অমলপ্রভা দাস

অমলপ্রভা দাস পাঠের প্রশ্ন উত্তর পাঠ-১১, Class 5 Bengali

অমলপ্রভা দাস পাঠের প্রশ্ন উত্তর পাঠ-১১, পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা অসম , Class V Bengali Assam, Class 5 Bengali Question Answer.

পাঠটি শুদ্ধ উচ্চারণে পাঠ করো এবং নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

অমলপ্রভা দাস

(ক) অমলপ্রভা দাসের পিতা ও মাতার নাম কী?
উত্তরঃ- অমলপ্রভা দাসের পিতার নাম ডঃ হরিকৃষ্ণ দাস ও মাতার নাম হেমপ্রভা দাশ।

(খ) গুয়াহাটির শরণিয়া পাহাড়ে অমলপ্রভা কী কী উদ্যোগ স্থাপন করেছিলেন?
উত্তরঃ- অমলপ্রভা দাস দেশের যুবক-যুবতিদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুয়াহাটির শরণিয়া পাহাড়ে তেল উৎপাদনের জন্য ঘনি, কাগজ তৈরি, সাবান তৈরি, কাপড় বোনার তাঁত ইত্যাদি কুটির শিল্প গড়ে তোলেন।

(গ) ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধির কোন আন্দোলনের প্রভাব অসমেও পড়েছিল? 
উত্তরঃ- ১৯২১ সালে গান্ধিজি সহ দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ করলে অসমেও “বিদেশী বস্ত্র বর্জন” “স্বদেশী বস্ত্র গ্রহন” কর্মকাণ্ড শুরু হয়৷

(ঘ) অমলপ্রভা দাস কত বছর বয়স থেকে সুতা কাটতে আরম্ভ করেছিলেন? 
উত্তরঃ- অমলপ্রভা দাস কত দশ (১০) বছর বয়স থেকে সুতা কাটতে আরম্ভ করেছিলেন৷

(ঙ) আচার্য বিনোবা ভাবের সঙ্গে তিনি কোন কোন আন্দোলনের সূত্রে সমগ্র অসম ভ্রমণ করেছিলেন?
উত্তরঃ- আচার্য বিনোবা ভাবের শ্রমদান, ভূ-দান আন্দোলনের  সহযোগী হয়ে তিনি সমগ্র অসম ভ্রমণ করেছিলেন।

কে, কাকে, কেন বলেছিলেন, বলো ও লেখো।

“আমি সামান্যভাবে যেটুকু দেশসেবা করতে পেরেছি, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার  জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কিন্তু আমি এই সম্মান গ্রহণ করতে অসমর্থ, কারণ এ-টি আমার মনে অহংকার ভাব এনে দেবে। এ জন্য অনুগ্রহ করে আমাকে মার্জনা করবেন। “

উত্তরঃ- কথাটি অমলপ্রভা দাস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে লিখেছিলেন।

সমাজসেবিকা অমলপ্রভা দাস দেশকে অন্তর দিয়ে ভালোবেসে দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণের জন্য নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন। তিনি দেশের পরাধীনতা মোচনের জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছেন। আবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশবাসীর সর্বাঙ্গীন জন্য সমস্ত জীবন ধরে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। দৃঢ়চেতা ও স্পষ্টবাদী অমলপ্রভা দেশের যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য গুয়াহাটির শরণিয়া পাহাড়ে তেল উৎপাদনের জন্য ঘানি, কাগজ তৈরি, সাবান তৈরি, কাপড় বোনার তাত ইত্যাদি কুটির শিল্প গড়ে তুলেছিলেন। তিনি উচ্চশিক্ষিত হয়েও কোনো সরকারি চাকরি গ্রহণ করেননি, বরং দারিদ্রের কবল থেকে দেশের জনসাধারণকে করার কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেছিলেন। ১৯৫৫
সালে তারত সরকার তাঁকে সমাজহিতকর কাজকর্মের জন্য ‘পদ্মবিভূষণ’ এ সম্মানিত করেন।  কিন্তু তিনি সেই সম্মান গ্রহণ নআ করে উপরের কথাগুলি বলেছিলেন। 

