রচনা লেখার চাবিকাঠি

রচনা লেখার চাবিকাঠি পাঠের প্রশ্ন উত্তর পাঠ-৯ Class 5 Bengali

রচনা লেখার চাবিকাঠি পাঠের প্রশ্ন উত্তর পাঠ-৯ পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা অসম । Class 5 Bengali Lesson – 9 Assam SCERT .

ক্রিয়াকলাপরচনা লেখার চাবিকাঠি

ক- পাঠভিত্তিক

‘তোমরা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছ মনু-ভানুর পরিচয় কী হতে পারে? মনু একটি গোরুর নাম, ভানু ঘোড়ার। ওদের কথাবার্তা থেকে গোরু ও ঘোড়া সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা ঘড়ে ওঠে। যেমন –

গোরু – গোরুকে মানুষ পোষে। ওর চারটা পা, দুটো শিং, দুটো চোখ, একটি লম্বা লেজ আছে। লেজের মাথায় একগুচ্ছ চুল আছে। ওর গায়ের রং সাধারণত পাটকিলে, বাদামি, সাদা, কালোবা মিশ্র হয়। গোরু ঘাস, খড়, ভুসি ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। ওর দুধ খেয়ে মানুষ সুস্থ থাকে, গোরু চাষবাসে সাহায্য করে। ওর গোবর দিয়ে সার, ঘুঁটে হয়।

এবার পাঠের সাহায্য নিয়ে ঘোড়ার বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ- মানুষ ঘোড়াকেও পোষে। ঘোড়ার চারটে পা, দুটি চোখ, দুটি খাড়া কান।  একটি দীর্ঘ চুল বিশিষ্ট লেজ আছে৷ ঘাড়ে রয়েছে চমৎকার কেশর। ঘোড়ার গায়ের রঙ সাদা, কালো, ধূসর, বাদামি। ঘোড়া বেঁচে থাকে ঘাস,  ছোলা, কলাই ইত্যাদি খেয়ে৷ ঘোড়া গাড়ি টানে। সৈনিক ঘোড়ার চড়ে যুদ্ধ করে৷ ঘোড়ার মুখটা লম্বাটে৷ ঘোড়া খুব জোরে দৌড়তে পারে। ঘোড়া খুবই প্রভূভক্ত হয়৷

কোনো জন্তু না জিনিসকে মনে মনে কল্পনা করে ওদের বিষয়ে একটা রচনা লিখতে পারি। ‘রচনা’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ হল সৃষ্টি।
কিন্তু রচনা লেখার নিয়মকানুন আছে। নিয়মকানুনগুলো নীচে দেওয়া হল-

(১) যে বিষয়টিকে নিয়ে রচনা লিখবে, সে-বিষয়টিকেই আগাগোড়া রচনায় ধরে
রাখতে হবে।
(২) ছোটো ছোটো বাক্য দিয়ে রচনাটি লিখতে হবে।
(৩) প্রথমে বিষয়টির সংকেতগুলো কল্পনা করে নেবে।

উত্তর দাও।

(ক) মনু আর ভানুর মধ্যে কী নিয়ে লড়াই শুরু হয়?
উত্তরঃ- মনু আর ভানুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তাই নিয়ে লড়াই শুরু হয়। 

(খ) ভানুকে পেলে কে আহ্লা্দে আটখানা হন?
উত্তরঃ- ভানুর মনিবের সৈনিকবন্ধু ভানুকে পেলে আহ্লা্দে আটখানা হন৷

(গ) দুজনের লড়াই কেন থেমে যায়?
উত্তরঃ- দুজিনের মনিব এসে দুজনকে নিয়ে যায় বলে লড়াই সেখানেই থেমে যায়৷

উত্তর লেখো।

(ক) গোরু ও ঘোড়ার আকৃতি ও স্বভাবের কী কী মিল এবং কী কী অমিল আছে?
উত্তরঃ-  গোরু ও ঘোড়া উভয়েরই চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ ও একটি লেজ থাকে৷ তবে ঘোড়ার কান দুটো খাড়া থাকে৷ গোরুর কান খাড়া থাকে না। গোরুর শিং আছে। ঘোড়ার শিং নেই।

