অরুণোদয়

অরুণোদয়, পাঠ-৬ Class 5 Bengali QnA

অরুণোদয় পাঠ-৬ , পঞ্চম শ্রেণির বাংলা অসম, অরুণোদয় পাঠের প্রশ্ন উত্তর অসম বাংলা মাধ্যম Class 5 Bengali Assam Chapter -6. ( অরুণোদয় Class 5 )

প্রিয় বান্ধবী
আকাঙ্ক্ষা,

ভালোবাসা নিও। আশাকরি ভালোই আছ। বেশ কিছু দিনের পর আজ তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি। তোমার মা-বাবা কেমন আছেন? তাঁদেরকে আমার প্রণাম জানাবে। ছোটো ভাই অমিতের জন্য থাকল অনেক আদর ও ভালোবাসা।

আজ তোমাকে একটা সুখবর দেব। আমাদের অঞ্চলের বছদিনের এক আশাপূর্ণ করে গ্রামে একটি গ্রন্থাগার তৈরি হয়েছে। গ্রন্থাগারটির নাম রাখা হয়েছে ‘অরুণোদয়’। এই ‘অরুণোদয়’ আমাদের মনের আকাশকে নতুনভাবে আলোকিত করে তুলবে বলে আশা করছি। কারণ এতে অনেক বই থাকবে। এগুলো পড়ে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারব, নতুন নতুন অনেক কথা জানতে পারব, তাই নয় কি? আমাদের গ্রামেরই নীলকণ্ঠ দাদাকে গ্রন্থাগারিক করা হয়েছে। তাঁকে তো সবাই ‘বইয়ের পোকা’ বলেই জানেন। তিনি বই পড়তে খুব ভালোবাসেন এবং বই-পত্রগুলো গ্রন্থাগারে কীভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হয় তাও তিনি জানেন।

অরুণোদয় পাঠ-৬ , পঞ্চম শ্রেণি

আমাদের গ্রামের যুব সংগঠন ‘নেতাজি সংঘে’র সদস্য-সদস্যাদের উদ্যোগ দেখে গ্রামের সবাই এগিয়ে এসেছেন। ‘গ্রাম পঞ্চায়েতে’র সদস্য অশোক মন্ডল কাকু জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, দুটো বইয়ের আলমারি দিয়েছেন হানিফ চাচা, কুড়িটা বই কিনে এনেদিয়েছেন ‘মহিলা সমবায় সংঘে’র সভানেত্রী হরিদাসী মাসি। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দ্রুপদ রাজবংশী তাঁর নিজের দশটা বই গ্রন্থাগারে দিয়েছেন। ছোটোদের উপযোগী বইও আনা হয়েছে বেশ কিছু। তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মুকুট’, ‘শারদোৎসব’ নাটক, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রামের সুমতি’, নজরুল ইসলামের ‘পুতুলের বিয়ে’,
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির বই’, সুকুমার রায়ের ‘পাগলা দাশু’ সত্যজিৎ রায়ের
‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ বইগুলোও আছে।

আমি এই ‘গ্রন্থাগারে’র সদস্য হয়েছি। আমি এরই মধ্যে ‘ছোটোদের বিজ্ঞানকোষ’- এর প্রথমখণ্ড বাড়িতে এনে পড়ে নিয়েছি। বইটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। অনেক নতুন কথা জানতে পেরেছি। বইটির মোট সাতটি খণ্ড আছে। বাকি খণ্ডগুলোও পড়তে হবে। তুমিও এই বইগুলো জোগাড় করে পড়ো। অনেক অজানা কথা জানতে পারবে।

তুমি কি এবার গ্রন্থমেলায় গিয়েছিলে ? কী কী বই কিনলে ? জানাবে । এবার আমাদের গ্রামে গ্রন্থমেলা হবে। তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে? আমার চলছে একরকম। চিঠির
উত্তর দেবে। আজ শেষ করছি। ভালোবাসা নিও।

ইতি
তোমার বান্ধবী
মুক্তা

প্রতি,
আকাঙ্ক্ষা দত্ত
প্রযত্নে – শ্রীযুক্ত আনন্দ দত্ত
ডাকঘর – পানবাজার গুয়াহাটি
জেলা – কামরূপ
পিন – ৭৮১০০১

