বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ছেলেটি মায়ের কাছে প্রদীপ জ্বালাতে একটু তেল চাইল। গরিবের সংসার। মা তাই আরেকটু তেল দিতে ইতস্তত করেন, বলেন ‘আর পড়তে হবে না রাত হয়েছে ঘুমোওগে যাও ।’ ছেলেটি কাতর কণ্ঠে বলে, ‘না মা, এ বইটি তাড়াতাড়ি পড়ে শেষ করে কালই বন্ধুকে তার বই ফেরত দিতে হবে।’ ছেলে
নাছোড়বান্দা দেখে মা প্রদীপে আরেকটু তেল ঢেলে দেন। পড়তে পড়তে তেল ফুরিয়ে আসে৷ সলতে উস্কে দেয় সে। তারপর তেলহীন প্রদীপ নিভিয়ে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে পরিদিন ছেলেটি স্কুলে গিয়ে বইটি ফেরত দেয় সহপাঠীকে। অন্যান্য সহপাঠীর কাছে বলতে থাকে গতরাতের পড়া বইয়ের কথা৷
এই মেধাবী ছেলেটির নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বড়ো হয়ে তিনি হয়েছিলেন একজন কালজয়ী সাহিত্যিক।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম = ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪, বনগ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ।
পিতা = মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাতা = মৃণালিনী দেবী।
ম্যাট্রিক = ১৯১৪ সালে, প্রথম বিভাগে
উচ্চশিক্ষা = কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯১৮ সালে ডিস্টিংশন নিয়ে বি. এ. পাশ করেন।
পেশা = তাঁকে অনেক ধরনের চাকরি করতে
হয়েছে। শেষ জীবনে শিক্ষকতাকেই তিনি
ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন।
রবীন্দ্র পুরস্কার = ১৯৫০ সালে।
আরও কিছু বই = পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতী, অশনি সংকেত, হে অরণ্য কথা কও, মিসমিদের কবচ প্রভৃতি।
মৃত্যু = ১ নভেম্বর, ১৯৫০, ঘাটশিলা, বিহার (বর্তমান ঝাড়খণ্ডে)
আরোও পড়ুন