গোরুর একট লম্বা লেজ আছে। লেজের মাথায় একগুচ্ছ চুল থাকে। গোরুর মুখের আকার লম্বাটে। গায়ের রঙ বাদামি ছাড়ার অন্যান্য রঙের হয়ে থাকে৷ বাছুরগুলির কারো গায়ের রঙ সাদা, কারো কালো,  কারো মিশ্র, কারো পাটকিলে হয়।

ঘোড়ার লেজটাও একগুচ্ছ লম্বা লম্বা চুল দিয়ে তৈরি কিন্তু গরুর মতো সরু নয়। ঘোড়ার ঘাড়ে ঢেউয়ের মতো সুন্দর কেশর থাকে৷ ঘোড়ার গায়ের রঙ বাদামি। আবার কারো ধূসর বর্ণের হয়।

ঘোড়া খুব ভালো দৌড়তে পারে৷ সেজন্য যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকরা ঘোড়া ব্যবহার করে। ঘোড়া মনিবকে পিঠে নিয়ে দৌড়ায়। মনিবের গাড়িও টানে৷ ঘোড়া কচি কচি ঘাস ছাড়া ছোলা,  কলাই খায়।

গরু ঘাস, খড়, ভুসি ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। গোরুর দুধ খেয়ে মানুষ সুস্থ থাকে৷ গোরু চাষাসে সাহায্য করে৷ গোরুর গোবর দিয়ে সার, ঘুটে হয়।

(খ) গোরু ও ঘোড়া মানুষের কী কী উপকার সাধন করে?
উত্তরঃ- গোরুর উপকারিতা : গোরু নানাভাবে মানুষের উপকার করে৷ পুরুষ গোরু বা বলদ লাঙল টানে, গাড়ি টানে,  ঘানি ঘোরায়,  পিটে করে মাল বহন করে। গাই গরু দুধ দেয়। গোরুর দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উপাদেয় খাদ্য৷ দুধ থেকে ঘি, মাখন, ক্ষীর, দই, পনির প্রভৃতি উপাদেয় খাদ্য প্রস্তুত হয়। গোবর জমির সার ও জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়৷ ফলে অনেক মানুষের প্রধান জীবিকা গো-পালন হয়ে উঠেছে।

ঘোড়ার উপকারীতা : ঘোড়া খুব প্রভুভক্ত হয়। ঘোড়া পিঠে করে মানুষ ছাড়াও মাল বহন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। ঘোড়ায় টানা গাড়ি ব্যবহৃত হয়। সৈনিকরা ঘোড়ায় চলে যুদ্ধ করে৷ কলকাতা ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা আছে৷

রচনা লেখার চাবিকাঠি

শব্দ-সম্ভারের সাহায্য নিয়ে নীচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।

শ্রেষ্ঠত্ব – বড়ো বা শ্রেষ্ঠ ।
গুচ্ছ – গোছা।
ধুসর – ঈষৎ পাংশবর্ণ।
আহ্লাদ – আনন্দ, আমোদ৷
ঘুঁটে – গোবর থেকে তৈ জ্বালানি বিশেষ।
কেশর – সিংহ, ঘোড়া প্রভৃতি প্রাণীর ঘাড়ের দীর্ঘ লোম।
কলাই – মটর, মাষকলাই৷
মনিব – প্রভু৷
পাটকিলে – ইটের রঙ বিশিষ্ট।
স্বতন্ত্র – আলাদা৷

খ -ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) রচনা লেখার চাবিকাঠি

এসো, যুক্তবর্ণ ভেঙে পড়ি ও লিখি।

স্বতন্ত্র = ন্ত্র    ন + ত + র  ন এ ত ন্ত-এ র ফলা ন্ত্র

এসো,যুক্তবর্ণ গঠন করি।
ন + ত + র  ন-এ ত ন্ত-এ র-ফলা ন্ত্র

এসো, পড়ি
অন্ত্র, স্বতন্ত্র, আমন্ত্রণ, নিমন্ত্রণ

নীচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং সেই যুক্তবর্ণ দিয়ে দুটো করে শব্দ গঠন করো।

