কাঁচ আবিষ্কার

কাঁচ আবিষ্কার  The discovery of glass / Bangla Short Story

কাঁচ আবিষ্কার  The discovery of glass Bangla Short Story

এক ছিল সদাগর। সে নৌকা নিয়ে বেরোল বাণিজ্য করতে দুপুরে প্যালেস্টাইনের সমুদ্রতীরে সে তার নৌকা ভিড়োল। সঙ্গী-সাথিরা ডাঙায় নেমে রান্নাবান্নার আয়োজন করতে লাগল। উনুন তৈরি করতে গিয়েই হল মুশকিল । আশপাশে কোনো পাথর নেই- শুধুই সূক্ষ্ম বালি। তাদের সঙ্গে ছিল সোডা-ক্ষারের শক্ত টুকরো। পাথরের অভাবে সেই সোডা-ক্ষারের উপর তারা হাঁড়ি চাপাল। খাওয়া-দাওয়ার পর সোডা-ক্ষারের টুকরোগুলো খুঁজতে গিয়ে তো তারা অবাকহু সোডা-ক্ষারের  টুকরোর বদলে উনুনের গর্তে পড়ে আছে স্বচ্ছ পাথরের মতো একটি জিনিস, যা তারা এর আগে কেউ কখনো দেখেনি। এভাবেই নাকি কাচ আবিষ্কৃত হয়েছিল। সেই থেকে বালির সঙ্গে ক্ষার গলিয়ে কাচ তৈরি হচ্ছে।

সোডা, পটাশ, চুন এসব নানা রকমের ক্ষার শুধু বালি কখনো গরমে গলে না। কিন্তু
বালির সঙ্গে চুনাপাথর আর ক্ষার মিশিয়ে জ্বাল দিলে মিশ্রণটি গলে যায়। আর ঠান্ডা হলেই জমাট বেঁধে কাচ হয়ে যায়।

প্রথম দিকে লোকেরা কাচ ব্যবহার করত শৌখিন জিনিস হিসেবে । তৈরি করার সময়
মিশ্রণটিতে নানা রকম ধাতুর মশলা মিশিয়ে কাচে বিভিন্ন রং আনা যায়। সেই রঙিন কাচের পুঁতি মূল্যবান রত্ন ভেবে লোকেরা তখন প্রচুর দামে কিনে নিত। এশিয়া থেকে কাচ তৈরির কৌশল ক্রমে ইউরোপে যায়। এই বিদ্যায় রোমানর। অল্পদিনেই চূড়ান্ত দক্ষ হয়ে ওঠে।

এখন আমরা যে ঝকঝকে পরিষ্কার কাচ ব্যবহার করি, আগে সেরকম কাচ তৈরিই
হত না। কাচ তখন ছিল ময়লা। মাঝে মাঝে ঘোলাটে দাগ থাকত। প্রায় শ’তিনেক বছর
আগে ইংল্যান্ডের কয়েকজন বিজ্ঞানীর চেষ্টায় প্রথম পরিষ্কার স্বচ্ছ কাচ নির্মিত হয়। এরপর
থেকে দৈনন্দিন জীবনে কাচের ব্যবহার বেড়ে যায়। দেশ-বিদেশে কাচের শার্সি, আরশি,
বাসন-কোসন, শিশি-বোতল, চশমা এরকম অনেক কিছুর ব্যবহার শুরু হয়।
(সুকুমার রায়ের ‘কাচ’ গল্গের অবলম্বনে)

কাঁচ আবিষ্কার

আরোও পড়ুন

গঙ্গার এপারে শ্রীরামপুর, ওপারে ব্যারাকপুর। আমি ওপারে ব্যারাকপুরের মানুষজন দেখছি। এত দূর থেকে বড়দেরও খুব ছোট্ট দেখায়…

error: Content is protected !!