পুতুলনাচ

টীকা : মঙ্গলকাব্য, পুতুলনাচ Bengali Short note,  

মঙ্গলকাব্য, পুতুলনাচ, টীকা, Bengali Short note,  

মঙ্গল কাব্য

বাংলায় মধ্যযুগে বিভিন্ন দেব-দেবীর মাহাত্ম্য জ্ঞাপন করে মঙ্গল কাব্য রচনার খরার সূত্রপাত হয়েছিল। মনসা দেবীর মর্তে পূজাপ্রচারের কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছিল ‘মনসামঙ্গল’; দেবী চণ্ডীর পূজা-প্রচারের কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছিল ‘চণ্ডীমঙ্গল’। ঠিক একই রকমভাবে বাংলায় রচিত হয়েছিল ‘ধর্মমঙ্গল’, ‘কালিকামঙ্গল’, ‘যষ্ঠীমঙ্গল’, ‘দুর্গমঙ্গল’ ইত্যাদি গ্রন্থ।

পুতুলনাচ

পুতুলনাচের মাধ্যমে কোনো একটি আখ্যানের কাহিনি নাটকীয় ভঙ্গিতে করা হয়। সাধারণত এই অভিনয়-মাধ্যমের জন্য সোলার হালকা পুতুল তৈরি করা হয়। আখ্যানের বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে সংগতি রেখে অভিনেতা-পুতুলগুলোরও বেশ-ভূষা প্রস্তুত করা হয়। প্রতিটি পুতুলের হাত, পা, মাথা, কোমর ইত্যাদি অঙ্গ কালো রঙের সুতো দিয়ে বাঁধা থাকে এবং একজন সুদক্ষ পরিচালক প্রয়োজন অনুসারে সুতো টেনে পুতুলগুলোকে সজীব করে তোলেন এবং তাদের দিয়ে অভিনয় করান।

অভিনেতা-পুতুলগুলোকে নাচাতে একটি ছোটো মঞ্চের প্রয়োজন হয়। মঞ্চের পেছন দিকে একটি পর্দা থাকে। পর্দার আড়ালে পরিচালক পুতুলগুলোকে পরিচালনা করেন  এবং সূত্রধার পুতুলগুলোর মুখে সংলাপ আরোপ করেন। পুতুলনাচে মাঝে মাঝে বিদুষক বা জোকার চরিত্রের প্রবেশ ঘটিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি করা হয়।

টীকা : মঙ্গলকাব্য, পুতুলনাচ

আরোও পড়ুন

error: Content is protected !!