উদাহরণ- গৃহস্থ -> স্থ স + থ  স-এ থ স্থ,  যেমন – স্থল, বাসস্থান 

গন্ধ ->  ন্ধ – ন + ধ = ন্ধ যেমন, প্রবন্ধ,

অঙ্গ -> ঙ্গ – ঙ + গ = ঙ্গ যেমন – বঙ্গ,

বুদ্ধি -> দ্ধ – দ + ধ = দ্ধ যেমন – সিদ্ধ,

বিশ্বাসী -> শ্ব – শ + ব  = শ্ব যেমন – নিঃশ্বাস, শ্বাসকষ্ট।

শব্দ – > ব্দ – ব + দ = ব্দ যেমন – জব্দ,

জন্তু ->  ন্তু – ন + ত + উ = ন্তু যেমন – তন্তু,

নীচের  শব্দগুলোর অর্থ জেনে নিয়ে প্রত্যেকটি দিয়ে একটি করে বাক্য রচনা করো।

একগুচ্ছ – গোরুর লেজের মাথায় একগুচ্ছ চুল আছে।
লিক-লিকে – গোরুর লেজ লিক-লিকে হয়৷
নাদুস-নুদুস – গোরুর দুধ খেয়ে বাচ্চারা  নাদুস-নুদুস হয়।
আহ্লাদে আটখানা – সৈনিকটি ঘোড়ায় চড়ে আহ্লাদে আটখানা হয়।
লম্বা-লম্বা – লম্বা-লম্বা তাল গাছ মাঠে দাঁড়িয়ে আছে।
মনিব-বউ – মনিব-বউ ভানুকে খুব ভালোবাসে।
চাষ-বাস – কৃষক ভাইদের প্রধান জীবিকা চাষ-বাস৷
কচি-কচি – ঘোড়া কচি-কচি ঘাস খায়৷
ছেলে-মেয়ে – ঘোড়ার ছেলে-মেয়ে নানা বর্ণের হয়।
ঘন-বাদামি – ভানু-ঘোড়ার গায়ের রঙ ঘন-বাদামি।

এসো, জেনে নিই।

আমরা পাঠে অনেক ধরনের চিহ্ন দেখতে পাই ৷ এগুলোকে বিরাম চিহ্ন বলে। বাক্যে বিরাম চিহের প্রয়োজন আছে। বাক্যের অর্থ ও সম্বন্ধ সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্য বিরাম চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বিরাম চিহ্ন সার্থকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে বাক্যের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং ভাব এলোমেলো ও খাপছাড়া দেখায়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় প্রথম বিরাম চিহ্নের ব্যবহার করেন। গদ্য সাহিত্যে এধরনের বিভিন্ন অবদানের জন্য তাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কয়েকটি বিরাম চিহ্নের ব্যবহার

(ক) দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ (।) :- বাক্য যেখানে সম্পূর্ণ শেষ হয় সেখানে দাড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ দিতে হয়। যেমন- আমাদের দেশ ভারতবর্ষ।

(খ) কমা বা পাদচ্ছেদ (,) :- বাক্যের যেখানে অল্প সময়ের জন্য থামতে হয় সেখানে কমা দিতে হয়। যেমন- গরুর দুটি সিং, চারটি পা ও দুটি কান আছে।

(গ) সেমিকোলন (;) :- কমার থেকে একটু বেশি বিরাম বোঝাতে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন- মিতা আগে স্কুলে যাবে; পরে মামার বাড়ি যাবে।

(ঘ) প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) :-  প্রশ্ন বোঝাতে বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন- তোমার বয়স কত?