উত্তর দাও। অরুণোদয় পাঠ-৬

(ক) পাঠটিতে কে কাকে চিঠি লিখেছে?
উত্তরঃ- পাঠটিতে মুক্তা আকাঙ্ক্ষাকে চিঠি লিখেছে ।

(খ) চিঠিটিতে ‘সুখবর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ- চিঠিটিতে ‘সুখবর’ বলতে বোঝানো হয়েছে যে মুক্তাদের গ্রামে অরুণোদয় নামে একটি নতুন গ্রন্থাগার তৈরি হয়েছে ।

(গ) গ্রামের গ্রন্থাগারটির নাম কী রাখা হয়েছে?
উত্তরঃ- গ্রামের গ্রন্থাগারটির নাম ‘অরুণোদয়’ ।

(ঘ) গ্রন্থাগারটি কাদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে?
উত্তরঃ- গ্রন্থাগারটি গ্রামের যুব সংগঠন নেতাজী সংঘের সদস্য-সদস্যাদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ।

(ঙ) বইয়ের পোকা” বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- যারা বই পড়তে খুব ভালোবাসে কিংবা দিনরাত বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকে তাদের বইয়ের পোকা বলা হয়।

(চ) গ্রন্থাগারিকের নাম কী? তাঁকে কেন গ্রন্থাগারিক করা হয়েছে?
উত্তরঃ- গ্রন্থাগারিকের নাম হলো নীলকণ্ঠ দাদা ।

এই নীলকণ্ঠ দাদা সব সময় বই পড়তে খুব ভালোবাসেন এবং গ্রন্থাগারে কীভাবে গুছিয়ে রাখিতে হয় তাও তিনি জানেন বলে তাকে গ্রন্থাগারিক করা হয়েছে ।

(ছ) গ্রন্থাগারটিতে ছোটোদের উপযোগী কী কী বই আছে?
উত্তরঃ- গ্রন্থাগারটিতে ছোটোদের উপযোগী বই আছে রবীন্দ্রনাথ ঠকুরের ‘মুকুট’, ‘শারদোসব’ নাটক, শরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রামের সুমতি’ , নজরুল ইসলামের ‘পুতুলের বিয়ে’, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির বই’, সুকুমার রায়ের ‘পাগলা দাশু’ এবং সত্যজি রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ।

(জ) গ্রন্থমেলা’ কী?
উত্তরঃ- গ্রন্থমেলা হল গ্রন্থের মেলা । অন্যান্য মেলার মতো এটিও একটি মেলা । এই মেলায় রাশি রাশি বই সাজানো থাকে , বইয়ের প্রচুর স্টল থাকে । জ্ঞানপিপাসু পড়ুয়াদের ভিড় উপচে পড়ে বইয়ের স্টলগুলিতে । গ্রন্থমেলায় লেখক, প্রকাশক, বই-পাগল পাঠক সকলেই আসেন । সব ধরনের পাঠকদেরই এখানে ভির থাকে । পাঠক বই কেনার সাথে সাথে লেখকদের সান্নিধ্যও লাভ করে । গ্রন্থমেলায় বহু ভাষার গ্রন্থ থাকে । বহু ভাষাভাষি মানুষের বই কেনার সুযোগ থাকে । বইয়ের বিষয়-বৈচিত্র্যও অফুরান । নানা আলোচনা চক্রের আসর বসে । সাহিত্য-বিজ্ঞান-নাণিজ্য অর্থাঠ মানুষের যত রকমের কৌতুহল অনুসন্ধিঠসা, প্রয়োজন তার সব ধরনের বই-ই পাওয়া যায় বইমেলায় ।

(ঝ) বই পড়লে কী হয়?
উত্তরঃ- বই মানুষের প্রিইয় বন্ধু । বইতে মানুষের সর্বপ্রকার অভিজ্ঞতার কথা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল লিপিবদ্ধ আছে । বই মানুষের মনের প্রসারণ ঘঠায় । বইয়ের পাতায় লেখাগুলি থেকে আমরা অনেক হিতকথা জানতে পারি তাই বই পড়ে জ্ঞান হয় ।

