্নবিন্দু ) যুক্ত শব্দ খুঁজে বের করে লেখো, যেমন — শুঁড়।
উত্তরঃ কেঁপে, ফোঁসফোঁসিয়ে, হেঁট ইত্যাদি।
এসো, উপযুক্ত স্থানে ‘৺’ ( চন্দ্রবিন্দু ) বসিয়ে বাক্যটি অর্থপূর্ণ করে তুলি।
যেমন — পায়ে কাদা লাগার পর রহিমের কাঁদা দেখে বন্ধুরা অবাক।
( ক ) জিনিসপত্রগুলো ভালো করে বাধা হলে টেনে নিয়ে যেতে আর
বাধা নেই।
উত্তরঃ জিনিসপত্রগুলো, ভালো করে বাঁধা হলে টেনে
নিয়ে যেতে আর বাধা নেই।
( খ ) লাল কাপড়ের রংটা কাচা, ওটা বেশি কাচা ঠিক নয়।
উত্তরঃ
লাল কাপড়ের রংটা কাঁচা, ওটা বেশি কাচা ঠিক নয়।
( গ ) বাগানে যাও কিছু ফোটা ফুল নিয়ে এসো, আজ ভাইফোটা।
উত্তরঃ
বাগানে যাও কিছু ফোটা ফুল নিয়ে এসো, আজ ভাইফোঁটা।
( ঘ ) গোলাপ গাছে খুব কাটা, ছুরি দিয়ে ডাল কাটা সহজ নয়।
উত্তরঃ
গোলাপ গাছে খুব কাঁটা, ছুরি দিয়ে ডাল কাটা সহজ নয়।
এসো, শব্দগুলোর অর্থের পার্থক্য বজায় রেখে নতুন বাক্য গঠন করি।
বাঁধা, বাধা, কাঁদা, কাদা, ফোঁটা, ফোটা
উত্তরঃ বাঁধা — বাঁধা সহজ কিন্তু খোলা কঠিন।
বাধা — ভালো কাজে বাধা দেওয়া
উচিত নয়।
কাঁদা — একটি বাচ্চার কাঁদা দেখে অন্য বাচ্চারাও কাঁদতে
লাগলো।
কাদা — বর্ষাকালে রাস্তাঘাট কাদা হয়।
ফোঁটা — ক্ষতস্থান থেকে
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরছে।
ফোটা — সদ্য ফোটা ফুলের সুগন্ধে চারিদিক ভরে গেল।
নীচের রেখা টানা শব্দের বিপরীত শব্দ শূন্যস্থানে লেখো।
সাদা বক…………. কাক
লম্বা লোক…………… লোক
পাকা ফল……………. ফল
দাদা বড়ো
…………… হল
উত্তরঃ সাদা বক কাল কাক
লম্বা লোক বেঁটে লোক
পাকা ফল কাঁচা ফল
দাদা বড়ো ভাই ছোট
এসো, উদাহরণের মতো করে নীচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য গঠন করে বলি ও লিখি।
পড় খায়
উদাহরণ — নাচ
রেশমি নাচে।
রেশমি নাচে না।
রেশমি কি নাচে?
পড়
রাহুল পড়ে
রহুল পড়ে
না
রহুল কি পড়ে?
খায়
নীলা খায়।
নীলা খায় না।
নীল কি খায়?
এসো, নীচের শব্দগুলো শুদ্ধ উচ্চারণে পড়ি।
উৎসাহ ষণ্ডা লম্বা অঙ্গ চক্ষু গন্ডগোল জ্বলে দ্বন্দ্ব শুঁড় কেঁপে ফোঁসফোঁস হেঁট
গ — জ্ঞান সম্প্রসারণ
এসো ধাঁধা ভাঙি।
উত্তরঃ বিছানা।
উত্তরঃ মাছ ।
হাতির শুড় লম্বা, জিরাফের গলাও লম্বা। এসো, অন্য কয়টি পশু-পাখিদের এধরনের বৈশিষ্ট জেনে নিই।
ঘ—প্রকল্প
'উচিত শিক্ষা' কবিতাটিতে একটি গল্প আছে। এধরনের আরেকটি গল্প বাড়ি থেকে শিখে এসে শ্রেণিতে শোনাও।
উত্তর: তিনটি মাছের কাহিনি