(ঙ) বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) :- আশ্চর্য বা বিস্ময় বোঝাতে বাক্যে বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন- আহ্‌! কি দুঃখের কথা!

(চ) কোটেশন বা উদ্বৃতি চিহ্ন (” “) :- প্রত্যেক উক্তি বোঝাতে কোটেশন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যথা-_ চয়ন বলল, “আমি চাঁদপুর যাব”

(ছ) বন্ধনী () – বাক্যের অর্থ পরিষ্কার করার জন্য বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হলে, তা বন্ধনীর মধ্যে রাখতে হয়। যেমন- আগামী ৯ মে (রবিবার) রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান হবে।

(জ) ড্যাস চিহ্ন (–) :- কোনো বাক্যে ভাবের পরিবর্তন ঘটলে ড্যাস ব্যবহৃত হয়। একি স্বপ্ন– না মনের ভুল।

(ঝ) কোলন (:) কোলন ড্যাস (:-) :- কোন বিষয়ে বর্ণনা বা উদাহরণ দিতে এসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন- অসমের প্রধান
নদী দুটি :- ব্রন্মপুত্র ও বরাক।

(ঞ) হাইফেন (-) :- দুটি পদের সংযোগ স্থলে হাইফেন হয়। যেমন- কচি-কাঁচার মেলা একটি শিশু-সংগঠন।

নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে নির্দিষ্ট স্থানে বিরাম চিহ্ন বসাও।

মানুষ ঘোড়া পোষে ওর চারটা পা দুটি চোখ দুটি খাড়া কান একটি দীর্ঘ চুলবিশিষ্ট লেজ আছে ঘাড়েও রয়েছে চমৎকার কেশর এর গায়ের রঙ সাদা কালো ধুসর বাদামি ঘোড়া ঘাস ছোলা কলাই খেয়ে বেঁচে থাকে ঘোড়া গাড়ি টানে সৈনিক ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে

উত্তরঃ- মানুষ ঘোড়া পোষে । ওর চারটা পা, দুটি চোখ, দুটি খাড়া কান,  একটি দীর্ঘ চুলবিশিষ্ট লেজ আছে ৷ ঘাড়েও রয়েছে চমৎকার কেশর । এর গায়ের রঙ সাদা কালো, ধুসর, বাদামি। ঘোড়া ঘাস ছোলা, কলাই, খেয়ে বেঁচে থাকে।  ঘোড়া গাড়ি টানে৷  সৈনিক ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে৷

পাঠের হাইফেন (-) যুক্ত শব্দগুলো বেছে নিয়ে লেখো।

উদাহরণ- সুখ-দুঃখ
উত্তরঃ- শক্ত-শক্ত, লম্বা-লম্বা, কচি-কচি, মনু-ভানুর,  লিক-লিকে, ঘন-বাদামি, নাদুস-নুদুস।

গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ

রচনা লেখার চাবিকাঠি


আমরা জানি যে গোরু-ঘোড়াকে মানুষ পোষে। তাই তাদের ‘গৃহপালিত’ জন্ত বলা হয়। সেরকম আমরা অনেক শব্দকে এককথায় লিখতে পারি।

এককথায় কী হবে বলো তো –

যে প্রাণীর চারটি পা আছে – চতুস্পদী।
যে প্রাণী মাংস খায় – মাংসাশী৷
যে প্রাণী তৃণ খেয়ে বেঁচে থাকে – তৃণভোজী। 
যে প্রাণীকে গৃহে পালন করা হয় – গৃহিপালিত৷
যে ব্যক্তি নগরে থাকে – নাগরিক।
পরের উপকার করে যে – পরোপকারী।
কোন খতুতে ঠান্ডা পড়ে – শীত ।
কোন খতুতে গরম পড়ে – গ্রীষ্ম।

নীচে কয়েকটি প্রাণীর নাম দিয়ে দেওয়া হল। তাদের বাসস্থানের নাম পাশের থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

গোরু – গোয়াল ।
পাখি – গাছ ।
খরগোশ – মাটির নিচের গর্তে।
পায়রা – কোটর।
বাঘ – গুহা।
ঘোড়া – আস্তাবল।