এই পাঠে এক বান্ধবী আরেক বান্ধবীকে নিজের খবরা-খবর জানিয়ে চিঠি লিখেছে।তোমারাও তোমাদের বন্ধুান্ধবীকে নিজেদের অঞ্চলের খবরা-খবর জানিয়ে এক-একটি চিঠি লেখো।

উত্তরঃ-

প্রিয় বান্ধবী
রীতা,

ভালোবাসা নিও। আশা করি ভালোই, আছ। বেশ অনেকদিন পর তোমাকে চিঠি লিখছি। কাকু-কাকিমাকে আমার প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানাবে । বোন কাজলিকে আমার আদর ও ভালোবাসা জানিও।
তোমাকে একটা সুসংবাদ দেওয়ার জন্য চিঠি লিখছি। আমাদের অঞ্চলে বহুদিন বন্ধ থাকার পর আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মোৎসব পালিত হল। আমাদের গ্রামের যুব সংগঠন ‘বন্ধুমহল’ সংঘের সদস্য-সদস্যাদের উদ্যোগে গ্রামের সবাই এগিয়ে এসেছেন। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে রবীন্দ্র জন্মোৎসব পালিত হল। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী তাপস দত্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রতিকৃতি দান করেছেন। গৌতমকাকু পাড়ার ছোটোদের দিয়ে ‘ডাকঘর’ নাটকটি করিয়েছে। ডালিয়া দিদি আমাদের দিয়ে ‘তাসের দেশ’ নৃত্যনাট্য করিয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সঙ্গীতে আমার মা অংশগ্রহণ করেছিলেন। আবার বাবাও অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির মধ্যে ছিলেন।

গ্রামের অনেক ছোটো ছোটো ভাইবোনেরা রবি ঠাকুরের অনেক কবিতা ও গান পরিবেশন করেছে। আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বকবির জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখেছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন গীরিশ কাকু। আমরা ভাইবোন বন্ধুরা সেদিন খুব আনন্দ করেছি। বড়রা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতিবছর বিশ্বকরিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং অন্যান্য মহাপুরুষদের জন্মদিবসও পালন করা হবে। তার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হবে। পুনরায় এরকম সুন্দর একটি অনুষ্ঠান করবার আশা নিয়ে এবং একঝক খুশি নিয়ে সবাই মিলে হইচই করতে করতে বাড়ি ফিরলাম।

ইতি
তোমার বান্ধবী
তৃষা

প্রতি,
শরীতা শ্রীবাস্তব
প্রযত্নে- শ্রীযুক্ত বাপ্পি শ্রীবাস্তব
ডাকঘর-পানবাজার, গুয়াহাটি
জেলা-কামরূপ
পিন–৭৮১০০১

‘এই অরুণোদয়’ আমাদের মনের আকাশকে নতুনভাবে আলোকিত করে তুলবে বলে আশা করছি’ – এই বাক্যাটি কে, কাকে, কোন প্রসঙ্গে বলেছে? বিস্তারিতভাবে লেখো।

উত্তরঃ- এই বাক্যটি মুক্তা আকাঙ্ক্ষাকে চিঠিতে লিখেছে।
মুক্তা চিঠির মাধ্যমে আকাঙ্ক্ষাকে একটি সুখবর জানিয়েছে। সুখবরটি হল তাদের অঞ্চলের বহুদিনের আশা ছিল একটি গ্রন্থাগার নির্মাণের। সম্প্রতি সেই আশা পূর্ণ হয়েছে। ‘অরুণোদয়’ নামে একটি গ্রন্থাগার তৈরি হয়েছে।
জ্ঞান সমুদ্রের প্রতিটি তরঙ্গ বিশেষভাবে কালো অক্ষরের বাধনে, ভাষার অক্ষরে গ্রন্থ বেঁধে রাখে। গ্রন্থ রাখার ভাণ্ডার বা গ্রন্থের আগার হল গ্রন্থাগার । জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, সভ্যতা সংস্কৃতি বিষয়ক যাবতীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে পরম যত্নে রাখা হয় গ্রন্থাগারে। ফলে চিন্তাশীল মনীষীদের চিন্তাজাত অমূল্যসম্পদ সঞ্চিত থাকে গ্রন্থাগারে ।
অজানাকে জানায়, অপরিচিতকে পরিচিত করে। উন্মোচিত করে জ্ঞানরাজ্যের নব নব দিগন্ত। তার সীমাহীন জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে জ্ঞান পায় জ্ঞানের খোরাক, ভাবুক পায় ভাবরাজ্যের সন্ধান, জ্ঞান তপস্বী তপস্যালব্ধ সিদ্ধি অর্জন করে, সুখে-দুঃখে, উত্থানে-পতনে, সম্পদে বিপদে সব অবস্থায় সব কালের সকল মানুষের পরম বন্ধু, তার ধারক লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার।