স্কুল জীবনে অমলপ্রভা দাস পড়াশোনা করা ছাড়াও মা-বাবাকে কী কী কাজে সাহায্য করতেন?
উত্তরঃ- বিদ্যালয়ের ছুটির পর বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে সংসারের কাজকর্মে সাহায্য করা, বাগানে ফুলগাছ লাগানো, গাছে জল দেওয়া ইত্যাদি কাজ খুব আনন্দের সঙ্গে করতেন। নাচগানেও তিনি সমান দক্ষ ছিলেন।

কটন মহাবিদ্যালয়ে তাকে পড়তে দেওয়া হয়নি কেন?
উত্তরঃ- অমলগ্রভার ইচ্ছা ছিল কটন মহাবিদ্যালয়ে আই.এস.সি. পড়া। সেই সময় কটন মহাবিদ্যালয়ে সহশিক্ষার কোনো প্রচলন ছিল না। কেবল মাত্র ছেলেরাই পড়তে পারত। মেয়ে হওয়ার অজুহাতে তাঁকে কটন মহাবিদ্যালয়ে পড়তে দেওয়া হয়নি৷

তিনি নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য কেন পরিত্যাগ করেছিলেন?
উত্তরঃ- দেশের দরিদ্র জনতাকে উদ্ধার করার আকাঙ্ক্ষায় তিনি তার ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সব কিছু পরিত্যাগ করেন।

এসো, শব্দের অর্থ জানি।

শব্দ ——— অর্থ

সর্ব – সবকিছু
পন্থা – উপায়,পথ
বিপ্লবী – বিপ্লবের সমর্থক
স্বাবলম্বন  – জীবিকাবা উপার্জনের ক্ষেত্রে নিজের উপর নির্ভরশীল, আত্ম নির্ভরশীলতা

স্বরাজ – স্বায়ত্ত শাসন, দেশবাসীর নিজেদের হাতে দেশ শাসনের ক্ষমতা

নিরহংকার – যার অহংকার নেই, অহংকারহীন

সহ-শিক্ষা – ছাত্র ও ছাত্রীর একত্রে শিক্ষা

খ – ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

পাঠ থেকে নীচের যুক্তবর্ণযুক্ত শব্দ খুঁজে বের করে লেখো।

ব্রু = ডিব্রুগড় ।
ষ্ট্র = রাষ্ট্রীয়। 
স্ব = সর্বস্ব।
ম্ব = স্বাবলম্বী।
স্ম = স্মরণীয়।
ঘ্ন = বিঘ্ন।
ন্থ = পন্থা৷
ম্ম = সম্মানিত।
প্ল = বিপ্লব।
দ্ম = পদ্মবিভূষণ।

উদাহরণের মতো শব্দ গঠন করো৷

উদাহরণ – নম্র – নম্রতা

(ক) স্বাধীন – স্বাধীনতা।
(খ) ভদ্র – ভদ্রতা৷
(গ) সার্থক – সার্থকতা।
(ঘ) সরল – সরলতা।
(ঙ) উজ্জ্বল – উজ্জ্বলতা

লক্ষ্য করো।

ওপরের উদাহরণের মতো ‘প্রতিযোগী’-র সঙ্গে ‘তা’ যুক্ত করলে, শব্দটির বানান কিন্তু ‘প্রতিযোগীতা’ হবে না, হবে ‘প্রতিযোগিতা’।

এবার এই উদাহরণের মতো আরো কয়েকটি শব্দ গঠন করো।
উপযোগী – উপযোগিতা।
দূরদর্শী – দূরদর্শিতা।
দূররতী -দূরবর্তিতা।

এক কথায় প্রকাশ করো।

(ক) সমাজের সেবা করেন যিনি – সমাজ সেবক।

(খ) দেশকে ভালোবাসেন যে ব্যক্তি – দেশপ্রমিক।

(গ) বিপ্লব পন্থার অনুগামী – বিপ্লবী।
(ঘ) দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন যিনি – শহীদ।

(ঙ) জীবকার ক্ষেত্রে নিজের উপর নির্ভরশীল যে ব্যক্তি – স্বাবলম্বী।

(চ) কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির সংকল্প দৃঢ় – দৃঢ়প্রত্যয়ী৷

