পাঠ-৫
বায়ু
Class 4 EVS Assam | LP School All Notes in Bangla SCERT Board Assam. চতুর্থ শ্রেণীর পরিবেশ আসাম পাঠ-৫ বায়ু |
অনুশীলনী
১। উত্তর লেখো-
(ক) বায়ুতে থাকা প্রধান গ্যাসগুলো কী কী?
উত্তর:- বায়ুতে থাকা প্রধান গ্যাসগুলো – অম্লজান বা অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস, নাইট্রোজেন।
(খ) বায়ু প্রদুষণের তিনটি কারণ লেখো।
উত্তর:- বায়ু প্রদুষণের তিনটি কারণ হলো-
- কল-কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া বায়ু প্রদুষিত করে।
- গাছপালা কাটলে বায়ু প্রদুষিত হয়।
- রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাবহারের ফলে বায়ু প্রদুষিত হয়।
(গ) বায়ু প্রদুষিত না-হওয়ার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
উত্তর:- বায়ু প্রদুষিত না-হওয়ার উপায়গুলো হল-
- অধিক গাছপালা বা বৃক্ষরোপণ
- প্রদুষণ সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমানো ও কল-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া বা
দুষিত পদার্থগুলো নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- আবর্জনা জমানোর বাক্স বা জায়গা ঢেকে, পরিষ্কার করে রাখার ব্যবস্থা করা। সহজে পচে না এমন বস্তুগুলো, যেমন- টিন, পলিথিন, প্লাস্টিকের বস্তু ইত্যাদি নালা নর্দমায় ফেলতে নেই। সহজে পচে এমন বস্তুগুলোকে পচনসারের গর্তে ফেলতে হয়। এর ফলে ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
- রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈবিক কীটনাশক ব্যবহার করা।
- হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ রুমালে ঢাকতে হয়। এর ফলে বীজাণু বায়ুতে মিশতে পারে না।
- মরা জীব-জস্ত মাটিতে গর্তে পুঁতে রেখে বায়ু প্রদূষণ কমানো যায়।
- আশ-পাশের জায়গায় পারতপক্ষে গাড়ির পরিবর্তে হেঁটে বা সাইকেলে গেলেও কিছু
পরিমাণে প্রদুযণ রোধ হয়।
- মোটরগাড়ি কম সংখ্যায় ব্যবহার করেও প্রদূষণ রোধ করা যায়।
(ঘ) রোগের বীজাণু বায়ুতে কীভাবে ছড়ায়?
উত্তর:- হাঁচি বা কাশির সময় মুখ রুমাল দিয়ে না ঢাকলে বীজাণু বায়ুতে কীভাবে ছড়ায় ৷
(ঙ) বায়ুতে থাকা কোন্ গ্যাসটি আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়?
উত্তর:- বায়ুতে থাকা অক্সিজেন গ্যাসটি আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।
২। নীচের শুদ্ধ বাক্যগুলোতে “√” চিহ্ন দাও ৷ অশুদ্ধ গুলোকে শুদ্ধ করে লেখো-
(ক) আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলতে হয়।
উত্তর :- আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলা ঠিক নয়।
(খ) প্লাস্টিকের বস্তু পচনসারের গর্তে ফেলতে হয়।
উত্তর :- প্লাস্টিকের বস্তু পচনসারের গর্তে ফেলতে নেই।
(গ) গাছপালা বেশি করে লাগিয়ে বায়ু প্রদুষণ রোধ করা যায়। ✅
(ঘ) কল-কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া বায়ু প্রদুষিত করে। ✅
(ঙ) আবর্জনা পোড়ালে বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বাড়ে। ✅
৩। ‘ক” অংশের সঙ্গে *খ’ অংশ মেলাও-
উত্তর:-

৪। শুদ্ধ করে লেখো-
(ক) রাসায়নিক কীটনাশক দ্রব্য বায়ু প্রদূষণ ঘটায়/শোধন করে।
উত্তর:- রাসায়নিক কীটনাশক দ্রব্য বায়ু প্রদূষণ ঘটায়।
(খ) গাছের পাতা পুড়িয়ে/পুঁতে ফেলতে হয়।
উত্তর:- গাছের পাতা পুঁতে ফেলতে হয়।
(গ) বায়ুতে থাকা অক্সিজেন/ কার্বন-ডাই-অস্সাইড শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে।
উত্তর:- বায়ুতে থাকা অক্সিজেন শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে।
(ঘ) গাছপালা ধ্বংস করার ফলে বায়ু প্রদূষণ রোধ/বৃদ্ধি হয়।
উত্তর:- গাছপালা ধ্বংস করার ফলে বায়ু প্রদূষণ বৃদ্ধি হয়।
(ঙ) বায়ুতে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড আগুন জ্বলতে/নিবতে সাহায্য করে।
উত্তর:- বায়ুতে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড আগুন নিবতে সাহায্য করে।