কোন্ পাখি কীভাবে বাসা তৈরি করে

কোন্ পাখি কীভাবে বাসা তৈরি করে

কোন্ পাখি কীভাবে বাসা তৈরি করে ? সকল প্রাণীরই রোদ, বৃষ্টি, বাতাস এবং শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জায়গা বা বাসস্থানের প্রয়োজন। প্রাণীগুলোর বাসস্থান ভিন্ন ভিন্ন। কিছু সংখ্যক প্রাণী নিজেদের বাসস্থান নিজেরাই প্রস্তুত করে, যেমন-পাখি, মানুষ ইত্যাদি। হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি গৃহপালিত প্রাণির বাসস্থান মানুষ তৈরি করে দেয়।

পাখি ডিম পাড়ার জন্য এবং বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য বাসা বাঁধে। এরা ঠোঁট দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন জিনিস কুড়িয়ে এনে বাসা বাঁধে, যেমন – খড়-কুটো, ঘাস, গাছের মৃত ডাল ও শুকনো পাতা ইত্যাদি।

কোন্ পাখি কীভাবে বাসা তৈরি করে?

  • কাঠঠোকরা পাখি গাছে গর্ত করে বাস করে৷
  • ঘুঘু পাখি গাছের দুই ডাকের মধ্যবর্তী স্থানে বাসা তৈরি করে।
  • বাবুই পাখি সুপারি, নারিকেল, তাল ইত্যাদি গাছে বাসা বাঁধে।
  • বাবুই/দরজি পাখি গাছের পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে।
  • কোকিল নিজে বাসা তৈরি না করে কাকের বাসায় ডিম দিয়ে বাচ্চা জন্মায়।

সারস ও মাছরাঙা ইত্যাদি পাখি পুকুর, নদী, বিল ইত্যাদির তীরে কেন থাকে? এসব পাখি মাছ খেতে পছন্দ করে তাই নদী, বিল ইত্যাদির তীরের গাছে বাসা তৈরি করে থাকে ৷

জলজ প্রাণিদের বসবাসের স্থান

জলজ প্রাণিগুলি তাদের বসবাসের স্থান নিজেরাই ঠিক করে নেয়। জলের ঝোপযুক্ত উদ্ভিদ, কচুরিপানা ইত্যাদির মধ্যে কিছু কিছু প্রাণী আশ্রয় গ্রহণ করে। মাছ, কচ্ছপ, কুমির জলে থাকে। কিছু কিছু মাছ জলের নীচে গর্তে ঢুকে থাকে, যেমন – শিং, মাগুর, কুচিয়া, চ্যাং ইত্যাদি । সাপ গাছের ফাঁকে ও মাটির গর্তে ঢুকে থাকে। কিছু সাপ জলেও থাকে৷

বন্য প্রাণিদের বাসস্থান

বাঘ, সিংহ, ভালুক ইত্যাদি জঙ্গলে গুহার মধ্যে থাকে। শজারু, শিয়াল ইত্যাদি প্রাণি গর্তে থাকে। হাতি,বন্য মহিষ ইত্যাদি ঘন জঙ্গলে থাকে৷ গণ্ডার গভীর জঙ্গলে থাকে। হরিণগুলো দল বেঁধে গভীর জঙ্গলে বা গাছের ঝোপের মধ্যে থাকে। সাধারণত হাতি ও বন্য মহিষ ইত্যাদিকে দলবদ্ধ ভাবে থাকতে দেখা যায়। শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পশুগুলো দলবদ্ধ ভাবে থাকে।

পোকারা কিভাবে বাসস্থান তৈরি করে ?

কিছু সংখ্যক পোকা মাটি দিয়ে বাসা তৈরি করে। মৌমাছি গাছ ও ঘরের বেড়া ইত্যাদিতে বাসা বাঁধে। মৌমাছি নিজের শরীরের মোম দিয়ে বাসা তৈরি করে৷ মৌমাছির বাসাকে মৌচাক বলে।

মানুষের বাসস্থান

মানুষ বিভিন্ন প্রকারের ঘর তৈরি করে, যেমন- খড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর, কাঠ ও টিনের তৈরি ঘর এবং ইট, বালি, সিমেণ্ট, লোহা দিয়ে তৈরি বহুতল ঘর। পাহাড়ি ও টিলা জায়গায় মানুষ মাচা ঘর তৈরি করে থাকে। পাহাড় থেকে গড়ানো জল ওবন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাচা ঘর তৈরি করা হয়। এ ধরনের ঘরে বাস করলে বন্য পশুর আক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

ঘর তৈরি করতে লক্ষ্যনীয় দিকগুলো বা ঘর তৈরি করার পর ঘরের চারপাশের পরিবেশ কেমন হওয়া উচিৎ –

  • ঘরের ভিত উঁচু ও আলোযুক্ত হওয়া উচিত।
  • ঘরের ভিতর ও বাহির সর্বদা পরিষ্কার করে রাখতে হয় নতুবা রোগে ভুগতে হয়।
  • ঘরে বাতাস ঢোকার জন্য দিনের বেলা জানালা খুলে রাখা উচিত।
  • ঘরের চৌহদ্দি থেকে জল নিষ্কাশনের জন্য নালা-নর্দমার ব্যবস্থা থাকা উচিত।
  • নর্দমার জল যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। কারণ আবদ্ধ জলে মশা ডিম পাড়ে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এক প্রকার মশা ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়।

Aslo Read – জল আমাদের অতি প্রয়োজনীয় কেন ?

error: Content is protected !!