পার্থক্য দেখিয়ে নীচের শব্দগুলো দিয়ে একেকটি বাক্য রচনা করো।

উদাহরণ – অন্য – বিনোদকে দিয়ে একাজ হবে না, অন্য লোক দেখো।
অন্ন – এক মুঠো অশ্লের জন্য লোকে কী না করে।

কমল (পদ্মফুল) – শরৎ ঋতুতে কমল ফোটে।
কোমল (নরম)  – মানুষের হৃদয় কোমল হওয়া উচিত।

ধনি (শব্দ) – মেয়েটির পা থেকে নূপুরের ধনি উঠেছে।
ধনী (বড়োলোক) – ধনী লোকেরা গরীবের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় না।

দিন (দিবস) – রাতের পর দিন আসে।
দীন (দরিদ্র) – দীন ব্যক্তিদের সাহায্য করা উচিত।

শোনা (শোনতে পাওয়া) – মিথ্যা কথা কানে শোনা পাপ।
সোনা (ধাতু বিশেষ) – সোনা একটি মূল্যবান বস্তু ।

বিনা (ছাড়া) – জ্ঞাম বিনা জীবন বৃথা৷
বীণা (বাদ্যযন্ত্র) – দেবী সরস্বতীর হাতে বীণা থাকে।

বিশ (কুড়ি) – আমি স্কুলে যাওয়ার পথে বিশ টাকা দিয়ে একটি খাতা কিনেছি।

যজ্ঞ (হুম) – পুরোহিতরা যজমানের জন্য যজ্ঞ করেন।
যোগ্য (উপযুক্ত) – সবাই সব কাজের যোগ্য হয় না।

শাপ (অভিশাপ) – দুর্বাসা মুনি কথায় কথায় শাপ দেন৷
সাপ (সর্প) – সাপ কানে শুনতে পায় না।

অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং উদাহরণের মতো বাক্সে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদগুলো খুঁজে বের করে খাতায় লেখো।

অর্থনৈতিকভাবে অবস্থাপন্ন হলেও তীর পিতা-মাতা অনাড়ম্বর সরল জীবন-যাপন করতেন। তাঁদের পরিবারে দেশপ্রেম এবং সমাজ সেবার এক পরিবেশ বিরাজিত ছিল। ছোটোবেলা থেকেই অমলপ্রভা সেই পরিবেশেই বড়ো হয়ে উঠেছিলেন। পড়াশোনার প্রতি তীর ছিল অদম্য আগ্রহ । তিনি অত্যন্ত মেধাবীও ছিলেন । তবে তিনি
অনবরত বই-পত্র নিয়ে পড়াশোনাতেই ব্যস্ত হয়ে থাকতে পছন্দ করতেন না। বিদ্যালয়ের
ছুটির পর বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে সংসারের কাজ-কর্মে সাহায্য করা, বাগানে ফুলগাছ
লাগানো, গাছে জল দেওয়া ইত্যাদি কাজ খুব আনন্দে করতেন। নাচ-গানেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ।

উদাহরণ- 

বিশেষ্য বিশেষণ সর্বনাম
অমলপ্রভাদক্ষ, সরল তিনি
পিতা, মাতা, মা, বাবাঅত্যন্ত মেধাবীতাঁর তাদের৷

এসো, ভাব- সম্প্রসারণ করি।

সোনা যতই পোড়ে, উজ্জ্বলতা তার ততই বাড়ে।

(অর্থ-বাধা-বিঘ্ন যতই আসুক না কেন, জীবনের লক্ষ্যে যে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, সব প্রতিকূলতা সে জয় করে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।)

গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ

নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং উত্তর দাও।

চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চে অসমের বজালির দৈশিঙরি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রাতিরাম মজুমদার এবং মাতার নাম গঙ্গাপুরিয়া।

সে সময় দেশে স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন প্রায় ছিল না। দৈশিঙরি গ্রামেও পাঠশালা ছিল না চন্দ্রপ্রভা তার ছোটোবেলায় মাসির বাড়িতে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন। পড়াশোনার প্রতি তার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। কাছেপিঠে কোনো এম. ই. স্কুল না-থাকায় তিনি বাড়িতে বসে সময় না-কাটিয়ে একটি ভালো কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সংকল্প মতো তিনি দৈশিঙরি প্রামের অন্যান্য মেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেন, যাতে গ্রামের মেয়েরা অল্প পরিমাণে হলেও শিক্ষার আলোক লাভ করতে পারে। একদিন বিদ্যালয়ের উপপরিদর্শক চন্দ্র্রভার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে আসেন। অল্পবয়সি মেয়েটির সমাজসেবার মনোভাব দেখে তিনি আশ্চর্য হন। চন্দ্রপ্রভাকে আবার পড়াশোনা শুরু করার জন্য তিনি বৃত্তি প্রদান করেন।