গ্রামের গ্রন্থাগারটি বিভিন্নজনের দানে কীভাবে গড়ে উঠেছে, তা আলোচনা করো।

উত্তরঃ- মুক্তাদের গ্রামের ‘অরুণোদয়’ নামক গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক হিসেবে হয়েছিলেন তাদেরই গ্রামের নীলকণ্ঠ দাদা। যিনি ‘বইয়ের পোকা’বলে পরিচিত । তিনি বই পড়তে খুব ভালোবাসেন এবং বইপত্রগুলো গ্রন্থাগারে কীভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হয় তাও জানেন । গ্রামের যুব সংগঠন ‘নেতাজী সংঘের’ সদস্য সদস্যাদের উদ্যোগে গ্রামের সবাই সহযোগিতা করেছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অশোক মণ্ডল গ্রন্থাগারের জন্য জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। হানিফ চাচা দুটো বইয়ের আলমারি দিয়েছেন মহিলা সমবায় সংঘের সভানেত্রী হরিদাসী মাসী কুড়িটি বই কিনে এনে দিয়েছেন। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দ্রুপদ রাজবংশী তার নিজের দশটা বই গ্রন্থাগারে দিয়েছেন। এছাড়াও ছোটোদের উপযোগী অনেক বই আনা হয়েছে ।



এই পাঠে চিঠির মাধ্যমে এক জায়গার খবর আরেক জায়গার মানুষ জানতে পেরেছ। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে দেশ-বিদেশের নানা খবর আমরা জানতে পারি। তোমরাও বিভিন্ন উপায়ে এক জায়গার খবর অন্য জায়গায় জানাতে পার। এধরনের কয়েকটি উপায় বা মাধ্যমের নাম বলো।

উত্তরঃ- এক জায়গার খবর অন্য জায়গায় জানানোর উপায়গুলি হল-
১। বাড়িতে রাখা টেলিফোন কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ।
২। ফ্যাক্স করেও জানানো যায় ।
৩। মেল করে পাঠানো যায় ।

নীচের থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে প্রতিশব্দের তালিকাটি পূর্ণ করো ( অরুণোদয় )

গ্রন্থ, গ্রন্থাকার, বই, পুস্তক, গ্রন্থাগার, পাঠক, পাঠাগার, লেখক, প্রণেতা, রচয়িতা, পাঠকর্তা, পুথি

তালিকা –

গ্রন্থগ্রন্থাগারলেখকপাঠক
পুস্তকপাঠাগারগ্রন্থাকারপাঠকর্তা
বইপ্রণেতা
পুথিরচয়িতা

খ – ভাষা -অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

এসো, যুক্তবর্ণ পড়ি ও লিখি

বিজ্ঞান জ্ঞ = জ + ঞ,  জ-এ  ঞ জ্ঞ
শতদ্রু দ্রু = দ + র + উ, দ-এ র-এ দ্র, তার সঙ্গে উ-কারে দ্রু

এসো,  যুক্তবর্ণ গঠন করি

জ + ঞ, জ-এ ঞ জ্ঞ
দ + র + উ,  দ-এ র-এ দ্র, তার সঙ্গে উ-কারে দ্রু

এসো, পড়ি

জ্ঞান, বিজ্ঞান, অজ্ঞান, আজ্ঞা
কদ্রু, দ্রুম, দ্রুত, শতদ্রু

বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে৷
বিজ্ঞান আমাদের অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত করে।
দ্রুত গতির ডাক সেবা আমাদের উপকার করেছে।
শিক্ষা অজ্ঞনতা দূর করে৷