পাঠ থেকে তুমি ‘জন্ম’ শব্দটি খুঁজে বের করো। এই ‘জন্ম’ শব্দটিকে সহজ করে ‘জনম’ – ও লিখতে পার। এইরকম অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় আছে। এসো, সেরকম কিছু শব্দ জেনে নিই।

ধর্ম – ধরম
ভক্তি – ভকতি
কর্ম – করম
রত্ন – রতন
দর্শন – দরশন
শক্তি – শকতি

দলে আলোচনা করে নীচের তালিকাটি পূর্ণ করো।

আলোচনার বিষয় বস্তুছাগল হাঁস
ক) বাসস্থান মানুষের বাড়িতেমানুষের বাড়িতে
খ) গৃহপালিত/বন্যগৃহপালিতগৃহপালিত
গ) আকৃতি  (শরীরের গঠন এবং
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিবরণ)
চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ, ছোটো লেজ, গায়ের রঙ কালো বাদামি ।দুটি পা, একটি শক্ত ঠোঁট, সারা শরীর পালকে ঢাকা, রাজহাঁস একটু বড়ো হয়।
ঘ) প্রকার
ঙ) বর্ণ (কী কী রঙের থাকে)
কালো, সাদা, বাদামি, পাটকিলে।

কালো, সাদা, বাদামি, পাটকিলে।
সাদা, বাদামি, খয়েরী।
চ) খাদ্যকচি কচি ঘাসপাতা চালগম, ধানের তুষ, ছোটো শামুক
ছ) প্রকৃতি (স্বভাব)মোটামুটি শান্তচঞ্চল, মোটামুটি শান্ত
জ) উপকারিতা ছাগলের দুধ ও মাংস খাওয়া হয়হাঁসের ডিম,  মাংস খাওয়া হয়।
ঝ) অপকারিতা (যদি আছে)অপরের বাড়ির গাছ খেয়ে নষ্ট করে।
ঞ) তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্বযত্নবান হওয়া৷যত্নবান হওয়া৷

কোন জন্তুর কী খাবার তা রেখা টেনে মেলাও

রচনা লেখার চাবিকাঠি

নিম্নলিখিত পারিবারিক সম্বন্ধগুলো বুঝে নিয়ে লেখো।

(ক) বাবার বড়ো ভাই – জ্যেঠামশাই, জ্যেঠু।
(খ) জেঠামশাইয়ের স্ত্রী – জ্যেঠিমা, বড়োমা।
(গ) বাবার ছোটো ভাই – কাকা।
(ঘ) বাবার ছোটো ভাইয়ের স্ত্রী – কাকিমা৷
(ঙ) বাবার বোন/দিদি – পিসিমা।
(চ) পিসিমার স্বামী – পিশেমশাই।
(ঝ) মার ভাই/দাদা – মামা।
(ঞ) মামার স্ত্রী – মামী।
(ট) মার বোন – মাসী।
(ঠ) মাসির স্বামী – মেশো।

নীচের শব্দগুলো দিয়ে পাঁচটি করে বাক্য রচনা করো।

কুকুর : কুকুর একটি আদর্শ প্রভুভক্ত প্রাণি, চতুস্পদ প্রাণী কুকুরের ঘ্রাণশক্তি খুব প্রখর।  কুকুর নানা রঙের ও নানা জাতের হয়৷ কুকুর দিন রাত পাহারাদারের কাজে করে৷ পুলিশেরা চোর ডাকাত ধরার জন্য কুকুর ব্যবহার করে।

গোলাপ : সৌন্দর্যের দিকে থেকে গোলাপ ফুলকে  শ্রেষ্ঠ বলা যেতে পারে৷ গোলাপ নানা বর্ণের হয়৷ আমাদের দেশে প্রচুর গোলাপ ফুলের চাষ হয়৷ ভারতবর্ষ থেকে এই গোপাল ফুল প্রচুর পরিমাণে বিদেশে পাঠানো হয়  গোলাপ ফুল চাষ করে মালি ও ফুল ব্যবসায়ীরা লাভবান হন।