চন্দ্রপ্রভা নগাঁওয়ের মিশন স্কুলে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। সেখান থেকেই নর্ম্যাল পাশ করে তিনি শিক্ষকতা করতে শুরু করেন। নারীসমাজের উন্নতির জন্য তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি মহিলা সমিতি গঠন করে সমাজে মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিও তার বিশেষ অনুরাগ ছিল। সু-লেখিকা হিসেবেও তিনি সম্মান লাভ করেছিলেন।

(ক) চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির জন্ম কোথায় হয়েছিল?
উত্তরঃ- চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির জন্ম অসমের বিজালির দৈশঙরি গ্রামে হয়েছিল।

(খ) তিনি কত খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তরঃ- তিনি ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

(গ) তিনি কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন?
উত্তরঃ- চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি ছোটবেলায় তাঁর মাসির বাড়িতে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন।

(ঘ) নিজের গ্রামের মেয়েদের জন্য চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি কী কী করেছিলেন?
উত্তরঃ- নিজের গ্রামের মেয়েদের জন্য চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেছিলেন।

(ঙ) চন্দ্রপ্রভা কীভাবে আবার পড়াশোনা শুরু করার সুযোগ পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ- চন্দ্রপ্রভা দৈশঙরি গ্রামের মেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেছিলেন। একদিন বিদ্যালয়ের উপপরিদর্শক চন্দ্রপ্রভার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে আসেন। অল্পবয়সি মেয়েটির সমাজ সেবার মনোভাব দেখে তিনি আশ্চর্য হন। চন্দ্রপ্রভাকে পড়াশোনা করার জন্য তিনি বৃত্তি প্রদান করেন।

(চ) চন্দ্রপভা নারীদের উন্নতির জন্য কী করেছিলেন?
উত্তরঃ- নারী সমাজের উন্নতির জন্য বদ্ধপরিকর চন্দ্রপ্রভা মহিলা সমিতি গঠন করে সমাজে মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর
ছিলেন।

অমলপ্রভা দাস ও চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির মধ্যে কোন কোন ক্ষেতে মিল এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অমিল লক্ষ করেছ, বলো ও লেখো।
উত্তরঃ- অমলপ্রভা দাস ও চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি উভয়েই সমাজসেবিকা। দুজনেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছিলেন। অমলপ্রভা ও চন্দ্রপ্রভা উভয়েই মেধাবী এবং পড়াশুনার প্রতি অদম্য আগ্রহ ছিল। দুজনেরই দেশপ্রেম ও সমাজসেবার ইচ্ছা সমান ছিল। উভয়েই ছিলেন দৃঢ়চেতা এবং আত্মপ্রত্যয়ী। উভয়ের সংকল্প ছিল দেশবাসীকে স্বনির্ভর করে তোলা।

অমলপ্রভা দেশের পরাধীনতা মোচন করবার চেষ্টা ছাড়াও সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য সমস্ত জীবন ধরে অপরিসীম ত্যাগ করেছেন। চন্দ্রপ্রভা মহিলা সমিতি, গঠন করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর থাকতেন। অমলপ্রভা গান্ধিজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। চন্দ্রপভা হননি। অমলপ্রভা সমগ্র জীবন কোনো চাকরি করেননি। চন্দ্রপ্রভা শিক্ষকতা করেছেন। ভারত সরকার অমলপ্রভা দাসকে পদ্মবিভূষণ-এ সম্মানিত করেছিলেন। যদিও তা তিনি গ্রহণ করেননি। চন্দ্রপ্রভা এরকম কোনো পুরস্কার পাননি।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পরশমণি’ কবিতাটি সবাই মিলে আবৃত্তি করো।

‘পরশমণি’

error: Content is protected !!