দলগত আলোচনা করে সংক্ষেপে টীকা লেখো। ( অরুণোদয় )

(ক) গ্রন্থাগার (খ) গ্রন্থমেলা

(ক) গ্রন্থাগারঃ– অফুরান গ্রন্থ-সম্পদের সংগ্রহস্থলই হলো গ্রন্থাগার । বহু মানুষের প্রচেষ্টায় গ্রন্থাগার গড়ে ওঠে । সেখানে অজস্র গ্রন্থের সম্ভার । গ্রন্থাগারই গ্রন্থপাঠের উপযুক্ত ক্ষেত্র । কত বৃদ্ধ বণিতা এসে ভিড় করেন সেখানে ।

শিক্ষাপিপাসু মানুষের কাছে গ্রন্থাগার এক চির-আকাঙ্ক্ষিত জ্ঞান তীর্থ , সেখানে সে তার মুক্তির সন্ধান পায় । গ্রন্থাগার শিক্ষা প্রসারের অপরিহার্য অঙ্গ ।

(খ) গ্রন্থমেলাঃ– ১৯৬৯ সালে ভারতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ বইমেলার সূচনা করা হয় । ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের উদ্যোগে মুম্বাই-এ জাতীয় বইমেলার উদ্ধোদন হয় । ভারতে প্রথম বিশ্ব বইমেলার অনুষ্ঠান হয় দিল্লিতে ১৯৭৪ সালে । উদ্যোক্তা বুক ট্রাস্ট ।

মেলা মানুষের মিলন ভূমি । বইমেলা দেশ ও জাতির অগ্রগতির হাতিইয়ার । কূপমণ্ডক অন্ধ ধারণা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতেই এর আবির্ভাব , বইমেলা অনাগ্রহী পাঠককেও আকর্ষণ করে , কৌতুহলি করে তোলে । গ্রন্থপাঠ মানুষের এক দুনির্বার নেশা । এই নেশাতেই বইমেলায় ছুটে যায় ।

এসো,  জানি। (অরুণোদয় পাঠ-৬ , পঞ্চম শ্রেণি)

আমরা বাক্য সম্বন্ধে ইতিমধ্যে জেনেছি । সাধারণত বাক্যকে সরল, যৌগিক, জটিল, এবং মিশ্র বাক্য হিসেবে ভাগ করা হয় এছাড়াও ভাব অনুসারে বাক্যকে আরও কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন-  “তুমি কি এবার গ্রন্থমেলায় গিয়েছিলে?’ ‘ কী কী বই কিনলে?’ এই বাক্য দুটিতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। এধরনের বাক্যকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলা হয়।

প্রশ্নবোধক বাক্যে সাধারণত কি, কী, কেন, কখন, কে ইত্যাদি পদ ব্যবহার করা হয়।

এই অব্যয়গুলো ছাড়াও বাক্যের সুর বা বক্তার কণ্ঠস্বরের বিশেষত্বে প্রশ্নবোধক
বাক্য গঠিত হতে পারে। যেমন, তুমি কাজটা করবে?

আদেশ, অনুজ্ঞা, অনুরোধ, উপদেশ ইত্যাদি বোঝালে বাক্যটিকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলা হয়। যেমন, ‘তুমিও এই বইগুলো জোগাড় করে পড়ো’  এধরনের বাক্যের আরও
কয়েকটি উদাহরণ-

(ক) তুমি এখনই এখান থেকে চলে যাও।
(খ) এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে আপনাকে একটা গান গাইতে হবে কিন্তু।
(গ) ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

আবেগসুচক বাক্য

কোনো বাক্যে আবেগ, উৎকণ্ঠা, বিস্ময়, বিতৃষ্ণা, ঘৃণা বা আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা
হলে, তাকে আবেগসুচক বাক্য বলা হয়। যেমন-

(ক) আঃ চমৎকার দৃশ্য !
(খ) হায় কপাল, এখন তোর কী হবে!
(গ) কী, তোর এতোবড়ো সাহস!