ধান :  ভারতের প্রধান ফসল ধান৷ ধান থেকে উৎপন্ন চাল পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য৷ পৃথিবীতে প্রায় ৭,০০০ ( সাত হাজার) রকমের ধান গাছ আছে। ভারতে নানা ধরনের ধানের চাষ হয়।

কাগজ : কাগজের জন্য মানুষের শিক্ষা সংস্কৃতি এগিয়েছে৷ প্রাচীনকালে মিশরে ‘প্যাপিরাস’ কথাটি থেকেই পেপার কথাটি এসেছে। ঘাস, বাঁশ ও কাগজের মন্ড থেকে কাগজ তৈরি হয়।  কাগজ প্রথম চিন দেশে আবিষ্কার হয়েছিল। কাগজের জন্যই বই সৃষ্টি হয়েছে। এখন অনেক আধুনিক প্রযুক্তিতে কাগজ তৈরি হয়।

লোহা : আমরা বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরিতে লোহা ব্যবহার করে থাকি। রেলগাড়ি, রেলগাড়ির চাকা, ব্রিজ বাড়ি ও অন্যান্য কাজে লোহার প্রয়োজন৷ ভারতের উড়িষ্যা, বিহার ও মধ্য প্রদেশে লৌহসম্পদ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। লোহাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় – (১) ঢালাই লোহা (২) পেটাই লোহা (৩) ইস্পাত লোহা।  বর্তমান যুগকে বিজ্ঞানের যুগ বলার সঙ্গে সঙ্গে লৌহযুগও বলা হয়।

রচনা লেখার চাবিকাঠি পাঠের প্রশ্ন উত্তর

নীচের ছকে অনেকগুলো জীব-জন্তুর নাম লুকিয়ে আছে,  খুঁজে বের করো।
উত্তরঃ-

রচনা লেখার চাবিকাঠি

দুজন বন্ধুর মধ্যে যদি কোনো কিছু নিয়ে ঝগড়া বাঁধে তুমি তাদের কী উপদেশ দেবে? 
উত্তরঃ- মীমাংসা করে নিতে৷

ধাঁধা বলো

(ক) ফরসা সাহেবেরা কালো টুপি পরে,
একবার ঘসে দিলে উঠে যে জ্বলে।

উত্তরঃ- দেশলাইয়ের কাটি৷

(খ) বড়ো একটি পুকুরের ছোটো দুটি ঘাটে,
বত্রিশটি কলাগাছ, একটি পাতা তাতে৷
উত্তরঃ- দাঁতের পাটি। 

নীচের ছবিগুলো সেগুলোর বিষয়ে তিনটি করে বাক্য লেখো।

রচনা লেখার চাবিকাঠি

বাবুই পাখিকে দরজি পাখি বলা হয়। বাবুই পাখি সাধারণত সুপার গাছ, তালগাছে বাসা তৈরি করে। অনেক পরিশ্রম করে বাবুই পাখি তাঁর বাসা তৈরি করে। 

পাখিরা গাছের ডালে বাসা তৈরি করে৷ পাখিরা তাদের বাচ্চাদের জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে খাবার সংগ্রহ করে এনে বাচ্চাদের খাওয়ায় ।

কাঠটোকরা গাছের গায়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করে। কাঠটোকরা গাছের গায়ে খট খট শব্দ করে। কাঠটোকরা পাখি পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলের গাছে দেখা যায়।

বাঘ জঙ্গলে থাকে । বাঘের বাসা জঙ্গলের ঘোহায় থাকে । বাঘ মাংসাশী প্রাণী ।

হাঁস গৃহপালিত পশু । হাঁস ডিম পাড়ে । হাসের ডিমে ভালো প্রোটিন থাকে ।

আরোও পড়ুন – পাঠ – ৮ রঙের রহস্য

error: Content is protected !!