সদর্থক এবং নঞর্থক বাক্য

‘ইতিবাচক বা হ্যাঁ-বোধক বাক্যকে সদর্থক বাক্য বলা হয়। একই রকমভাবে নেতিবাচক
বা না-বোধক বাক্যকে নঞর্থক বাক্য বলা হয়। যেমন-

(ক) আমার একটা কলম আছে। (সদর্থক)
(খ) আমার হাতের লেখা সুন্দর নয়। (নঞর্থক)

সন্দেহবাচক বাক্য

কোনো বাক্যে সন্দেহ, সংশয় ইত্যাদি প্রকাশিত হলে, তাকে সন্দেহবাচক বাক্য বলা
হয়। যেমন-
(ক) তিনি কি ফিরে আসতে পারবেন?
(খ) অনন্যা হয়তো সেদিন খেলতে গিয়েছিল!

পাঠ থেকে একবচন বা বহুবচন সূচক শব্দগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো বহুবচন বা একবচন রূপ লেখো।

একবচন বহুবচন

একবচনবহুবচন
সদস্যসদস্যরা
তোমারতোমাদের
বইবইগুলো
আমারআমাদের
আলমারীআলমারীগুলি
গ্রামগ্রামগুলি

নীচের বাক্যগুলোয় নিম্নরেখ পদগুলোতে ব্যবহৃত মূল শব্দের সঙ্গে যুক্ত বিভক্তিগুলোকে আলাদা করে দেখাও।

(ক) আজ মাকে একটা সুখবর দেব।

উত্তরঃ- মা + কে বিভক্তি ।

(খ) দুটো বইয়ের আলমারি দিয়েছেন হানিফ চাচা।

উত্তরঃ- বই + এর বিভক্তি ।
(গ) এবার আমাদের গ্রামেও গ্রন্থমেলা হবে।

উত্তরঃ- গ্রাম + এও ।

(থ) তুমি কি এবার গ্রষ্থমেলাতে গিয়েছিলে?

উত্তরঃ- গ্রন্থমেলা + তে ।

নীচের বাক্যগুলোকে প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিবর্তিত করো।

(ক) বিদ্যালয়ে সোনিয়ার উপস্থিতি নিয়মিত।
উত্তরঃ- বিদ্যালয়ে সোনিয়ার উপস্থিতি নিয়মিত কী ?

(খ) সুনীল পড়তে ভালোবাসে।
উত্তরঃ- সুনীল পড়তে ভালোবাসে কী ?

(গ) রাজা এবার গরমের বন্ধে সিমলা যাবে।
উত্তরঃ- রাজা এবার গরমের বন্ধে সিমলা যাবে কী ?

(ঘ) রবিবার বিকেলে সবাই খেলতে আসবে।
উত্তরঃ- রবিবার বিকেলে সবাই কী খেলতে আসবে ?

বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।

সুখবর = খারাপ খবর
গ্রাম=  শহর
জ্ঞান = অজ্ঞান
নতুন = পুরাতন
উপযোগী = অনুপযোগী
আশা = নিরাশা

নীচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।
বিশ্ববিদ্যালয়, উপযোগী, বই, গ্রন্থমেলা, গ্রন্থাগারিক

বিশ্ববিদ্যালয় = আমার ভাই অসম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।

উপযোগী = বিশুদ্ধ জল খাওয়ার উপযোগী ।

বই = আমি রোজ বই পড়ি ।

গ্রন্থমেলা = আমাদের গ্রামে গ্রন্থমেলা হয়৷

গ্রন্থাগারিক = প্রতিটি গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক থাকেন।

পাটটিতে তোমরা ‘বইয়ের পোকা’ শব্দটি পেয়েছ। এর অর্থ সত্যি রয়েছে। এর অর্থ সত্যি  সত্যিই বইয়ের পোকা নয়? যারা বই পড়তে খুব ভালোবাসে বা দিন-রাত বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকে, তাদের বোঝাতে এই শব্দটি
ব্যবহার করা হয়। এধরনের প্রয়োগকে বিশিষ্টার্থক পদসমষ্টি বা বিশিষ্টার্থক বাক্যাংশ বলা হয়। এধরনের আরও কয়েকটি প্রয়োগ
সম্বন্ধে জেনে নাও –

মাটির মানুষ (শাস্ত-শিষ্ট লোক)
টাকার কুমির (প্রচুর অর্থবান ব্যক্তি )
ঠোঁটকাটা (স্পষ্টভাষী)

গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ অরুণোদয় পাঠ-৬ , পঞ্চম শ্রেণি

এসো, জানি।

গ্রন্থাগার

গ্রন্থাগার = বিভিন্ন ধরনের বই-পত্র, সাময়িক পত্র-পত্রিকা ইত্যাদি অধ্যয়নের জন্য নির্দিষ্ট
গৃহকেই গ্রন্থাগার বলা হয়। গ্রন্থাগারে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, অভিধান, জীবনী, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি নানা ধরনের বই, সংবাদপত্র, সাময়িক পত্র-পত্রিকা ইত্যাদি সুশৃঙ্খলভাবে রাখা হয়৷ পাঠ্যপুস্তক এবং পাঠ-সহায়ক নানা বইও গ্রন্থাগারে রাখা হয়। গ্রন্থাগারে বসে পাঠ করার এবং সদস্য-সদস্যাদের বাড়িতে বই নিয়ে পড়ার সুবিধা দেওয়া হয়। বই-পত্রের আদানপ্রদানের জন্য গ্রন্থাগারে একজন গ্রন্থাগারিক থাকেন৷ অসমের প্রতিটি জেলায় জেলা গ্রন্থাগার ছাড়াও বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার আছে৷ অসমের গ্রামে-নগরে বিভিন্ন সংঘ-সংগঠনের নিজস্ব গ্রন্থাগারের সংখ্যাও প্রচুর পাঠকদের সুবিধার জন্য সরকার এবং বিভিন্ন সংগঠন আজকাল ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারেরও ব্যবস্থা করেছে। গাড়ির মধ্যে গড়ে তোলা এই গ্রন্থাগারগুলো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পরিভ্রমণ করতে থাকে।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় = নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নামে প্রাচীন ভারতবর্ষের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সময় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল দেশ-বিদেশ থেকে ছাত্র এসে অধ্যয়ন করতেন। এর শিক্ষার আদর্শ অত্যন্ত উচ্চস্তরের ছিল। চিন দেশর পরিব্রাজক হিউয়েন সাং সেখানে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করার জন্য এসেছিলেন।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম গ্রন্থাগার ছিল। নয়-তলা বিশিষ্ট ছিল ‘রত্নোদধি’। প্রায় দশ হাজার ছাত্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যক্ষ ছিলেন শীলভদ্র এই উদাসীন পণ্ডিত নিজে কোনো খরচ না নিয়েই শিক্ষাদান করতেন।


গ্রন্থমেলা ও গ্রন্থাগারের পার্থক্য লেখো ( অরুণোদয় )

উত্তরঃ-

গ্রন্থমেলাগ্রন্থাগার
১) গ্রন্থমেলা হল গ্রন্থ বা বইয়ের মেলা ।১) গ্রন্থ রাখার প্রতিষ্ঠান হল গ্রন্থাগার ।
২) গ্রন্থমেলায় গ্রন্থ বিক্রি হয় । ২) গ্রন্থাগারে বসে পাঠ করারেবং সদস্য সদস্যাদের বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় ।

নীচে ছোটোদের কয়েকটি জনপ্রিয় চরিত্র এবং তাদের স্রষ্টাদের নাম দেওয়া আছে দাগ টেনে মেলাও ।

উত্তরঃ- প্রেমেন্দ্র মিত্র = ঘনাদা

সত্যজিত রায় = ফেলুদা

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় = টেনিদা

নারায়ণ দেবনাথ = বাটুল দি গ্রেট


আরোও অন্যান্য পাঠের প্রশ্ন উত্তর দেখুন –

পাঠ- ৭ নীল পাহাড়ের দেশে

error: Content is protected !!